গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতির পূর্বাভাস সবার আগে কে টের পায়? যে কোনও দেশের শেয়ার বাজার। নজিরবিহীন, রকেটের গতিতে উত্থানের পর আচমকা শেয়ার বাজারে কখন ধাক্কা লাগল? ঠিক ভোটপর্বের মাঝে। আভাস পাওয়া যাচ্ছিল কয়েকদিন ধরেই। কিন্তু তৃতীয় দফার পর বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজারে রীতিমতো ধস নেমেছে। দিনভর কখনও ৮০০ পয়েন্ট, কখনও ৯০০ পয়েন্ট এবং অবশেষে হাজার পয়েন্টও নেমে গেল সেনসেক্স। একদিনেই সাড়ে ৬ লক্ষ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে লগ্নিকারীদের। এরই মধ্যে বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলি হঠাৎ ভারতের শেয়ার বাজারে লগ্নি করা অর্থ (এফআইআই) তুলে নিতে শুরু করেছে। বুধবারই সাড়ে ৬ হাজার কোটির বিদেশি লগ্নি প্রত্যাহার হয়েছে। আর তাতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৯ সালের তুলনায় পরপর তিনটি দফায় ভোটদানের হার কমে যাওয়ায় চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ফলাফল নিয়ে। অতীতে দেখা গিয়েছে, ভোটপর্বে শেয়ার বাজার যখনই নিম্নমুখী হয়েছে, তখনই পতন ঘটেছে শাসকের। তাই আতঙ্কিত বিজেপি। ভোটপর্ব শুরু হওয়ার আগে নরেন্দ্র মোদি যতটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, এখন তিনি এবং তাঁর দল ততটাই টালমাটাল। ইন্ডিয়া এনএসই ভোলাটাইলিটি ইনডেক্সেরও ইঙ্গিত, আসন কমতে চলেছে বিজেপির। সেটা হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার কিছুতেই হবে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-রাহুল গান্ধীদের দাবি মতো যদি তা ২০০’র নীচে নেমে যায়? তৃতীয় ইনিংস কিন্তু স্বপ্নই থেকে যাবে।