সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
এব্যাপারে মাথাভাঙা -২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ গায়েন বলেন, আমরা প্রেমেরডাঙা এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চালাচ্ছি। এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এলেই তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একই সঙ্গে এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার উপরও জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মাথাভাঙা-২ ব্লকের প্রেমেরডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিনটি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের পর্যবেক্ষণে তিনটি কেন্দ্রেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে নিশিগঞ্জ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। নিয়মিত নজরদারিতে আক্রান্তদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। কেউ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লেই হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, প্রেমেরডাঙার খট্টিমারি, ডুমনিগুড়ি ও শুভারপাথার এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। এলাকায় মেডিকেল টিম গিয়ে বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করার কাজ করেছে বেশ কয়েকদিন। একইসঙ্গে কারো জ্বর হলেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এর আগে কখনও প্রেমেরডাঙা এলাকায় এভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। হঠাৎ করে ডেঙ্গুর আক্রমণে তাই অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
মাথাভাঙা-২ ব্লক স্বাস্থ্যকর্মীদের সুপারভাইজার প্রতিমা রায় বলেন, গত দু’দিনে প্রেমেরডাঙা এলাকায় নতুন করে আর ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাও আমরা নিয়মিত নজর রাখছি। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তাঁরাও এলাকায় ফিরে এসেছেন। ধারাবাহিকভাবে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আমরা ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধিতে আশঙ্কিত হয়ে পড়ছি। কারো সাধারণ জ্বর হলেই ডেঙ্গুর ভয় পাচ্ছি। যদিও স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, কারও ডেঙ্গু হলে সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তবুও স্বস্তিতে নেই এলাকার বাসিন্দারা।
সেই সঙ্গে এলাকার বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমেরডাঙায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য দান করা জমি পড়ে রয়েছে। এখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলে আগেই ডেঙ্গু মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া যেত। ফলে এত বড়ো এলাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়তো না। অবিলম্বে প্রেমেরডাঙায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
এদিকে কোচবিহার জেলায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ ছড়িয়েছে। গত ছয় মাসে এই মশাবাহিত রোগে প্রায় ৪৫০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই বাইরে থেকে অসুখ নিয়ে জেলায় এসেছেন। জেলাজুড়েই ডেঙ্গু রুখতে ময়দানে নেমে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতেও ডেঙ্গু রুখতে নজরদারি শুরু করে দিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর। বেশকিছু ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর রক্তের নমুনা কলকাতার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কমিউনিকেবল ডিজিজে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য।