কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
সিকিম আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, দুই-তিন ধরে মৌসুমি অক্ষরেখা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে সরে এসেছে। তাই বৃষ্টিপাত তুলনামূলকভাবে অনেটকটাই বেড়ে গিয়ে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণও হয়েছে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
সুখানি বস্তির বাসিন্দারা বলেন, ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলেই আমাদের আতঙ্ক বাড়ে। রাতের অবিশ্রান্ত বৃষ্টিতে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুখানি সেতুটিও বছর খানেক আগে ভারী বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নাগরাকাটার বিডিও স্মৃতা সুব্বা বলেন, এলাকায় এদিন হড়পা বানে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুখানি সেতু তৈরি করার জন্য আমরা জেলায় প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলেই নতুন সেতু তৈরি করা হবে।
ওদলাবাড়ির বাসিন্দারা বলেন, রমতি নদীর জলস্ফীতিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে ভোর থেকে জল বইতে থাকে। এরপরেও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন দিনভর চলেছে। রাস্তাটি উঁচু করা না হলে সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পূর্তদপ্তরের (সড়ক) মালবাজারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, ওই রাস্তাটি কালভার্ট দিয়ে উঁচু করে যাতে তৈরি করা হয় সেজন্য আমরা ওপর মহলে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের চার জেলায় বৃষ্টি হয়। আলিপুরদুয়ারে রাতে এবং শিলিগুড়িতে ভোরে তুমুল বৃষ্টি হয়। জলপাইগুড়িতে বেলা ১২টার পর থেকে ঘণ্টাখানেক মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। কোচবিহারেও বৃষ্টি হয়। বিশ্বকর্মাপুজোর বাজারে আচমকা এই বৃষ্টি প্রভাব পড়ে। রাস্তার ধারে প্রতিমা নিয়ে বসা বিক্রেতারা বিপাকে পড়েন। পুজোর মুখে নিশিগঞ্জের সাপ্তাহিক হাট এদিন পণ্ড হয়। বৃষ্টির জেরে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। সুখানি নদীর আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়া ছাড়াও মাল ব্লকের ওদলাবাড়ির রমতি খোলার জল এদিন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে দিনভর বইতে থাকে। ভুটান পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় মাল মহকুমায় উপর দিয়ে যাওয়া প্রতিটি নদীতেই জল আচমকা বৃদ্ধি পায়। সব থেকে বিপজ্জনক অবস্থায় ছিল ঘিস নদী। ওই নদীর দু’পাশের নিচু এলাকায় কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও বুক পর্যন্ত জল দাঁড়িয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, রাতভর ডুয়ার্স এবং ভুটানের পাহাড়ে বৃষ্টি হওয়ার ফলে সুখানি নদীতে হড়পা বান আসে। গত বছর এমনই হড়পা বানে সুখানি সেতু ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু বছর ঘুরলেও গেলেও সেই সেতু বানানো হয়নি। সোমবার রাতের হড়পা বানে সেতুটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির একাংশ জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। শিশুশিক্ষা কেন্দ্রটি নদীর দিকে হেলে আছে। সুখানি নদীর জলে বাড়লে সেটি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে।