যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
সূত্রের খবর, রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নের শিবিরে আচমকা হামলা চালায় জঙ্গিরা। ২টো ১৫ পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। শিবিরের নিরাপত্তা দায়িত্বে ছিল সিআরপিএফ। এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। ছোড়া হয় বোমাও। সিআরপিএফের ১২৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের আউটপোস্টে বোমা বিস্ফোরণ হয়। হামলায় গুরুতর জখম হন চার সিআরপিএফ জওয়ান। পরে তাঁদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে একজন বাঁকুড়ার অরূপ। মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগেও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। শনিবার সকালে সিআরপিএফ সদর দপ্তর থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর আসতেই গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এদিন সোনামুখীর পাঁচাল গ্রামে গোয়ালাপাড়ায় অরূপবাবুর বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী পুর্ণিমা সাইনি কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। অরূপবাবুর বাবা রমাকান্তবাবু ও মেজ ভাই স্বরূপ সাইনি শোকস্তব্ধ। অন্য এক ভাই বিষ্ণুপুরে একটি হোটেলে কাজ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বাড়িতে চলে আসেন। ছোট ভাই ছিলেন ছত্তিশগড়ে। অরূপবাবু তাঁকেই জখম অবস্থায় প্রথম ফোন করে জানিয়েছিলেন। তিনিও শনিবার ভোরেই বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
শহিদ জওয়ানের বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ছোটবেলায় মা হারা তিন ছেলেকে আমি কষ্ট করে মানুষ করেছি। ওরাও পরিশ্রম করে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। বড় ছেলে এক মাসের ছুটি কাটিয়ে দোলের পর কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু সেটাই যে শেষ যাওয়া তা বুঝতে পারিনি।
অরূপবাবুর দুই কন্যাসন্তান। একজনের বয়স পাঁচ, অন্যজনের সাড়ে তিন। মৃত জওয়ানের স্ত্রী পুর্ণিমাদেবী বলেন, ‘দুই সন্তানকে পড়াশুনা শিখিয়ে বড় করার জন্য আর মাত্র ১ বছর পরেই বন্ড শেষ করে বাড়িতে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন। সেজন্য বেশি ছুটি নেননি। আবার পুজোর সময় আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল।’