Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি
হারাধন চৌধুরী

১ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। ৩০ মার্চ মঙ্গলবার ছিল প্রচারের শেষদিন। ঝড় তুলতে তৃণমূলের সেনাপতি রোড শো করেন ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের পীঠস্থান ভাঙাবেড়া। সেখানে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে হুইল চেয়ারে বসেই রোড শো করেন তিনি। তাঁকে ঘিরে মানুষের উৎসাহ, আগ্রহ, আবেগ ছিল অভিভূত হওয়ার মতো। কিন্তু ছন্দপতন ঘটায় মোদির পার্টি। রেয়াপাড়া দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর কনভয় এগনোর সময় বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসের সামনে থেকে উচ্চস্বরে ‘জয় শ্রীরাম’ হল্লা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বিজেপি প্রার্থীর পাতা ফাঁদের পা দেওয়ার বোকামি করেননি। আগে একাধিক জেলা সফরেও মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়াতে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে ‘‌জয় শ্রীরাম’ আওয়াজ তোলা হয়েছিল।
১২ ফেব্রুয়ারি। বাংলায় প্রচারে এসে অমিত শাহ জোরদার খেলেন ‘রামকার্ড’। তিনি বলেন, জোরে বলুন ‘জয় শ্রীরাম’। জোরে ধ্বনি তুলুন সবাই। সবাই ‘রামনাম’ উচ্চারণ করে গর্ববোধ করেন। শুধু মমতাজির আপত্তি। কারণ, তিনি তোষণের রাজনীতি করেন। তবে ভোট শেষ হতে হতে, মমতা দিদি, আপনিও ‌জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলবেন। কটাক্ষ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরিষ্কার হয় যে, নন্দীগ্রামে নোংরামি কোনও অর্বাচীনের ভুলচুক নয়, সংগঠিত অপরাধ, যার পিছনে পার্টির উচ্চ পর্যায়ের ইন্ধন ছিল। 
অমিত শাহের প্রশ্ন, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে হলে কোর্টে যেতে হবে? সরস্বতী পুজো করতে গেলে শিক্ষককে মারা যেতে হবে? সতর্ক করে দেওয়ার সুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মমতা দিদি, এটা হিন্দুস্থান। এখানে দুর্গাপুজো, সরস্বতীপুজো, রামনবমী সবই হবে। ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য আমাদের কর্মীদের খুন করা হচ্ছে! ‘জয় শ্রীরাম’ এখানে বলব না তো কি পাকিস্তানে গিয়ে বলব? 
মানুষ দেখুক, সুড়সুড়ি, উস্কানি কী লেভেলের 
হতে পারে! 
এবারই নেতাজি জয়ন্তীতে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঞ্চে উপবিষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁরই সামনে ভাষণ দিতে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। অমনি দর্শকদের ভিতর থেকে উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান! গেরুয়া শিবিরের এই অসৌজন্যে শুধু মমতার অপমান হয়নি, অপমানিত হয়েছিল বাংলার সংস্কৃতি। অপমান করা হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে। সবচেয়ে বড় অপমান যদি কারও হয়ে থাকে তা করা হয়েছে ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকেই। 
এটাও কাকতালীয় কি না, সেই প্রশ্ন রেখে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সেদিনের বিস্ময়কর নীরবতা। তাঁরই সামনে, আমন্ত্রিত স্থানীয় মুখ্যমন্ত্রীকে অপমানের তিনি প্রতিবাদ এবং নিন্দার কোনওটাই করেননি। নীরব ছিলেন নেতাজি এবং রামচন্দ্রের অপমান সম্পর্কেও। বিজেপির আরও নোংরামি দেখেছিল দেশ। হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ ট্যুইট করে মন্তব্য করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ‘জয় শ্রীরাম’ বলা মানে ষাঁড়কে লাল কাপড় দেখানো। এজন্যই তিনি ভিক্টোরিয়ায় ভাষণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে আরও ছোট করতে বিজেপি গত জানুয়ারিতে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা এক লক্ষ 
পোস্টকার্ড মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় পাঠানোর কর্মসূচি (পড়ুন নষ্টামি) নিয়েছিল।  
টার্গেট শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয়। ১৪ এপ্রিল। বেলঘরিয়ায় প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী তাপস রায়। বিজেপির লোকজন তাঁকে ঘিরেও ‘জয় শ্রীরাম’ আওয়াজ তুলেছিল। একই দিনে আরও একটি বিশ্রী ঘটনা ঘটল হুগলির চুঁচুড়ায়। ওই এলাকায় ভোট মিটে গিয়েছে। বুধবার ভোরে চকবাজার এলাকার মসজিদে যাচ্ছিলেন স্থানীয় মোয়াজ্জেম মহম্মদ সুফিউদ্দিন। তখন বাইক আরোহী তিন যুবক তাঁর পথ আটকায়। জবরদস্তি তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিতে বলে। স্বভাবতই বিস্মিত মানুষটি প্রশ্ন তোলেন, ওই ‘রাজনৈতিক স্লোগান’ কেন দেবেন! অভিযোগ, তাতে খেপে গিয়ে যুবক তিনজন ওই ধর্মপ্রাণ মানুষটিকে রাস্তায় ফেলে প্রহার করে। অতঃপর ‘জয় শ্রীরাম’ বলে চিল্লাতে চিল্লাতে তারা বাইক ছুটিয়ে চম্পট দেয়। অনেকের স্মরণে থাকতে পারে, ২০১৯-এ অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অধ্যাপক সেনের অপরাধ ছিল, তিনি একটি অপ্রিয় সত্য তুলে ধরেছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে। ‘কলকাতা আফটার ইন্ডিপেন্ডেন্স: আ পার্সোনাল মেমোয়ার’ শীর্ষক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি না-দেওয়ায় দেশের নানা প্রান্তে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছে। তার ফলেই অধ্যাপক সেন গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে পড়েন।   
চুঁচুড়ার ঘটনার দায় যথারীতি অস্বীকার করেছে বিজেপি, উল্টে দুষেছে তৃণমূলকে। কিন্তু আপাতত এই ছ্যাবলামির পরিণামটা ভেবে দেখছে কি হালের রামভক্তরা? অসহিষ্ণুতার রাজনীতি করতে গিয়ে তারা নিজের ঘরেই আগুন লাগাবার ষড়যন্ত্র করছে না কি? মোদির পার্টি সিএএ-র পক্ষে প্রচার করছে। তারা বহির্ভারতের হিন্দুদেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ইজারা নিয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের। কিন্তু গেরুয়া জন্তুরা এটা কেন ভেবে দেখছে না: এটা তথ্যের যুগ, এটা সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। চুঁচুড়ায় হোক আর চাঁদে হোক, ব্যাঙের সর্দি হলেও তার খবর বেডরুম অব্দি পৌঁছে যায় মুহূর্তের মধ্যে। চুঁচুড়ায় যে-কাণ্ড ঘটানো হল, পড়শি দেশেও তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। তাতে সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা নতুন করে বিপন্ন বোধ করতে পারেন। কারণ সেসব জায়গায় অন্য ধরনের মৌলবাদীরা মুখিয়ে আছে এই ধরনের দু’-একটা মন্দ দৃষ্টান্তকে হাতিয়ার করার জন্য।       
এইভাবেই মোদির পার্টি অনেক দিন ধরে বুঝিয়ে দিচ্ছে, ভোটের রাজনীতিকে কোন নীচে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। শ্রীরামচন্দ্রকে তারা মোটেই ভগবান বা আরাধ্য মানে না, ভোটের রাজনীতির এক বিরাট অস্ত্র হিসেবেই দেখে। অযোধ্যায় করসেবা, রামশিলাপূজন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস, দিকে দিকে রথযাত্রা, রামনবমী পালনের অজুহাতে অস্ত্র উঁচিয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতার আস্ফালন প্রভৃতির মধ্য দিয়ে তারা এই নীচতার লাগাতার সাক্ষ্য রেখে যাচ্ছে।  
আমরা আসলে বুঝতে চাই না যে আমাদের হৃদয়ের প্রকোষ্ঠটা ভীষণ ছোট হয়ে এসেছে। তাই হৃদয়ে ভগবান বা আরাধ্যের জায়গা হচ্ছে না। তিনি হৃদয়ে ব্রাত্য হয়ে উঠেছেন। তাঁকে টেনে আনছি ফুটপাতে কিংবা রাস্তায় অথবা কুবাক্যের স্রোতে। বাঙালির রামভক্তি যদি কিছুমাত্র খাঁটি হয়ে থাকে তাহলে আমি নিশ্চিত, এই লাগাতার নোংরামির ধৃষ্টতার জন্য মোদির পার্টিকে রামধাক্কা একদিন দেবেই মানুষ। 
দেবর্ষি নারদের মুখে রামচরিত কথা প্রথম শোনেন মহর্ষি বাল্মীকি। তারপর স্বয়ং ব্রহ্মা মহাকবি বাল্মীকিকে আশীর্বাদ করলেন এই বলে যে, ধরাতলে যতদিন গিরি-নদী প্রভৃতি বিরাজ করবে সংসারে ততদিন রামায়ণ প্রচারিত থাকবে। শ্রীরামচন্দ্রকে ‘নরচন্দ্রমাঃ’ আখ্যা দিয়েছিলেন নারদ। সত্যনিষ্ঠা, ত্যাগ, বৈরাগ্য, প্রেম, ধৈর্য, বীরত্ব ও ক্ষমাধর্মে এই সংসারে তিনি অদ্বিতীয় চরিত্র। তিনি সেই ভগবান যাঁকে আমাদের পরিবারের মধ্যেই খুঁজে পাই। রাজা হয়েও তিনি প্রজার দুঃখে কাতর হন, কাঁদেন। প্রিয় পত্নী এবং সন্তানদের প্রতি দায়িত্বপালনে ব্যর্থতার অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত হন, সমালোচিত হন। কিন্তু সত্যপালনের জন্য যে-কোনও ত্যাগস্বীকারে কুণ্ঠিত হন না তিনি। ভারতীয় সমাজে রামচন্দ্রকে এই কারণেই এতটা উঁচুতে স্থান দেওয়া হয়েছে। 
সর্বার্থে ধার্মিক ও ধর্মনিরপেক্ষ মহাত্মা গান্ধীর সারাজীবনের সঙ্গী ছিল রামনাম। শ্রীরামকৃষ্ণের কুলদেবতা ছিলেন রঘুবীর। তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম জমিদারের অত্যাচারে সর্বস্ব হারিয়ে কামারপুকুরে গিয়ে থিতু হয়েছিলেন শুধু এক রঘুবীর বিগ্রহকে আশ্রয় করে। পুত্র রামকৃষ্ণ ছিলেন ক্ষুদিরামের স্বপ্নেপাওয়া ধন, রঘুবীর স্বয়ং! ঠাকুর নিজেও ছিলেন রামলালার পরমভক্ত। নরেনকে তিনি রামমন্ত্রেই দীক্ষা দিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ভারতবর্ষ যা চায় তা রামায়ণেই পেয়েছে। রামায়ণ যেভাবে বাহুবল, জিগীষা ও রাষ্ট্রগৌরবের ঊর্ধ্বে গৃহধর্মকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে, তা অভিভূত করেছে রবীন্দ্রনাথকে। তিনি বলেছেন, ‘ভারতবাসীর ঘরের লোক এত সত্য নহে, রাম লক্ষ্মণ সীতা তাহার পক্ষে যত সত্য।’ 
গীতায় বলা হয়েছে, ইন্দ্রিয়কে বশে এনে জ্ঞান, ভক্তি ও শান্তি লাভের জন্য ঈশ্বরচিন্তা আবশ্যক। ভাগবতে বলা হয়েছে, ভগবানের লীলামাহাত্ম্যকীর্তনে তিনজনের কল্যাণ হয়—প্রশ্নকর্তা, উত্তরদাতা এবং শ্রোতা। ভগবান যখন মানুষের রূপে এসে ধরা দেন তখন তাঁকে উপলব্ধি করা, তাঁকে ভালোবাসা অনেক সহজ হয়। তাই ভারতের কোটি কোটি ভক্তপ্রাণ রামচন্দ্রকেই আরাধ্য বেছে নিয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে আসমুদ্রহিমাচলবাসী রামনাম কীর্তন ও শ্রবণ করে আনন্দলাভ করেছে। মহাভারত যদি ভারতবর্ষের মস্তিষ্ক হয় তো রামায়ণ তার হৃদয়। (এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ এস ওয়াজেদ আলির ‘ভারতবর্ষ’ গল্পটি প্রণিধানযোগ্য। যার অন্তিম অনুচ্ছেটি এইরকম: ‘মনে হল, আমি দিব্যচক্ষু পেয়েছি। প্রকৃত ভারতবর্ষের নিখুঁত একটি ছবি আমার চোখের সামনে ফুটে উঠল। সেই tradition সমানে চলেছে, কোথাও তার পরিবর্তন ঘটেনি।’) এই আনন্দের ঢেউ ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে বহু বহু দূর বিস্তৃত হয়েছে। সব মিলিয়ে রামচন্দ্র ভারত ও বহির্ভারতের অসংখ্য মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। 
ভক্তকবি তুলসীদাস বলেছেন, ‘রামনাম-মণি দীপ ধরু জীহ দেহরীদ্বার।/ তুলসী ভীতর বাহরহুঁ জেউচাহসি উঁজিয়ার।।’ অর্থাৎ দেহ তুলসীর দেউল। জিহ্বা তাঁর দ্বার। যদি দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে চাও তবে রামনামের মণিদীপ জিহ্বায় স্থাপন করো।
কিন্তু মোদির সাঙ্গোপাঙ্গরা কী করছে? দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে নয়, দেশে আগুন জ্বালাতে রামনাম ব্যবহার করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির, অপছন্দের মানুষকে টিজ করার কিংবা মস্তানি গুন্ডামির ভাষা হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’! রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি। আজ রামনবমী। ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। এই পবিত্র দিনে মোদি বাহিনীর অপকীর্তির জন্য ভগবানের কাছে ক্ষমা চাইছি। প্রার্থনা করছি, রামচন্দ্র এদের শুভবুদ্ধি দিন। ভারতের অগ্রগতির পথের সমস্ত বাধা দ্রুত দূর হয়ে যাক।
21st  April, 2021
বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ। বিশদ

01st  May, 2021
রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? বিশদ

30th  April, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার 
গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়? বিশদ

25th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী। বিশদ

23rd  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
একনজরে
লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের স্মৃতি ফিরে এল নরেন্দ্রপুরে। সময়ের ব্যবধান ১৫ বছর। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল সিআইডি’র বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের এক এএসআইয়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ নম্বর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। ...

প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ওড়িশায়। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল নবীন পট্টনায়েকের সরকার। আগামী ৫ মে বিকেল পাঁচটা থেকে ১৯ মে বুধবার ভোর ...

সসম্মানে ‘চ্যালেঞ্জ’ জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া জেলায় ফলাফল ১৬-০। আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীশূন্য হাওড়া। চারদিকে শুধুই জয় বাংলা স্লোগান, সবুজ আবীরের উচ্ছ্বাস। নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য জুড়েই শাসকদল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে হিড়িক পড়েছিল, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল হাওড়ায়। ...

মমতা-ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম-কংগ্রেস ঘাঁটি। জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় সেখানে বিজেপি মাথাচাড়া দিলেও এবার তারাও কুপোকাত। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM