নতুন কর্মপ্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন দাম্পত্যজীবনে সখ্যতা বৃদ্ধি সন্তানের কর্ম সাফল্যে গর্ব। ... বিশদ
কাকদ্বীপে নদী ও সমুদ্রে দেখা মিলল ইলিশের। প্রায় ১৫ দিন হতে চলল মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে বাঙালির এই প্রিয় মাছ। বাজারগুলিতে এর ফলে জোগান বেড়েছে। দাম মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে। গত বছর অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলি ইলিশ পেয়েছিল। তারপর কি নদী, কি সমুদ্র, দেখা মেলেনি। এবার আবার সে এসেছে ফিরিয়া। আর বাঙালির পাতে ভাজা-সরষে ঝাল-ভাপা-দই ইলিশের পরিতৃপ্তির ভোজ।
মৎসজীবীরা জানালেন, প্রায় সব ট্রলারই সমুদ্র থেকে তিন থেকে চার মনের মতো ইলিশ ধরে নিয়ে আসছে। এখন মিলছে মূলত জম্বুদ্বীপ থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে। ছোট ছোট নৌকাগুলিও স্থানীয় অঞ্চলের নদী থেকে কম হলেও ইলিশ পাচ্ছে। অথচ গত তিনমাস মাছ ধরতে গিয়ে ট্রলারগুলি ভোলা, নিহাড়ি, পাতা, পমপ্লেট, রুলি ইত্যাদি ছাড়া কিছু পাচ্ছিল না। সে মাছই ধরে নিয়ে আসছিল। ইলিশের পাত্তাই পায়নি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ছবিটা গিয়েছে বদলে।
আর মাত্র মাস দেড়েক বাদে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি হবে। ১৫ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ১৪ জুন পর্যন্ত। তার আগে মন মন ওজনের মাছ মেলায় খুশি মৎসজীবী-ব্যবসাদার-ক্রেতারা তো বটেই। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলছেন, ‘গত কয়েক মাস ধরে ইলিশ মাছের দেখাই মেলেনি। কিন্তু আবারও জালে ধরা পড়ছে। তবে বর্ষার ইলিশের মতো এ মাছে অত ভালো স্বাদ নেই। প্রায় সব মাছেরই পেটে ডিম।’ সুরজিৎ দাস নামে কাকদ্বীপ মাছ বাজারের এক আড়তদার বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে ইলিশ আসছে। বেশিরভাগ মাছের সাইজ ৩০০ থেকে ৫০০ গ্রামের মধ্যে। ছোটগুলোর দাম ৪০০ টাকা কেজি। ৫০০ গ্রাম হলে ৮০০ টাকা কিলো।’ তরুণ মণ্ডল নামে এক ক্রেতা দু’কেজি কিনলেন। বললেন,‘মেয়ে-জামাই খাবে। ভেবেছিলাম খাসি কিনব। তবে হাতের সামনে ইলিশ পেলে কেউ কি মাংস কেনে?’