সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
মূলত ছাত্রনেতা আব্দুল আলিম বিশ্বাস, শেখ মোহাম্মদ অখিল, আব্দুল হালিম দফাদার এবং বিচিত্রকান্তি বালা-সহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ ছিল। তাঁদেরকেই আপাতত ছ’মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এঁদের নেতৃত্বে হাসপাতালে থ্রেট কালচার (হুমকির সংস্কৃতি) এবং অন্যান্য অনিয়ম ও হাসপাতালের সিন্ডিকেট চালানোর অভিযোগ আনা হয়। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত ছাত্র নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সকাল থেকে চলে আন্দোলন। পরে এই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন মেডিক্যাল কলেজে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। ওই ৪০ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানেই। সেখানে বলা হয়, বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা শুধুমাত্র কলেজের পরীক্ষা এবং তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতেই কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন। তাঁদের হস্টেল এবং হাসপাতালেও প্রবেশ করতে বারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ওই মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ চিকিৎসক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এবং অয়ন ঘোষ নামে অন্য এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও কর্তৃপক্ষ এদিন ব্যবস্থা নেন। তাঁদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার এবং সিন্ডিকেটে মদত দেওয়ার অভিযোগ ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই দুই চিকিৎসক কলেজের প্রশাসনিক এবং পরীক্ষাসম্পর্কিত কোনও কমিটিতে থাকতে পারবেন না।
যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিরুদ্ধে ছাত্রনেতা বিচিত্রকান্তি বালা আগেই বলেছিলেন, আমরা সারাবছর ছাত্রদের জন্যই কাজ করেছি। এখন এই ধরনের অভিযোগ উঠলে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। অন্যদিকে, আন্দোলনকারী এমবিবিএস ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী সুময়া বিশ্বাস বলেন, এতদিন ভয়ে চুপ থাকলেও থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে এখন সবাই মুখ খুলেছেন। আমরা ওঁদের কঠোর শাস্তি চাই। এছাড়া ছাত্র ইউনিয়ন ভেঙে নতুনভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করারও দাবি জানিয়েছি আমরা।
এই বিষয়ে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মণিদীপ পাল বলেন, অভিযুক্ত ৪০ জনকে আপাতত ছ’মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিসকে এই অভিযোগের তদন্ত করতে বলা হবে।