বিদ্যার্থীরা শুভ ফল লাভ করবে। মাঝে মাঝে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় ক্ষতি হতে পারে। নতুন ... বিশদ
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেরলে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে না যাওয়ায় তোপ দেগেছে সিপিএম। সিপিএমের পলিটব্যুরো এদিন অভিযোগ করে, কেরল বিজেপি শাসিত রাজ্য না হওয়ায় আকাশ পথে রাজ্যের বন্যাদুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’কেরলের বন্যা এড়িয়ে গিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যায় ভাসছে কর্ণাটকের একাধিক জেলা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আশার কথা শোনালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। এদিন তিনি বলেন, আগামী চার থেকে ছ’দিনের মধ্যে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবেন। পাশাপাশি গত দু’দিন বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি মাইসুরু ও দক্ষিণ কন্নড় জেলায় আকাশ পথে বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, বন্যায় রাজ্যে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে প্রাথমিকভাবে তিন হাজার কোটি টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়া ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী এবং সিএলপি নেতা সিদ্ধারামাইয়াকেও এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীর পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান ইয়েদুরাপ্পা। ইতিমধ্যে শনি ও রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আকাশপথে কর্ণাটকের বন্যা দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখেছেন। তামিলনাড়ু সরকার নীলগিরি জেলার বন্যায় দুর্গতদের জন্য ১০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এদিকে কেরল, কর্ণাটক ছাড়া মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের বন্যা পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। ঘরছাড়া রয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। আকাশ পথে তাঁদের খাবার পৌঁছে দিচ্ছে বায়ুসেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। গত ছ’দিন বন্ধ থাকার পর আংশিক খুলে দেওয়া হল মুম্বই-বেঙ্গালুরু জাতীয় সড়ক। মহারাষ্ট্রের কোলাপুর থেকে কর্ণাটকের বেলগাঁওয়ের মধ্যে যান চলাচলের অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। কোলাপুরের পুলিস সুপার অভিনব দেশমুখ বলেন, সিরোলি ব্রিজের উপর থেকে জল নেমে যাওয়ায় জাতীয় সড়কের একাংশ খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যা দেখা দিয়েছে গুজরাতেও। বন্যায় কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে মৃতের সংখ্যা ৯৭।