সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
গতবার প্রধানমন্ত্রী তথা আচার্য নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেগা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পর দীর্ঘদিন বাদে স্থায়ী উপাচার্যর উপস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে বিশ্বভারতীতে। সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বাভারতীর পরিদর্শক রামনাথ কোবিন্দ, রাজ্যপাল তথা প্রতিষ্ঠানের রেক্টর জগদীপ ধনকারকে সঙ্গে নিয়ে বিকেল ৪টে নাগাদ শান্তিনিকেতনের কুমিরডাঙার মাঠে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে নামেন। হেলিপ্যাডে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা, পুলিস সুপার শ্যাম সিং সহ উচ্চ পদস্থ পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। রাষ্ট্রপতি বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথি গৃহে রয়েছেন, রতন কুটিরে রয়েছেন রাজ্যপাল। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো এলাকা। সোমবার সকালে প্রথমে উদয়ন গৃহে কবিগুরুর চেয়ারে মাল্যদান করার পর আম্রকুঞ্জে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে অনুষ্ঠান শেষে তিনি যাবেন পাঠভবনে। সেখানে তিনি নন্দলাল বসুর শিল্পকর্ম দেখার পর রামকিঙ্কর বেইজের সৃষ্ট গান্ধীমূর্তি পরিদর্শন করবেন কলা ভবনে। সেখান থেকে আবার যাবেন রবীন্দ্রভবনে।
তবে, গতবার থেকে শিক্ষা নিয়েছে বিশ্বভারতী। সেবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পানীয় জল না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। পর্যাপ্ত জলের পাউচ না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যার জেরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রতিষ্ঠানের আচার্য হিসেবে দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবার বিভিন্ন এলাকায় জলের জার রেখে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে কাগজের গ্লাসে জল বিতরণ করা হবে। প্লাস্টিক বর্জন করতেই কাগজের গ্লাসের ব্যবহার। বিশৃঙ্খলা এড়াতে কম সংখ্যক পাস ইস্যু করেছে কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথের বিশ্বভারতী যা মুক্ত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী সেখানে এই কড়াকড়ি অনেকেই ভালো নজরে নেননি। এছাড়া সিআইএসএফ বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না বিশ্বভারতীতে। এদিন ছাত্র সংগঠন ডিএসওর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতিকে খোলা চিঠি দেন ছাত্রছাত্রীরা। সেখানেই প্রতিষ্ঠানে সিআইএসএফ আসা প্রতিহত করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানানো হয়। তবে, রাষ্ট্রপতিকে কী উপহার দেওয়া হচ্ছে তা গোপন রাখার চেষ্টা করেছে বিশ্বাভারতী কর্তৃপক্ষ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের আঁকা একটি ছবির রেপ্লিকা, কবিগুরুর একটি ছবি ও কিছু বই দেওয়া হবে। তার মধ্যে রয়েছে চারখণ্ডের রবীন্দ্র চিত্রাবলি। ১৬০০-র বেশি পৃষ্ঠার বইয়ে প্রায় ২০০০ ছবি রয়েছে কবিগুরুর। যদিও কর্তৃপক্ষ এনিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। পুলিস সুপার শ্যাম সিং বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।