সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
মঙ্গলবার দুর্নীতি মামলায় ইডি সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় বিভিন্ন নথি। বিধায়ক ও তাঁর মেয়ের মিলিয়ে তিনটি মোবাইল ইডি আধিকারিকার নিয়ে আসেন পরীক্ষার জন্য। কিন্তু ফোনের পাসওয়ার্ড তাঁরা খুলতে পারছিলেন না। সেই কারণে বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয় সুদীপ্তবাবুকে। সেইমতো তিনি বেলা একটা নাগাদ হাজির হন সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে। তাঁকে সামনে বসিয়ে সফটওয়ার বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে খোলা হয় ওই মোবাইল। এজেন্সি সূত্রে খবর, ওই মোবাইলে ইনবিল্ট একটি অ্যাপ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মেসেজের হদিশ মিলেছে। যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ্যে আনতে চান না কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
ইডি সূত্র খবর, আর জি করে ঠিকা ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও সুদীপ্তর। কতজনকে কীভাবে নেওয়া হবে, তা তাঁরা ঠিক করতেন। এই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে জেনেছে তারা। খাতায়কলমে যে পরিমাণ কর্মী নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল, বাস্তবে তা থাকত না। হাসপাতালের চুক্তি ভিত্তিক কর্মীর একাংশকে ডিউটি আওয়ার্সের মধ্যে সন্দীপ ঘোষ তাঁর ঘনিষ্ঠদের নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দিতেন কাজ করতে। অথচ খাতায়কলমে দেখানো হতো হাসপাতালে কাজে রয়েছেন তাঁরা। নিয়োগের সময় তাঁরা বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ইডির দাবি, এই টাকা নিতেন সন্দীপ। এর ভাগ বিভিন্ন জনের কাছে পরে পৌঁছে যেত। এছাড়া হাসপাতালে বিভিন্ন জিনিস কেনার ক্ষেত্রেও বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়ে বিধায়ক কী জানতেন, তাই নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে খবর। -নিজস্ব চিত্র