ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
এই ভাগলপুর একটা সময় ছিল কংগ্রেসের দুর্গ। কিন্তু সেসব বহুকাল আগের কথা। গত চল্লিশ বছরে একবারও জিততে পারেনি হাত শিবির। এবার নতুন আশায় দেওয়ালে দেওয়ালে হাত চিহ্ন আঁকা চলছে। আরজেডির সঙ্গে আসন সমঝোতায় ভাগলপুরের প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেসের অজিত শর্মা। তিনি স্থানীয় বিধায়কও বটে। উল্টোদিকে এনডিএ শিবিরের প্রার্থী জেডিইউ সাংসদ অজয় মণ্ডল। কিন্তু, এলাকায় তাঁর দেখা মেলে না বলে অভিযোগ। ফলে অজয়কে তাঁর নিজের ভাবমূর্তির সঙ্গেই লড়তে হচ্ছে। গোদের উপর বিষফোঁড়াও আছে। আসনটি জেডিইউকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। এই ক্ষোভ-অসন্তোষ কাজে লাগিয়ে ভাগলপুর পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে রীতিমতো কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
দেশের রাজনৈতিক চালচিত্রে বৃহৎ এক পটপরিবর্তনের নেপথ্যেও রয়েছে এই ভাগলপুর। আরও স্পষ্ট করে বললে, ১৯৮৯ সালের ভাগলপুর দাঙ্গা। সেবছর অক্টোবরে রামমন্দির আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ভাগলপুরে ‘রামশিলা’ শোভাযাত্রা বের করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। বিভিন্ন গুজব ও উস্কানির জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দু’মাস ধরে চলা হানাহানিতে প্রায় এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের রাশ আলগা হতে শুরু করে। ক্রমেই উত্থান হয় বিজেপি ও আঞ্চলিক দলগুলির। ১৯৮৯ সালের সেই হিংসার আগুনেই জ্বলে গিয়েছিল নাথনগরে ভাগলপুরী সিল্কের প্রায় ৬০০ পাওয়ারলুম ও ১ হাজার ৭০০ হ্যান্ডলুম। সময়ের আবর্তে ভাগলপুরী সিল্ক ফের নয়া চ্যালেঞ্জের মুখে। আবার এই ভাগলপুরে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালাচ্ছে কংগ্রেসও। তাও আবার রামমন্দির নির্মাণের গেরুয়া হাওয়ার মধ্যেই।
নীতীশ কুমারের দলের প্রার্থীর জন্য ভাগলপুরে বিজেপি কর্মীরা কতটা প্রাণপাত করছেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে। উল্টোদিকে, ভূমিহার সম্প্রদায়ের অজিতকে কংগ্রেস প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক খেলেছে বলে মত স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের। এর ফলে জোটসঙ্গী আরজেডির যাদব-মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের সঙ্গেই বিজেপির উচ্চবর্ণের ভোটের একটা অংশ হাত প্রার্থীর ঝুলিতে চলে আসতে পারে। পাশাপাশি অজিত দীর্ঘদিনের বিধায়ক হওয়ায় এলাকায় তাঁর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। সব মিলিয়ে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভাগলপুর।