কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মাদক তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে আমরা জানতে পেরেছি। ধৃতদের জেরা করে চক্রের মাথাদের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা চলছে।
পুলিস এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে মালদহে ব্যাপক পোস্ত চাষ হতো। এজেলার বৈষ্ণবনগর, কালিয়াচক সহ অন্যান্য ব্লক এলাকা পোস্ত চাষের স্বর্গরাজ্য ছিল। ভৌগলিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে আফিমের কারবারিরা গঙ্গার চরগুলিকে পোস্ত চাষের আখড়া বানায়। বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং বাংলাদেশের দুষ্কৃতীরাও ওই বেআইনি পোস্ত চাষের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০১৬ সাল নাগাদ পুলিস বেআইনি পোস্ত চাষের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান শুরু করে। পুলিসের চাপে আফিমের কারবারিরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। বর্তমানে জেলায় পোস্ত চাষ প্রায় হয় না বললেই চলে। নদীর চরে পোস্ত চাষের খবর পাওয়া মাত্র পুলিস গিয়ে তা নষ্ট করে দেয়। এই পরিস্থিতিতে আফিমের কারবারিরা ফ্যাসাদে পড়ে। তারা বিকল্প পথ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
পুলিস আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কালিয়াচকের বিস্তীর্ণ এলাকায় আফিম বা পোস্তর খোসার আঠা থেকে মাদক দ্রব্য তৈরি কার্যত কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছে। এখনও সেখানে বাড়িতে বাড়িতে হেরোইন তৈরি হয়। কাঁচা মালের সমস্যা মেটাতে কালিয়াচকের দুষ্কৃতীরা ভিন রাজ্যের আফিম কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। মোটা টাকার বিনিময়ে তারা আঠা আমদানি শুরু করে দেয়। পরে আঠা থেকে এক, দুই ও তিন নম্বরি হেরোইন তৈরি করতে থাকে।
জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, রবিবার রাতে খালি ট্রাকটি কালিয়াচক থেকে ডালখোলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। চালকের সিটের নিচে ১০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকার নোটের একাধিক বান্ডিল ছিল। আমরা খবর পেয়ে সুস্থানি মোড়ে আড়ি পাতি। আগে থেকেই সূত্র মারফত ট্রাকের নম্বর জানা ছিল। ওই ট্রাক সুস্থানি মোড়ে আসা মাত্র পথ আটকানো হয়। পুলিস দেখে চালক এবং খালাসি পালানোর চেষ্টা করেও রক্ষা পায়নি। জেরায় সুফি এবং রহমান জানিয়েছে, ট্রাক মালিকের বাড়ি কালিয়াচকে। সে ট্রাকটি এক আফিম মাফিয়াকে ভাড়া দেয়। ডালখোলার এক ব্যক্তিকে ওই টাকা দেওয়ার জন্য মাফিয়া দু’জনকে নির্দেশ দেয়। সন্দেহ এড়াতে ডালখোলা থেকে ট্রাকে বালি বোঝাই করে ফেরার কথা ছিল। ছোট গাড়িতে সাধারণ নাকা চেকিং হয়। কিন্তু খালি ট্রাকের চালকের কেবিনে আমরা সচরাচর চেকিং করি না। সেই সুযোগ মাফিয়ারা কাজে লাগাতে চেয়েছিল। তবে সময়ে খবর এসে যাওয়ায় এযাত্রায় মাফিয়ারা সফল হতে পারেনি।