বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সন্ত্রাসবাদী হামলার লক্ষ্য হিসেবে রেল বরাবরই ‘সফ্ট টার্গেট’। তার উপর সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে রাজনৈতিক পালাবদল এবং স্বাধীনতা দিবসের মাস হওয়ায় কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রেল। যে কোনও নাশকতা, হামলার ছক ভেস্তে দিতে জোনগুলিকে রেল বোর্ড সতর্ক করে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রেলের একটি বিশ্বস্ত সূত্রের দেওয়া তথ্য বলছে, জোনগুলিকে ‘ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) সম্পর্কে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। রেলের জোনাল স্তরের এক কর্তার কথায়, অনেক সময়ই স্টেশন এবং ট্রেনে দাবিদাওয়াহীন জিনিসপত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ধরনের জিনিসপত্র আইইডি-ও হতে পারে। তাই এই ধরনের জিনিস পড়ে থাকতে দেখলে দ্রুত রেলের কর্মীদের নজরে আনার প্রচার জোরকদমে চালানো হচ্ছে যাত্রীদের মধ্যে। এই প্রচার চলছে ট্রেন ও স্টেশনে। বিষয়টি নিয়ে স্টেশনের কর্মীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া, যেসব স্টেশনে সিসিটিভি রয়েছে, তা দিয়ে সমানে নজরদারি চালানো হচ্ছে। অবাঞ্ছিত কিছু নজরে এলেই খবর পৌঁছে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীর কাছে। নিয়মিত দূরপাল্লার ট্রেনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রেলে আরপিএফ এবং জিআরপির মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়িয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে বলে খবর।
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, হাওড়া স্টেশনে বর্তমানে ৩১৫টি সিসিটিভি রয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশনজুড়ে বর্তমানে রয়েছে ২১৮টি সিসিটিভি। এই দুই স্টেশন দিয়ে নিত্য লক্ষ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে দুই স্টেশনের নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সিসিটিভি দিয়ে নজরদারির পাশাপাশি তল্লাশির উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে। সেই মতো বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে নিয়মিত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রেল বোর্ডের বার্তা অনুসারে মেট্রো রেলেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে খবর। মেট্রোর এক কর্তার কথায়, পাতালপথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনিতেই আঁটোসাঁটো থাকে। তারপরও যদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার থাকে, তা অবশ্যই নেওয়া হবে।