সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
গত লোকসভা নির্বাচনে বুনিয়াদপুর পুরসভায় প্রায় সাত হাজার ও গঙ্গারামপুর পুরসভায় ১০ হাজারের মতো ভোটে লিড পেয়েছে বিজেপি। এরপরপরই গঙ্গারামপুরে তৃণমূলে ধস নামে। বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগদান করেন। গঙ্গারামপুর পুরসভা নিয়েও তৃণমূল বেকায়দায় পড়ে। যদিও সেই বোর্ড তারা ধরে রেখেছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়েই তারা ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গঙ্গারামপুরে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। শেষমেশ তারা কতটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে পারল তা অবশ্য পুরভোটেই বোঝা যাবে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।
গঙ্গারামপুর টাউন তৃণমূলের আহ্বায়ক অশোক বর্ধন বলেন, আমরা দিদিকে বলো কর্মসূচিতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসংযোগ বাড়িয়েছি। আমাদের সঙ্গে বিজেপি’র অনেক নিচুতলার কর্মী যোগাযোগ করছেন। আমরা তাদের দলে যোগদান করাব। গঙ্গারামপুর পুরসভার ভোটে তার নমুনা দেখিয়ে দেব। একটিমাত্র ব্যক্তির জন্য তৃণমূল এখানে লোকসভায় কম ভোট পেয়েছে। তা সকলেই জানেন। আমরা সেই জায়গা মেরামত করে ফেলেছি।
এনিয়ে তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমাদের কর্মীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি। তাই এমন ফলাফল হয়েছিল। জেলায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি গুরুত্ব দিয়ে পালন করছি। এতে ভালো সাড়াও মিলছে। সম্প্রতি অনাস্থা ভোটে গঙ্গারামপুর পুরসভা আমরা দখল নিয়েছি। এবারে আমরা পুরসভা ভোটে দেখিয়ে দেব। এছাড়া জেলাজুড়ে সম্প্রীতি যাত্রায় অংশ নিয়ে মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনে যা ভুল করেছে তা আর হবে না। জেলায় বিজেপির গান্ধী সংকল্প যাত্রা ডাহা ফ্লপ। এনআরসি আতঙ্কে মানুষ বিজেপিকে আর চাইছে না।
জেলা বিজেপি সভাপতি শুভেন্দু সরকার অবশ্য বলেন জেলায় তৃণমূলের সংগঠন শেষ। তাঁদের অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। পুরভোট হলে দেখিয়ে দেব মানুষ কী চায়। এখনই ভোট হলে বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরে লোকসভার তুলনায় আরও বেশি ব্যবধান আমরা নেব। আমাদের গান্ধী সংকল্প যাত্রায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। তৃণমূলের সম্প্রীতি যাত্রা তো আমাদেরই নকল। মানুষ আসল ছেড়ে নকলকে বেছে নেবে নাকি?