সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
লোকসভা ভোটের প্রচার শুরুর আগে থেকেই কংগ্রেস, প্রধানত রাহুল গান্ধী অনগ্রসরদের উন্নয়নের জন্য একঝাঁক দাবি করে চলেছেন। যার মধ্যে প্রধান হল জাতি গণনা। এবার আস্তিন থেকে পাল্টা অনগ্রসর কার্ড বের করলেন মোদিও। হরিয়ানায় বিজেপির ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, ওবিসি এবং তফসিলি জাতি গোষ্ঠীভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ স্কলারশিপ। এই দুই সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যাঁরা দেশের যে কোনও রাজ্যে সরকারি কলেজে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পড়তে
চাইবেন, তাঁদেরই দেওয়া হবে এই আর্থিক সহায়তা।
অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের চাপে কোণঠাসা নরেন্দ্র মোদি। হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ থেকে সবথেকে বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে এই প্রকল্পে। হরিয়ানার ভোটে অগ্নিবীর নিয়ে মানুষের ক্ষোভ যাতে ভোটবাক্সে প্রতিফলিত না হয়, সেজন্য মরিয়া বিজেপি। তাই ইস্তাহারে ঘোষণা করা হয়েছে, চাকরি শেষে অগ্নিবীররা যাতে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনীতে সুযোগ পান, সেজন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, কমবেশি প্রতিটি জনমত সমীক্ষায় বলা হচ্ছে হরিয়ানায় পিছিয়ে আছে বিজেপি। সিংহভাগ সমীক্ষায় সরাসরি ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেসকে একক গরিষ্ঠতা পাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এবং আঞ্চলিক দল যে রাজ্যে শাসন করছে, সেখানে ভোটের আগে-পরে জনতাকে আর্থিক অনুদান দেওয়া অথবা প্রতিশ্রুতিকে মোদি বরাবরই ব্যঙ্গ করেছেন রেউড়ি হিসেবে। কিন্তু ভোট এলেই দেখা যাচ্ছে, তাঁর দল অন্যদের ছাপিয়ে রেউড়ি দেওয়ার পক্ষে। হরিয়ানার নির্বাচনী ইস্তাহার তার নবতম প্রমাণ। অর্থাৎ, মোদি ম্যাজিক যথেষ্ট নয়। ডাবল ইঞ্জিনের গ্যারান্টিও পর্যাপ্ত নয়। মোদির কাছেও ভোটে জয়ের মন্ত্র রেউড়ি। বিশেষত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ছবি: পিটিআই