সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, আমার অফিস ঘরে ঢুকে হামলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। তাতে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আগামী দিনেও এধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। সেই আশঙ্কা রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবো।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান চন্দনা হালদার বলেন, শুক্রবারের ঘটনার পর থেকে আমি অফিসে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। আমি নিজে একজন মহিলা। এধরনের ভয়ঙ্কর একটা ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই আমি আতঙ্কিত। এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য অনেককে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুরসভার নিরাপত্তা যাতে বাড়ানো যায় সে বিষয়টি আমরা বোর্ড অফ কাউন্সিলের মিটিংয়ে তুলব।
এবিষয়ে মালদহ থানার আইসি শান্তিনাথ পাজা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ঘটনার দিন অনেকে পরিষেবা নিতে এসে বিক্ষেভের মুখে পড়েন। তারপর থেকেই এদিন পুরসভায় যেতে শহরের বাসিন্দারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কাউন্সিলাররাও ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুগছেন। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবলীলার কথা মনে করেই তাঁরা আঁতকে উঠছেন বলে জানিয়েছেন পুরকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুর কর্মী বলেন, এক দশকের বেশি সময় ধরে পুরসভার অফিসে কর্মরত। কিন্তু এরকম ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকিনি। এতে আমরা আতঙ্কিত ।
পুরাতন মালদহ পুরসভার বয়স দেড়শো বছর হয়ে গেলেও এখনও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। মালদহ অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার জেলা সভাপতি উত্তম নন্দী বলেন, যে কোন প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। পুরসভার মত একটা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলার ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পুরকর্মী ও নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা প্রয়োজন।
শুক্রবার দুপুরে পুরাতন মালদহ পুরসভায় ডেপুটেশনের নাম করে একাধিক মহিলা ও পুরুষ আন্দোলনকারী আগাম সূচনা ছাড়াই চেয়ারম্যানের ঘরে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। ডেপুটেশনের আগাম কোনও কর্মসূচী না থাকায় বচসা বাঁধে। তারপরই চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরসভা অফিসে মহিলা কাউন্সিলাররাও রেহাই পাননি। দীর্ঘক্ষণ চেয়ারম্যান কে আটকে রেখে ঘরের মধ্যেই টেনেহিঁচড়ে মারধর করে একদল বহিরাগতরা বলে অভিযোগ। সে সময় পুর কর্মীরাও নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। ঘটনার পরেই পুরসভার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । যেখানে খোদ চেয়ারম্যান আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন, সেখানে অন্যান্য কাউন্সিলার, পুর কর্মীদের নিরাপত্তা কিভাবে সুনিশ্চিত হবে, সে বিষয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন।