Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। এই দু’টো ইভেন্টের কোনওরকম তথ্য বা ফলাফল হাতে আসার আগেই এই নিবন্ধ আমি লিখছি। 
মানুষের মধ্যে ‘ভ্যাকসিন গ্রহণে দ্বিধা’ রয়েছে। এই কল্পকাহিনিটা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে দু’টো ঘটনায়। (এক) প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েছে দীর্ঘ লাইনে। (দুই) জোগানের স্বল্পতার কারণে বহু মানুষকে ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে। ২ এপ্রিল ৪২ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৫৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল এবং টিকাকরণের দৈনিক গড়টা এই সংখ্যার কাছাকাছি পৌঁছতে না পারার কোনও কারণ ছিল না। যাই হোক, এপ্রিল মাসে দৈনিক টিকাকরণের গড় হারটা ২৯ লাখে নেমে এসেছিল। এর একটা কারণ হল, হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন সাপ্লা‌ই করা যায়নি। আর একটা হতে পারে লকডাউনের দিন এবং দৈনিক সময়সীমা বাড়ানো। এই হারে চললে, বাকি ৭০ কোটি ভারতবাসীর টিকাকরণের জন্য ২৪০ দিন লাগবে। 
টিকাকরণের জন্য অর্থবরাদ্দ কমানো উচিত হবে না। একটা ডোজের আনুমানিক দাম ২৫০ টাকা। ৭০ কোটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে দু’টো করে ডোজ দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় বাজেটে এই পরিমাণ অর্থই ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। ১ মে তারিখের ভিতরে বাকি সমস্ত বাধা দূর হয়ে যাওয়া উচিত। যদি নতুন দাম দ্রুত নির্ধারণ না-করা হয় তবে দুই প্রস্তুতকারকের তরফে ঘোষিত পাঁচটা দামই এই ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। 
ভ্যাকসিনের এই স্বল্পতা কেন?
ভ্যাকসিনের স্বল্পতা এখনও একটা সমস্যা। এর পুরো দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। এই সঙ্কট যেসব কারণে: (এক) সরকার এখনও পর্যন্ত সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক ছাড়া অন্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেনি। (দুই) কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন ছাড়া অন্যকোনও অনুমোদিত ভ্যাকসিন পাওয়ার ব্যাপারে সরকার আগাম অর্ডার দেয়নি। (তিন) ভারতে দু’টো সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরি করছে। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে হবে। তার জন্য তাদেরকে বাড়তি লগ্নির জোগান দিতে হবে। এর প্রয়োজনটাই উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। (চার) দু’টো ভারতীয় প্রস্তুতকারকের সঙ্গে আলোচনা করে ভ্যাকসিন ডোজের জন্য একটাই ন্যায্য দাম ঠিক করতেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার। (পাঁচ) অভিন্ন ন্যায্য দামেই ভ্যাকসিন বেচতে হবে। এই মর্মে প্রস্তুতকারক দু’টোকে সরকার হুঁশিয়ার করতে পারত। কমপালসারি লাইসেন্সিংয়ের বিধান প্রয়োগ করেই এই বার্তা দেওয়া যেত। কিন্তু সরকার তাতেও ব্যর্থ হয়েছে। (ছয়) সরকার ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে। দায়িত্ব ও খরচ বহনের ব্যাপারটা কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলোর মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য এটা দরকার ছিল।
‘ভারত হল পৃথিবীর ঔষধালয়’—এই দম্ভোক্তি নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অদক্ষতার সৌজন্যে। পরিবর্তে আমরাই আজ অন্য অনেক দেশ এবং প্রস্তুতকারকের কাছে ভ্যাকসিন পেতে আর্জি জানাচ্ছি। যদিও তাদের পক্ষে ভারতকে দেওয়ার মতো কমই রয়েছে। চূড়ান্ত অসম্মানটা তখনই হবে যখন আমরা চীনের সিনোফার্ম এবং অন্যকিছু চীনা ভ্যাকসিন নিতে রাজি হব। স্মরণ করা যেতে পারে, ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবরেটরিজ রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করতে চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারই সেটা কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছিল। আরও মনে রাখতে হবে, ফাইজার-বায়োএনটেক-এর ভ্যাকসিন অনেকগুলো মান্য নিয়ামক সংস্থার ছাড়পত্র পেয়েছে। তাদের ভ্যাকসিন ইতিমধ্যেই ব্যবহার করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ। তা সত্ত্বেও ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) ভারতে ওই ভ্যাকসিনের ‘ইমার্জেন্সি ইয়ুজ অ্যাপ্রুভাল’ দিতে অস্বীকার করেছিল!
ভ্যাকসিনের জোগান অপ্রতুল, এটাই সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়। নামী হাসপাতালগুলো থেকেও ভ্যাকসিন সঙ্কটের খবর আসছে। এটাই যদি হয় মেট্রোপলিটন সিটিগুলোর চেহারা, তবে কল্পনা করুন, বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি শহরের হাসপাতালগুলোর দুর্দশার কথা। ভাবুন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহর এবং বড় শহরগুলির অবস্থাও। ১৮-৪৪ বর্ষীয়রা যখন হাসপাতালে হাসপাতালে ভিড় জমাবেন ভ্যাকসিনের সঙ্কট তখন আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। বেড এবং অক্সিজেনের সঙ্কট নিয়ে এখন চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তৃপক্ষকে ঘেরাওয়ের পালা। ভ্যাকসিনের না-পাওয়ার কারণে ক্ষুব্ধ লোকজন অনুরূপভাবে এবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করতে থাকলে অবাক হব না। 
কেউ সবজান্তা নয়     
কেন্দ্রীয় সরকার এমন শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হল কেন? এই সম্পর্কে আমি দীর্ঘ তালিকা পেশ করতে পারি। কারণগুলো সংবাদ মাধ্যমের, বিশেষভাবে, বিদেশি মিডিয়ার খুঁজে বার করা: (এক) ঔদ্ধত্য: মন্ত্রীরা বলছেন, ‘মোদিজি যেভাবে মহামারীকে পরাস্ত করেছেন, পৃথিবী তাকে অভিনন্দিত করছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁকে ‘বিশ্বগুরু’ আখ্যা দিয়েছেন! (দুই) অতিশয় কেন্দ্রীকরণ: সমস্ত সিদ্ধান্ত একজনমাত্র ব্যক্তিই নেবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যগুলোকে অনুগত অধস্তন বানিয়ে ফেলা হয়েছে। (তিন) পরামর্শদানে দুর্বলতা: ডাঃ পল, ডাঃ গুলেরিয়া এবং ডাঃ ভার্গব—এই ত্রয়ীর প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। তবু মনে হচ্ছে, তথ্য বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীকে নির্ভয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার চেয়ে তাঁরা টেলিভিশনের পর্দাতেই বেশি সময় ব্যয় করে ফেলছেন। (চার) বিচ্ছিরি পরিকল্পনা: পরিকল্পনা জিনিসটা কী, সেটা পরিকল্পনা কমিশন ছাড়া কোনও সংস্থা জানে বলে মনে হয় না। বিশেষ করে যখন বিচিত্র পরিস্থিতি, ভয়ানক বিপর্যয় এবং অসংখ্য সমস্যাকে একসূত্রে গেঁথে একটা সমাধানে পৌঁছতে হবে। (পাঁচ) ‘আত্মনির্ভর’ কথাটার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে ভুল ক্ষেত্রে। ‘সেলফ-সাফিসিয়েন্সি’ জিনিসটাকে  উপলব্ধি করেনি। ফলে কথাটাকে সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদে নামিয়ে আনা হয়েছে। (ছয়) দু’টোমাত্র ভারতীয় প্রস্তুতকারক সংস্থাকে তোল্লা দেওয়া হয়েছে। অথচ দরকার ছিল উৎসাহ জুগিয়ে এই ‘জাতীয় উদ্যোগে’ আরও কিছু সংস্থাকে শামিল করার। অথবা, প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন আমদানি করে সেগুলো সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতে হতো। 
পথ সামনে জাতি বিরাট মূল্য চোকাচ্ছে। ১ মে’র হিসেবে, সারা দেশে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৯৯৩। ৩০ এপ্রিল সক্রিয় সংক্রামিতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ৩২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৭১০-এ। ওই সময়ে মৃত্যুর হার ছিল ১.১১ শতাংশ (সম্ভবত কমিয়ে দেখানো হয়েছে)। সারা পৃথিবীতে দৈনিক নতুন সংক্রমণের যে চিত্রটা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে ভারতের অংশ ৪০ শতাংশের বেশি!
এই চরম বিপর্যয় আমরা এখনও রুখে দিতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এবার থামা এবং নতুন উপায়ে পদক্ষেপ করা। স্বাধীনভাবে ভাবনাচিন্তা করতে সক্ষম এমন সর্বাধিক ৯ সদস্যের একটি গোষ্ঠীকে ক্ষমতা দিতে হবে। যে-গোষ্ঠীতে থাকবেন মন্ত্রী, চিকিৎসাশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাকারী এবং রূপায়ণকারী (তাঁরা কর্মরত অথবা অবসরপ্রাপ্ত, সরকারি কর্মচারী কিংবা সুশীলসমাজের অংশ হতে পারেন)। নামকরণ করা হোক এমপাওয়ার্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে এই গোষ্ঠীকেই পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হোক। ফলাফল কী হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শুধু সেটারই মূল্যায়ন করুন। হার্ভার্ডের পাঠ বিশেষভাবে ফলপ্রসূ।  
 লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ। বিশদ

01st  May, 2021
রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? বিশদ

30th  April, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার 
গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়? বিশদ

25th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী। বিশদ

23rd  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি
হারাধন চৌধুরী

মোদির সাঙ্গোপাঙ্গরা কী করছে? দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে নয়, দেশে আগুন জ্বালাতে রামনাম ব্যবহার করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির, অপছন্দের মানুষকে টিজ করার কিংবা মস্তানি গুন্ডামির ভাষা হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’! রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি। বিশদ

21st  April, 2021
একনজরে
মমতা-ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম-কংগ্রেস ঘাঁটি। জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় সেখানে বিজেপি মাথাচাড়া দিলেও এবার তারাও কুপোকাত। ...

প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ওড়িশায়। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল নবীন পট্টনায়েকের সরকার। আগামী ৫ মে বিকেল পাঁচটা থেকে ১৯ মে বুধবার ভোর ...

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দূত’ হিসেবে ময়দান থেকে এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন বিদেশ বসু। সেখানেও তিনি সফল। রবিবার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তিনি ১৭ হাজারের বেশি ভোটে ...

সসম্মানে ‘চ্যালেঞ্জ’ জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া জেলায় ফলাফল ১৬-০। আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীশূন্য হাওড়া। চারদিকে শুধুই জয় বাংলা স্লোগান, সবুজ আবীরের উচ্ছ্বাস। নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য জুড়েই শাসকদল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে হিড়িক পড়েছিল, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল হাওড়ায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM