সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এবছর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস মালদহের দুটি আসনের মধ্যে একটি কোনওরকমে ধরে রাখতে সক্ষম হলেও নিজেদের জেতা উত্তর মালদহ আসনটি বিজেপির কাছে খুইয়েছে। সামনে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন। তাতে ঘুরে দাঁড়াতে এখন থেকেই ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে তারা। বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা সুষ্ঠুভাবে প্রদানের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ সহ অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে দলের জনভিত্তি মজবুত করতে মাঠে নেমেছে তারা। এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দলের পক্ষ থেকে একাধিক দাবিদাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নানাবিধ জনবিরোধী নীতির কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। বিজেপির অপশাসন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দেশের জনগণের নাভিশ্বাস, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বেহাল দশা, নোটবন্দির ব্যর্থতা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বেকার সমস্যা সমাধানের সরকারের ব্যর্থতা, এনআরসি, রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড,আধার কার্ড, প্যান কার্ড সংশোধনের নামে মানুষের হয়রানি—এসবের বিরোধিতা করা হবে। সেই সঙ্গে দেশীয় সম্পদ বেসরকারিকণের প্রতিবাদও ওই বিক্ষোভ সমাবেশে জানানো হবে। মানুষ যে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত, সেব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা হবে এই আন্দোলনের মাধ্যমে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, কেন্দ্র সরকারের একাধিক জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দল রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্র সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ব্যাঙ্কের সংযুক্তিরকরণের নামে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে। কর্ম সম্প্রসারণের পরিবর্তে কর্ম সংকোচন হচ্ছে দেশজুড়ে। সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা আজ সংকটাপন্ন। এই সব নানা নাগরিক অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই জেলা কংগ্রেস বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
জেলাজুড়েই কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন। দলের পক্ষ থেকে জেলার প্রতিটি ব্লক সভাপতিদের এব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের অফিস সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে জেলার ১৫টি ব্লকেই প্রস্তুতি মিটিং অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্লকভিত্তিক সভা থেকে অঞ্চল সভাপতিদের অঞ্চলভিত্তিক সভার আয়োজন করতে বলা হয়েছে। বুথে বুথে সাধারণ মানুষের কাছে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। গত ছয় নভেম্বর হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ও ২ ব্লকে প্রস্তুতি মিটিং হয়েছে। আগামী ১২নভেম্বর কালিয়াচকের তিনটি ব্লকে প্রস্তুতি মিটিংয়ের মাধ্যমে আমাদের এই প্রস্তুতি শেষ হবে।