কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
পুজো মরশুমে চাহিদা বাড়ায় পুরাতন মালদহের নবাবগঞ্জে প্রতি সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার ভোরে শোলার বাজার বসছে। জেলার একাধিক ব্লক থেকে ক্রেতারা এসে এখান থেকেই শোলা কিনছেন। জেলার একমাত্র এই জায়গাতেই সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এই তিন মাস শোলা কেনাবেচা হয়। বছরের অন্যান্য সময় শোলার জোগান না পাওয়ায় ক্রেতারাও এই বাজার থেকে বেশি করে শোলা কিনে মজুত করে রাখেন। ফলে এই সময় বিক্রেতাদের বিক্রিবাট্টা ও রোজগার বাড়ে।
গাজোলের এক শোলা বিক্রেতা বিনয় সাহা বলেন, পুজো মরশুমেই আমাদের বিক্রিবাট্টা একটু বাড়ে। বছরের অন্যান্য সময় শোলার চাহিদা এতটাই কমে যায় যে ওই সময় শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাতে হয়। অনেক সময় শোলা সংগ্রহ করে হাটে নিয়ে গেলে দামই মেলে না। পচা বিলেই এই শোলা চাষ করতে হয়। ওই বিলে নানা পোকামাকড়ও থাকে। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের শোলা সংগ্রহ করতে হয়। এরপরও ন্যায্য দাম পাই না। আঁটি হিসাবে ভালো শোলার দাম মেলে ২০০০-৩০০০ টাকা। আর গড়পড়তা শোলা আঁটি হিসাবে ৫০০-৭০০ দরে বিক্রি হয়।
আলমপুর থেকে আসা এক বিক্রেতা গোপাল সিংহ বলেন, বাইরের জেলা থেকেও আমরা শোলা সংগ্রহ করি। নির্দিষ্ট বাজার না থাকায় পুজো মরশুমে আমাদের পুরাতন মালদহের নবাবগঞ্জের এই বাজারের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। সপ্তাহে বুধ ও রবিবার বাজার বসে। নির্দিষ্ট বাজার থাকলে সারাবছরই আমরা শোলা বিক্রি করতে পারতাম। তবে অনেকেই এখন আর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পচা বিল থেকে শোলা সংগ্রহ করতে চায় না। ফলে বর্তমানে শোলার জোগানও কমে যাচ্ছে।
চাঁচল থেকে আসা এক ক্রেতা বাসুদেব দাস বলেন, এই সময় চাহিদা বাড়ায় আমাদেরও একটু বেশি দরেই শোলা কিনতে হয়। বছরের অন্যান্য সময় শোলা পাব না জেনে একটু বেশি করে কিনে মজুত করে রাখতে হয়।
ইংলিশবাজার থেকে শোলা কিনতে আসা দীপঙ্কর দাস ও রাজকুমার দাস বলেন, বর্তমানে অন্যান্য জড়ি দিয়ে প্রতিমার সাজ ও অলঙ্কার তৈরি হলেও শোলার সাজের চাহিদা এখনও রয়েছে। কিন্তু দিন দিন জোগান কমে যাওয়ায় আমরাও আর ভালো মানের শোলা পাচ্ছি না। তবে পুজো মরশুমে নবাবগঞ্জের এই বাজারে ভালো মানের শোলা পাওয়া যায়। তাই সারা বছর এই বাজারের দিকেই আমরা তাকিয়ে থাকি।