সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বারবার বলা সত্বেও চেয়ারম্যান সিআইসি বা পুরসভার বোর্ড মিটিং ডাকেননি বলে কাউন্সিলারদের অভিযোগ। অথচ নিয়মমাফিক মাসে অন্তত একবার বোর্ড মিটিং ডাকার কথা বলে তাঁরা জানিয়েছেন। সম্প্রতি অনাস্থা কাণ্ডের জেরে নীহারবাবু ঘরে-বাইরে চাপে পড়ে যান। সেই চাপের কারণেই তিনি সিআইসি’র বৈঠক ডাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসব। বোর্ড মিটিং ডাকার ব্যাপারে কাউন্সিলারদের সঙ্গে আলোচনা করব। শেষ কবে সিআইসি’র বৈঠক বা বোর্ড মিটিং হয়েছে তা নথিপত্র না দেখে বলতে পারব না।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, এর আগে কবে বোর্ড মিটিং হয়েছিল, তার দিনক্ষণ আমারও মনে নেই। সিআইসি’র বৈঠকও কবে হয়েছে তা স্মরণ করতে পারছি না। এতদিন চেয়ারম্যান বৈঠক না ডাকায় নাগরিক পরিষেবাজনিত নানা সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারছিলাম না। বৈঠকে এনিয়ে কথা বলবো।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের কাউন্সিলার নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারি বলেন, গত সিআইসি বৈঠক বা বোর্ড মিটিংয়ের তারিখ আমি মনে করতে পারছি না। কাগজ না দেখে বলতেও পারবো না। সোমবার সিআইসি বৈঠক হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। নিয়ম মেনে দ্রুত চেয়ারম্যানকে বোর্ড মিটিং ডাকতে হবে। তা না হলে আমরা চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শেষ নেই। বেহাল নাগরিক পরিষেবা, দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের নানা অভিযোগে পুর কর্তৃপক্ষ জেরবার হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, পুরকর্তাদের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে কর্মী-আধিকারিকরাও গা-ছাড়া মানসিকতা নিয়ে চলেন। বিনা নোটিসে এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফিনান্স অফিসারদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা অফিসে গরহাজির থাকেন। আধিকারিকদের একাংশ খেয়ালখুশি মতো অফিসে যাতায়াত করেন। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের গড়িমসির ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ শহরবাসীকে। সামান্য কাজ নিয়ে বারবার পুরসভায় যেতে হয়। অথচ ওই কাজ আধিকারিকদের সক্রিয়তায় একদিনেই মিটে যেতে পারে বলে ভুক্তভোগীদের দাবি। পুরকর্তারা নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়িতে ব্যস্ত থাকায় আধিকারিকদের তাঁরা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
এদিকে, দল পরিচালিত পুরসভার উপর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণও কার্যত নেই বললেই চলে। পুজোর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা শাসক দলের কাউন্সিলাররা মালদহের তৃণমূল নেতৃত্বকে কার্যত পাত্তাই দেননি। জল অনেক দূর গড়ায়। পরে হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্য নেতৃত্বকে। রাজ্য নেতৃত্বের অনুরোধে দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলাররা আস্থা ভোট ডাকার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতা তথা ভাইস চেয়ারম্যান বাবলাবাবু বলেন, জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর পুরসভা সংক্রান্ত দলীয় কমিটির মাথায় রয়েছেন। তিনি কমিটির প্রধান হওয়ায় সমস্যা ও জটিলতা দ্রুত মিটে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।