Bartaman Patrika
রাজ্য
 

‘বর্তমান’ই বোঝে বাংলার মন
প্রমাণ করল একুশের নির্বাচনী ফলাফল

নিশ্চিন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি হাওয়া বা ‘ডবল ইঞ্জিন’ প্রতিশ্রুতি নয়, জিতল তাঁর উন্নয়ন।
নিশ্চিন্ত প্রশান্ত কিশোর। তাঁর চ্যালেঞ্জ ছিল, বিজেপি তিন অঙ্কে পৌঁছবে না। সেটাই হয়েছে।
আত্মবিশ্বাসী ‘বর্তমান’। কারণ, মাটির সঙ্গে যোগ, মানুষের মন বোঝার ক্ষমতা আমাদের আজও আছে... একইরকমভাবে। ঠিক যেমনটা শিখিয়েছিলেন এই কাগজের প্রতিষ্ঠাতা-প্রাণপুরুষ বরুণ সেনগুপ্ত। 
করোনা মহামারীর মধ্যে বিধানসভা নির্বাচন। এবং যা আগের সব ভোটের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশের গবেষকদের কাছে যেমন কোনও তথ্য বা নির্দিষ্ট ফর্মুলা ছিল না, বাংলার এই নির্বাচনও কতকটা তেমন। কারণ, হাওয়া আর বাস্তবের মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগে থেকেই এমন একটা রব তোলা হয়েছিল, যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন হয়েই গিয়েছে। বিজেপি নবান্নে বসার জন্য পাঁজি দেখছে। এটাই হাওয়া। যার সূত্রপাত উনিশের লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর। গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ নেতাদের কাছে দু’বছর আগের ফলই ছিল একমাত্র অস্ত্র... বাংলা দখলের। রাজনীতির ময়দানে তাঁরা সাইড লাইন বরাবর দৌড়েই গিয়েছেন। ম্যাচ খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। তাহলে বুঝতেন, লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট এক নয়। অন্তত বাংলার তো নয়ই। তাই তৃণমূলের কয়েকজন মার্কামারা ‘দলবদলু’ ধান্দাবাজদের নিয়ে মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এক্ষেত্রে অবশ্য দশ পা এগিয়ে ভেবে ফেলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ। তাঁদের সৌজন্যে গত কয়েক মাস কী না দেখেছি আমরা! দিল্লির দণ্ডমুণ্ডের কর্তাদের ডেইলি প্যাসেঞ্জারি, হম্বিতম্বি, কুৎসিত রাজনৈতিক আক্রমণ এবং সেই হাওয়ায় ভেসে যাওয়া বহু সংবাদমাধ্যম। আর হ্যাঁ, তার সঙ্গে পাল্লা দেওয়া প্রোপাগান্ডা। বাংলার বুদ্ধিজীবীদের একাংশ তো ভাবতে বসেছিল, ‘আসল পরিবর্তন’ বোধহয় হয়েই গেল! 
‘বর্তমান’ এই স্রোতে গা ভাসায়নি। আমরা বিশ্বাস রেখেছিলাম বাংলার মানুষের বিচারবুদ্ধির উপর। আজ এই জনাদেশ তারই সাক্ষ্য বহন করছে। বাংলা জিতেছে। তাই বুক ঠুকে বলতে পারি, জিতেছি আমরাও। এই পর্বে হেনস্তা সইতে হয়েছে আমাদেরও। নানা দিক থেকে ‘বর্তমান’-এর উপর আছড়ে পড়েছে নোংরা, কুৎসিত আক্রমণ। তারপরও আমরা মাথা বিকিয়ে দিই঩নি। রাজনীতির লড়াইয়ে পেরে না উঠে ‘দলবদলু’ গদ্দারদের দাঁত-নখ বেরিয়ে এসেছে। আহত হয়েছে আমাদের অন্তর। তা সত্ত্বেও অটল থেকেছে বিশ্বাস... মানুষের প্রতি, বাংলার প্রতি। শুভেন্দু অধিকারী নাকি ছিলেন জননেতা! দল বদলের পর তাঁর যে রূপ খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, তা রাজ্যবাসী দুঃস্বপ্নেও দেখেনি। যে মোদি সরকারের নামে তিনি উঠতে বসতে গাল পাড়তেন, তিনিই এখন নরেন্দ্র মোদির জয়জয়কার করছেন! ফেজ টুপি পরে একসময় ঘুরে বেড়াতেন, আর আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের নামে বাপবাপান্ত করছেন। নন্দীগ্রামে জয় পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তা প্রশ্নাতীত হয়েছে কি? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু অভিযোগ করেছেন, বারবার প্রযুক্তির দোহাই দিয়ে ‘টেবিলের নীচে’ কিছু হয়েছে। সেই বিচার কমিশন আর আদালত করবে। কিন্তু প্রচারপর্বে যেভাবে আপনি শালীনতার সীমা ছাড়িয়েছেন, তা সুস্থ মানুষ মেনে নেবেন না। শুধু তাই নয়, আপনি নীচ আক্রমণ চালিয়েছেন ‘বর্তমান’-এর নামে। কৃতজ্ঞতাবোধ শব্দটা বোধহয় তাঁর অভিধানে নেই। সত্যি কথাটা, সোজা কথাটা সোজাভাবে ‘বর্তমান’ বলার বুকের পাটা রাখে বলেই তাঁর এই আক্রোশ। তাই শুভেন্দুবাবু তাঁর ‘অনুগামী’দের মাধ্যমে বারবার প্রচার করেছেন, ‘বর্তমান পড়বেন না।’ চেতলায় রুদ্রনীল ঘোষের হয়ে প্রচারে নেমে ‘বর্তমান’-এর নাম করে বলেছিলেন, আমরা নাকি বিকিয়ে গিয়েছি! একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম পর্যন্ত ‘বর্তমান’-এর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস দেখাতে পারেনি। কারণ একটাই—‘বর্তমান’ কারও তাঁবেদারি করে না। আর শুভেন্দু অধিকারী কি না সেই ‘বর্তমান’-এর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নষ্টামো করার সাহস দেখিয়েছেন! বলতে বাধ্য হচ্ছি, আপনার দূরদর্শিতার বড্ড অভাব। আপনি প্রকাশ্যে বলেছেন, বেগমের (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই নামে ডেকেই ধর্মীয় মেরুকরণ করতে চেয়েছিলেন শান্তিকুঞ্জের বুবাই) সঙ্গে নাকি ‘বর্তমান’-এর ১০০ কোটি টাকার ডিল হয়েছে! সহ্য করেছি মানে এটা ভেবে নেবেন না যে, আমরা দুর্বল। আর সহ্যেরও সীমা আছে... যা আপনি অতিক্রম করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, প্রমাণ করে দেখান। ‘বর্তমান’ কাউকে ডরায় না কেন জানেন? কারণ, আমাদের গায়ে কোনও কালো দাগ নেই। আমরা কারও থেকে এক পয়সার প্রিভিলেজ নিই না। আমরা অর্জন করি, ভিক্ষের ঝুলি পেতে বসি না। তাই আমাদের মেরুদণ্ড সোজা। ভবিষ্যতেও তাই থাকবে। প্রথম পাঁচ দফা ভোটে এক রকম খবর পরিবেশন, আর ষষ্ঠ দফায় পাল্টি! এ আমাদের চরিত্র নয়। ‘না পড়লে পিছিয়ে পড়া’র কথা আমরা মুখে বলি না। করে দেখাই। লিখে দেখাই। তাই বুক চিতিয়ে বলতে পারি, আমরা বাংলার মানুষের পক্ষে। কোনও গদ্দার, ধান্দাবাজ, বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলা অবিবেচকের আক্রমণে ‘বর্তমান’ মাথা নুইয়ে দেয় না। কত কথাই না আপনারা বলেছিলেন! বরুণবাবু বেঁচে থাকলে কী করতেন... আমরা তাঁর পরম্পরার পরোয়া করছি না... হলুদ সাংবাদিকতা... আরও কত কী! রন্তিদেব সেনগুপ্ত নিজে তো এই ‘বর্তমান’-এরই সাংবাদিক ছিলেন? যে খবরের কাগজ তাঁকে এক সময় অন্ন জুগিয়েছে, পায়ের নীচে জমি দিয়েছে, এই জায়গায় দাঁড় করিয়েছে... বিজেপির প্রার্থী তালিকায় নাম লেখানোর পর সেই ‘বর্তমান’কেই তিনি গালমন্দ করছেন! শুভেন্দু অধিকারীর বেইমানিটা তাও মানা যায়। তিনি শুধুই রাজনীতির সুবিধাটা বোঝেন... আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে নিজের স্বার্থটা বোঝেন। কিন্তু রন্তিদেববাবু তো সাংবাদিক ছিলেন! ‘বর্তমান’-এর একদা সহকর্মীর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল, অতীতকে ভুলতে নেই। বিজ্ঞাপন নিয়ে কটাক্ষ তো আপনিও করেছেন! অন্য কাগজগুলো উল্টে দেখেছেন কি? দেখলে জানতে পারতেন, বাকিরা যা সরকারি বিজ্ঞাপন পেয়েছে, আমরাও তাই পেয়েছি। কাজেই ‘বর্তমান’-এর দিকে আঙুল তোলার আগে ভবিষ্যতে একটু হোম ওয়ার্ক করে নেবেন। পেইড নিউজ আমরা করি না। বর্তমান লেখে মানুষের কথা... মানুষের বিশ্বাস আমাদের শক্তি... ঠিক যেমন বরুণ সেনগুপ্তর ছিল। হ্যাঁ, আমরা আজও প্রতিষ্ঠানবিরোধী। তবে রাজ্য সরকার নয়... সেই সময় এখনও আসেনি। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা সেই পর্যায়ে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় ফিরতে পারতেন না। মানুষের সেই বিচার মাঠে-ময়দানে ঘোরা আমাদের সাংবাদিকরা বুঝতে পেরেছিলেন। প্রতিটি ব্লকে তাঁরা ঘুরেছেন, মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলা আমাদের রিপোর্টারদের জানিয়েছে মনের কথা... বাংলা বলেছিল, ‘রাজ্যের স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেরা দরকার। বানিয়া পার্টি আর কিছু দলবদলু ধান্দাবাজের হাতে বাংলাকে তুলে দেওয়া যাবে না।’ আর সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে খবর পরিবেশনে। আমরা আজও বিরোধিতা করেছি—নরেন্দ্র মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতির। আমাদের মনে হয়েছে, মানুষের সামনে ওই মুখোশটা খুলে দেওয়া দরকার। সেটাই আমরা করেছি। এটাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। ভবিষ্যতেও করব। বরুণ সেনগুপ্ত কারাবরণ করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের নীতির বিরোধিতা করে। ম্যাডাম গান্ধী রাজ্যের সরকারে ছিলেন না। দিল্লির কুর্সিতে ছিল তাঁর রাজপাট। জরুরি অবস্থার সেই দিনগুলি অভিশাপের মতো আছড়ে পড়েছিল বরুণবাবুর উপর। তারপরও তাঁর কলম থেমে যায়নি। আমরা সেই দীক্ষায় দীক্ষিত। সেই শিক্ষা আমাদের এখনও পথ দেখায়। তাই আমরা বলতে পেরেছিলাম, নরেন্দ্র মোদির মুখ দেখিয়েও বাংলা দখল হবে না। আমরা বলেছিলাম, ‘ডবল ইঞ্জিন’ ভাঁওতা ছাড়া আর কিছু নয়। সেটাই সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। মানুষ প্রমাণ করেছেন সেই সত্য। 
মিথ্যে প্রতিশ্রুতির শাক দিয়ে অপদার্থতার মাছ ঢাকা দেওয়া যায়নি। তাই আমরা কৃতজ্ঞ বাংলার মানুষের প্রতি। তাই আজ আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, বাংলার মানুষের মন শুধু ‘বর্তমান’ বোঝে। আমরা শুধু বলি না, নির্ভয়ে এই জনমত প্রকাশের সাহস রাখি। আগামী দিনেও যাতে এই সততা এবং মাটির সঙ্গে যোগ বজায় রাখতে পারি, সেই আশীর্বাদ আজ চেয়ে নিলাম বাংলার মানুষের থেকে। বিশ্বাস রাখি, ভবিষ্যতেও বাংলা থাকবে ‘বর্তমান’-এরই পাশে।
—টিম বর্তমান

হ্যাটট্রিক
বাংলা ফের মমতাময়

২০১১, ২০১৬, আর এবার ২০২১! হ্যাটট্রিক মমতার! একুশের মহাসংগ্রামে বাংলার মানুষের উজাড় করা ভালোবাসা আর সমর্থন তৃতীয়বারের জন্য গঙ্গাপাড়ের নীলবাড়ি ‘নবান্নে’র ১৪তলায় পৌঁছে দিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলবদলু-গদ্দারদের তুমুল চিৎকারেও ৭০:৩০ অনুপাতে ভাগ হয়নি অসাম্প্রদায়িক পশ্চিমবঙ্গ। হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে ‘ঘরের মেয়ে’র হাতেই তুলে দিয়েছে বাংলার মসনদ। বিশদ

মোদি ঝড় শেষ বোঝাল ভারত

বাংলা, কেরল, তামিলনাড়ুর ভোটে বিজেপির হতাশাজনক ফলাফলে প্রশ্নের মুখে মোদি ম্যাজিক। নামে পাঁচ রাজ্য হলেও আদতে বাংলা বিজয় ছিল নরেন্দ্র মোদির সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু একটি অধরা রাজ্যে জয় নয়, পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে পারলে ভারতীয় জনসঙ্ঘ ও তৎপরবর্তী বিজেপির ইতিহাসে মোদি হয়ে উঠতেন আইকন। 
বিশদ

মুর্শিদাবাদে অধীরের দুর্গ ভেঙে চুরমার,
এবার খাতাই খুলতে পারল না কংগ্রেস
জোটকে হেলায় হারিয়ে তৃণমূল জয়ী ১৮ আসনে 

মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের দুর্গ ভেঙে চুরমার। ‘অধীর মিথ’ কাজ করল না। একটি আসনও পায়নি। এমনকী, খোদ বহরমপুর কেন্দ্রেও কংগ্রেস তৃতীয়। জোটকে হেলায় হারিয়ে ১৮টি আসনে জিতে রেকর্ড গড়ল তৃণমূল। বহরমপুর, লালগোলা, সূতি, ফরাক্কা, কান্দির মতো আসনগুলিতে বাম জামানাতেও হাত শিবিরকে টলানো যায়নি। বিশদ

মমতার তৈরি ভিতে ভবিষ্যদ্বাণী
মিলিয়ে ভোটের হিরো ‘পিকে’

এলেন, কাজ করলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুর্সি অটুট রাখলেন। আর নির্বাচন প্রক্রিয়ার আগে বিজেপি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী হুবহু মিলিয়ে দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনিই হিরো। রাজনীতির ‘দিব্যদৃষ্টিধারী’। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। গত লোকসভা ভোটে তলানিতে চলে যাওয়া তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক পুনরুদ্ধার করলেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য। বিশদ

মোদিজি ‘দিদি অ দিদি’ বলে বাংলার
মহিলাদের আর অপমান করবেন না

কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে নেতাদের মাথায় পুষ্পবৃষ্টি করানো যায়, কৃত্রিম উচ্ছ্বাস তৈরি করা যায়, কিন্তু তাতে মানুষের মন পাওয়া যায় না। কুপুন ছড়িয়ে জনসভায় ভিড় জমিয়ে ‘দিদি অ দিদি’ হাঁক ছেড়ে অশিক্ষিত লোকজনের হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলা জয় করা যায় না। বিশদ

বিপুল জয়ের পর বিভিন্ন দলের নেতাদের
প্রশংসার বন্যায় ভাসলেন ‘বাংলার বাঘিনী’   
অভিনন্দন জানালেন মোদি

কেউ বলেছেন বেঙ্গল টাইগ্রেস। কারও মন্তব্য, বাঙালি তাদের মমতাময়ী দিদির উপর ভরসা রেখেছে। কারও  বক্তব্য, এটা হল প্রধানমন্ত্রীর সভা সমাবেশে ‘দিদি ও দিদি’ সম্বোধনের অসম্মানের বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিবাদ। দেশের বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন দলের নেতাদের পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই উচ্চপ্রশংসা ও সাধুবাদ দেওয়া হয়েছে। বিশদ

স্বার্থান্বেষী দলবদলুদের
সরাসরি প্রত্যাখ্যান বাংলার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের ফল ঘোষণার পরই বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সম্পাদক অর্চিতা রায়চৌধুরী ফেসবুকে একটা পোস্ট করলেন... ‘বিজেপির নেতৃত্ব কি এবার বুঝতে পারছে, নিজের ঘরের সেদ্ধ ভাত অনেক ভালো পরের ঘরের চুরি করা বিরিয়ানির থেকে? এই গলা বুক জ্বালা এখন ৫ বছর ভোগাবে। নিজের ছেলেমেয়েকে পর করে জামাইকে আসন পেতে বসানোর খেসারত দিল।’ বিশদ

স্বস্তির বৃষ্টি, কমল তাপমাত্রা
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলার সম্ভাবনা

মার্চ থেকে এপ্রিল। আট দফার ভোটপর্বে কোনওদিনই তার দেখা পাওয়া যায়নি। তবে রবিবার ভোটগণনার দিন কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়-বৃষ্টি, দেখা গেল সবই। এতে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। বিশদ

ভোটের ফল আসতেই 
খাঁ খাঁ বিজেপির অফিস
মোদি-শাহের ব্যর্থতা বলছেন অনেকেই

পশ্চিমবঙ্গে পালাবদল নিশ্চিত ধরে নিয়ে গতকাল রাত থেকেই তৈরি হচ্ছিল বিজেপি। রাজ্যের হেস্টিংসের অফিসের ছিল এলাহি ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি মিডিয়া হাউসের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা হয়েছিল পাঁচ তলায়। বিশদ

এই রায় ‘দিদি অ দিদি’ কটাক্ষের
প্রতিবাদে নারীদের যোগ্য জবাব

কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টকে দিয়ে নেতাদের মাথায় পুষ্পবৃষ্টি করানো যায়, কৃত্রিম উচ্ছ্বাস তৈরি করা যায়, কিন্তু তাতে মানুষের মন পাওয়া যায় না। কুপুন ছড়িয়ে জনসভায় ভিড় জমিয়ে ‘দিদি অ দিদি’ হাঁক ছেড়ে অশিক্ষিত লোকজনের হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু বাংলা জয় করা যায় না। বিশদ

গনির জেলায় নিশ্চিহ্ন কংগ্রেস,
১২টির মধ্যে আটটিতেই তৃণমূল

মালদহ থেকে বারবার শূন্য হাতে ফিরতে হয় বলে এবারও জেলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে আক্ষেপ করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারে মমতার সেই আক্ষেপ সুদে আসলে অনেকটাই মিটিয়ে দিলেন মালদহের মানুষ। বিশদ

‘শিষ্য’র কাছে হারলেন অশোক
উত্তরবঙ্গের তিন মন্ত্রীর পরাজয়

নক্ষত্রপতন। এবার ভোটে উত্তরবঙ্গের চার জেলায় পরাজিত হলেন পাঁচ হেভিওয়েট প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে তিন বিদায়ী মন্ত্রী অন্যতম। তাঁরা হলেন গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। এই তালিকায় রয়েছেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য এবং কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকারও। বিশদ

এসপি বদল সত্ত্বেও
‘ভয়ঙ্কর খেলা’য় বাজিমাত,
আরও শক্ত অনুব্রতর গড়

এসপি বদলে, ভোটের আগের দিন ‘স্পেশাল অফিসার’ পাঠিয়েও অনুব্রত মণ্ডলের গড় অটুট। বরং আরও শক্তপোক্ত হল। গেরুয়া শিবিরের কোনও কৌশলই কাজে এল না। জেলার ১১টি বিধানসভার ১০টিতেই জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিশদ

‘নন্দীগ্রামের গণনায় কারচুপি
হয়েছে, কোর্টে যাবে তৃণমূল’

এই লড়াই শুধু বাংলার সম্মান রক্ষার নয়, দেশকে বাঁচানোরও। নির্বাচনী প্রচার পর্বে এ কথা বারবার মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘বাংলার লড়াইয়ে জিতেই নজর দেব দিল্লির দিকে।’ ২৯২টি আসনের ভোট গণনা শুরু হয়েছিল রবিবার সকালে। তারপর বেলা যত গড়িয়েছে, কালীঘাটের হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট লাগোয়া নিস্তরঙ্গ আদি গঙ্গায় লহর উঠেছে... জয়ের। বিশদ

Pages: 12345

একনজরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দূত’ হিসেবে ময়দান থেকে এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন বিদেশ বসু। সেখানেও তিনি সফল। রবিবার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তিনি ১৭ হাজারের বেশি ভোটে ...

প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ওড়িশায়। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল নবীন পট্টনায়েকের সরকার। আগামী ৫ মে বিকেল পাঁচটা থেকে ১৯ মে বুধবার ভোর ...

সসম্মানে ‘চ্যালেঞ্জ’ জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া জেলায় ফলাফল ১৬-০। আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীশূন্য হাওড়া। চারদিকে শুধুই জয় বাংলা স্লোগান, সবুজ আবীরের উচ্ছ্বাস। নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য জুড়েই শাসকদল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে হিড়িক পড়েছিল, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল হাওড়ায়। ...

কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট: পদ্ম ও জোড়াফুলে আড়াআড়ি বিভক্ত হল নদীয়া জেলা। রবিবার ভোটগণনায় জেলার উত্তরাংশে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র ছাড়া বাকি সব আসনেই জয়ী হল তৃণমূল। তবে রানাঘাটের আসনগুলিতে জয় পেল গেরুয়া শিবির। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM