সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: ময়নাগুড়ি ব্লকের মাধবডাঙা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে ধরলা নদীর উপর সেতু নির্মাণ করার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই দাবি বিভিন্ন মহলে একাধিকবার জানিয়েও এখন পর্যন্ত তাঁদের ভাগ্যে প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছুই জোটেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তাঁরা জানান, ভোট এলেই প্রতিশ্রুতির জোয়ার আর ভোট পার হয়ে গেলে দেখা নেই জনপ্রতিনিধিদের।
ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, এই এলাকায় ধরলা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আমরা জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন আধিকারিকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। একসময় তো সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মাপজোকও করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবে রূপায়িত হয়নি। ময়নাগুড়ির মাধবডাঙা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শর্মাপাড়া ফালতু মোড় থেকে তালগুড়ি যাওয়ার রাস্তাটি বানিয়েছে জেলা পরিষদ। সেই রাস্তার মাঝে ধরলা নদীতে তালগুড়ি ঘাটে এই সেতু নির্মাণের জোরালো দাবি উঠেছে।
শর্মাপাড়া এলাকার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ শর্মা বলেন, আমাদের গ্রামে এই সেতু নির্মিত হয়নি বলে আমরা ব্যাপক সমস্যায় পড়েছি। অথচ আমাদের দুর্দশা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের চোখেই পড়ছে না। এই সেতু তৈরি হলে মাধবডাঙা-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন। আমাদের বাড়ি মাধবডাঙা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেককেই রেশন নিতে যেতে হয় মাধবডাঙা-২ নম্বর অঞ্চলে। সেতু নেই বলে আমাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ কিমি পথ ঘুরে যেতে হয়। এছাড়াও মাধবডাঙা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্টেশন রোড হাটে যেতে আমাদের অনেকটা পথ ঘুরতে হয়। নয়ত ওই নদী পেরিয়ে কাঁধে সাইকেল নিয়ে চলাচল করতে হয়। তবে কেবল শীতকালেই তা সম্ভব হয়। বর্ষাকালে তো নদী পার হওয়ার কোনও উপায়ই নেই। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। কারণ অনেকেই মাধবডাঙা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার স্কুলে পড়াশুনা করে। তাদের প্রচুর পথ ঘুরে স্কুলে যেতে হয়। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে আমাদের গ্রামে ধরলা সেতুর উপর সেতু নির্মাণ করা হোক।
তৃণমূলের ময়নাগুড়ি-২ ব্লকের সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত বলেন, পঞ্চায়েতের আগামী বোর্ড মিটিংয়ে ওই সেতুর কথা তোলা হবে। অ্যাকশন প্ল্যানে ওই সেতুকে নিয়ে কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি, গ্রামবাসীদের সেতু নিয়ে আর কোনও অভিযোগ থাকবে না।