সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
জঙ্গলে পর্যটক নিয়ে যাওয়া কার সাফারির মালিকদের অভিযোগ, সাপ্তাহিক একদিন ছুটি থাকার দরুন পর্যটকরাও নানাভাবে হেনস্তা হচ্ছেন। সপ্তাহে এই একদিনের কার সাফারি বন্ধ থাকার কথাপর্যটকরা জানতে পারছেন না। ফলে পর্যটকদের বাড়তি একদিনের হোম স্টে, লজের ভাড়া ও খাওয়াদাওয়ার টাকা অনর্থক গুনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় কার সাফারির মালিকরা সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চিলাপাতায় সাফারির বিকল্প রুটেরও দাবি তুলেছেন।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সহায়ক মণীশ যাদব বলেন, দেশের সমস্ত জাতীয় পার্কেই সপ্তাহে একদিন করে কার সাফারি বন্ধ থাকে। চিলাপাতা বা কোদালবস্তিও তার বাইরে নয়। সপ্তাহে একদিন করে বিশ্রাম দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে চিলাপাতায় কার সাফারির আর নতুন কোনও রুট খোলা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
চিলাপাতা-কোদালবস্তি ডিস্ট্রিক্ট কার সাফারি ইউনিয়নের সম্পাদক বিমল রাভা বলেন, দেশজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার জেরে এই বছর অক্টোবর ও চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত কার সাফারিতে ১৭-১৮ শতাংশ পর্যটক আমরা কম পেয়েছি। তার উপর বনদপ্তর সপ্তাহে একদিন কার সাফারি বন্ধ রাখায় আরও সমস্যা বেড়েছে। আমাদের ব্যবসা এমনিতেই কমে গিয়েছে। তার উপর এই সিদ্ধান্তে আমরা আরও ক্ষতির মুখে পড়েছি। এই অবস্থায় আমরা চাইছি, নতুন কার সাফারির রুট হিসেবে যদি চিলাপাতার সিসি লাইনটিকে খুলে দেওয়া হয় তাহলে কিছুটা সমস্যা লাঘব হতে পারে।
চিলাপাতায় বেসরকারি হোম স্টে, লজ, কার সাফারি ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ট্যুর অপারেটর সংস্থাগুলির অভিযোগ, সপ্তাহে একদিন, বৃহস্পতিবার করে কার সাফারি বন্ধ থাকছে চিলাপাতা ও কোদালবস্তির জঙ্গলে। এই সাপ্তাহিক ছুটির কথা বাইরের পর্যটকরা জানতেই পারছেন না। ফলে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এসে পর্যটকদের বাড়তি একদিনের রাত্রিবাসের ভাড়া ও খাওয়ার টাকা গুনতে হচ্ছে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক মন্দার জেরে জঙ্গলে পর্যটকদের আসাও কমে গিয়েছে।
চিলাপাতার কুরমাই বস্তি থেকে নলরাজার গড়, পাতাইঝোড়া, পাল রোড, মেন্দাবাড়ি, বিছনবাড়ি হয়ে মেন্দাবাড়ি ওয়াচ টাওয়ার পর্যন্ত চিলাপাতায় এই কার সাফারি হয়। কার সাফারির সময় জঙ্গলের দু’পাশে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে হাতি, বাইসন, ময়ূর, হরিণ ও শম্বর সহ বিভিন্ন ধরনের পাখি। তবে চিলাপাতায় কার সাফারির অন্যতম আকর্ষণ সিসি লাইনে তোর্সা নদীর চরে সূর্য অস্ত যাওয়ার অপরূপ দৃশ্য। ভাগ্যে থাকলে সেখানে একশৃঙ্গ গণ্ডারের দর্শনও মিলতে পারে। কিন্তু পর্যটক ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত ট্যুর অপারেটরগুলির দীর্ঘদিনের দাবি থাকা সত্ত্বেও সিসি লাইনে কার সাফারির অনুমতি নেই। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চোরাশিকারিদের হানাদারি রুখতেই সংরক্ষিত সিসি লাইনে কার সাফারির অনুমতি নেই।