কর্মলাভের যোগ রয়েছে। ব্যবসায়ী যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা দুযবে। ... বিশদ
এই আবহে দলের অবস্থানের উল্টো দিকে হাঁটল কেরল সিপিএম। রবিবার রাজ্যজুড়ে দলের অনেক নেতা-মন্ত্রী সহ সমর্থকরা রাত ৯টায় তাঁদের ঘরের আলো নিভিয়ে প্রদীপ-টর্চ জ্বেলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, এই তালিকায় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের পলিটব্যুরোর সদস্য পিনারাই বিজয়নের সরকারি বাসভবনও বাদ পড়েনি। তিরুবনন্তপুরমের ক্লিফ রোডের বাংলোর আলো ৯টার সময় কেবল বন্ধই হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর আবাসের কর্মীরা সেখানে মোমবাতি-টর্চ জ্বালেন মিনিট দশেক ধরে। অনেক মন্ত্রীর বাংলোতেও একই দৃশ্য ধরা পড়েছে। রাজ্যের বাকি জেলাগুলিতেও দলীয় নেতাদের বাড়িতেও ব্যতিক্রম হয়নি। তবে বিজয়নের সরকারি বাসভবনের আলো নিভে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল আলোড়ন পড়েছে। দলের অন্দরেও এনিয়ে চর্চা এবং বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিজয়ন সরকারের এহেন অবস্থানকে অবশ্য দু’হাত তুলে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন নিজে ওইদিন দলের সদর দপ্তরের বারান্দায় বাতি জ্বালিয়েছেন। তিনি ফোন করে বিজয়নকে অভিনন্দনও জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। এদিন তিনি ফোনে বলেন, করোনা মোকাবিলায় কংগ্রেস সহ ইউডিএফ জোট মোদিজির এই কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হলেও বাম সরকার মনেপ্রাণে তার বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটেনি। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাংলোর আলো নিভিয়ে তার প্রমাণ দিয়েছেন। এজন্য ওঁকে ধন্যবাদ। ফোন করে ওঁকে অভিনন্দনও জানাব।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কে বিজয়রাঘবন ত্রিশূরের বাড়িতে মাস্ক সহ যাবতীয় বিধি মেনে চলছেন। রবিবার রাতে তাঁর বাড়ির আলো অবশ্য নেভেনি। এদিন তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের লক্ষ্য এখন একটাই—ঐক্যবদ্ধ লড়াই। আলো নেভানোর পিছনে কোনও বিজ্ঞান নেই ঠিকই। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আগেই বুঝিয়েছিলেন, আমরা সর্বদা ‘আলোর প্রকাশে’র পক্ষে। চিকিৎসা সরঞ্জাম বা মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বন্দোবস্ত আগে জরুরি। তবে এই অবস্থায় আমরা প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রের সঙ্গে কোনও সংঘাতে যেতে চাই না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর আবাসের কর্মীদের ইচ্ছায় বিজয়ন বাধা দেননি। দলের বঙ্গব্রিগেডের নেতা তথা পলিটব্যুরোর সদস্য সেলিম বলেন, কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব আগাগোড়া মোদির এই কর্মসূচিকে চমক ও অবৈজ্ঞানিক বলেই মনে করেছে। তবে কে, কোথায়, কী করল, তা বলতে পারব না। দক্ষিণ ভারতের মানুষের সংস্কৃতি ভিন্ন প্রকৃতির হওয়ার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে।