Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী।
কংগ্রেসের সভাপতিত্বকালেই সুভাষচন্দ্র বসু নিষিদ্ধ করেছিলেন কংগ্রেস এবং হিন্দু মহাসভার দ্বৈত সদস্যপদ। অর্থাৎ, এক সংগঠনের সদস্য থাকলে অন্যটির সদস্য থাকা চলবে না। মুসলিম লিগের পক্ষেও সেই একই আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১৯৪০ সালের ৪ মে ফরওয়ার্ড ব্লকের কাগজে ‘কংগ্রেস এবং সাম্প্রদায়িক সংগঠন’ শিরোনামে সুভাষ সম্পাদকীয় লেখেন, “হিন্দু মহাসভা এবং মুসলিম লিগের মতো সাম্প্রদায়িক সংগঠনের কোনও সদস্য কংগ্রেসের কোনও নির্বাচনী কমিটির সদস্য হতে পারবেন না।” এই হিন্দু মহাসভার দুই শীর্ষ নেতার নাম— দামোদর বিনায়ক সাভারকর ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। যাঁদের উত্তরসূরি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরা।
অথচ, আজাদ হিন্দ সরকারের ৭৫ বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতাজির মতো টুপি পরে নিজেকে তাঁর ভক্ত প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেই নেতাজির আজাদ হিন্দ বাহিনী নিয়ে তাঁর সংগঠন আরএসএসের বিশ্লেষণ কী? আরএসএস–এর কাছে ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল একটি ‘প্রতিক্রিয়াশীল আন্দোলন’৷ নেতাজি যখন আজাদ হিন্দ বাহিনীকে নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে জীবন–মরণ সংগ্রামে লিপ্ত, সেই সময় আরএসএস তাদের মুখপত্র অর্গানাইজারে কার্টুন এঁকেছিল। যেখানে নেতাজিকে রাবণ বানানো হয়েছিল। আর আরএসএস তাঁকে তির মেরে হত্যা করছে। এদের উত্তরসূরি বলে গর্বিত বিজেপি আজ বাঙালির হৃদয় নেতাজির ছবি ব্যবহার করে ভোট চাইছে। এর জন্যই বলে, ভোট বড় বালাই!
অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই মনে করেন, “রাজনৈতিক হিন্দুত্ববাদীরা সাধারণ অর্থে হিন্দুধর্মের পক্ষে নন— হিন্দুত্বের পক্ষে। হিন্দুধর্ম তো সহস্র বছরের। আর হিন্দুত্ব, একশো বছর আগে সাভারকরের নব আবিষ্কার।” আর নেতাজি বলতেন, ‘‘হিন্দু মুসলমানের স্বার্থ পরস্পরের পরিপন্থী, এ কথা যাঁরা বলেন, তাঁহারা খাঁটি কথা বলেন না।...খাদ্যাভাব, বেকারিত্ব, জাতীয় শিল্পের অবক্ষয়, মৃত্যুর হার বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যহীনতা, শিক্ষার অভাব এগুলিই মূল সমস্যা। ...এই সকল বিষয়ে হিন্দু মুসলমানের স্বার্থ অভিন্ন’’ (সুভাষ রচনাবলি, চতুর্থ খণ্ড)। বিজেপির নীতি ঠিক এর বিপরীত। পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব কায়েম বিজেপির প্রথম লক্ষ্য হলে, দ্বিতীয় লক্ষ্য গোটা দেশে তাদের মতাদর্শ দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করা। সেই মতাদর্শ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ-নির্ধারিত। যা কি না প্রকারান্তরে হিন্দুস্থানকে ‘হিন্দু রাষ্ট্রে’ পরিণত করার শামিল। এই কারণে মোদি-শাহসহ বিজেপির শীর্ষ নেতারা বাংলায় এসে বারবার বলছেন, নির্বাচনী যুদ্ধে জেতাটাই বড় কথা নয়, আসল কথা মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা, যা এখনও শেষ হয়নি। সেই লক্ষ্যে বিজেপি দ্রুত এগিয়ে চলেছে। বাংলার রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে সংঘাতটা হয়ে উঠেছে যতটা রাজনৈতিক, ততটাই সাংস্কৃতিক। একদিকে ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুত্ব’, অন্যদিকে ‘নিখাদ বাঙালিয়ানা’। একদিকে সর্বগ্রাসী গোবলীয় সংস্কৃতি, অন্যদিকে শ্রীচৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দর ভক্তি ও ভাবধারার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের বহুত্ববাদী বাঙালিত্ব।
বাঙালিকে ‘বাঙালিয়ানা’ বিসর্জন দিয়ে ‘ভারতীয়’ করে তোলার তাগিদ কংগ্রেস বা কেন্দ্রের কোনও শাসকই কখনও অনুভব করেননি। ফলে সহাবস্থান ও সহনশীলতার আদর্শচ্যুত হননি। বহুত্ববাদ, বৈচিত্র্য ও বিবিধের প্রয়োজনীয়তা বিসর্জন দিয়ে গোটা দেশে এক মতবাদ প্রতিষ্ঠায় বিজেপির বর্তমান নেতাদের যে তাগিদ, এর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক লড়াই গোটা দেশের কাছে প্রতীক হয়ে উঠেছে।
‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’ বইয়ে জনসঙ্ঘের নেতা মাধব সদাশিব গোলওয়ালকর লিখেছিলেন, ‘‘হিন্দুস্থানের সমস্ত অহিন্দু মানুষ হিন্দুর ভাষা ও সংস্কৃতি গ্রহণ করবে ও পবিত্র বলে জ্ঞান করবে, হিন্দু জাতির গৌরবগাথা ভিন্ন অন্য কোনও ধারণাকে প্রশ্রয় দেবে না।...এক কথায় তারা হয় বিদেশি হয়ে থাকবে, না হলে হিন্দু জাতির দেশে তারা থাকবে সম্পূর্ণভাবে হিন্দুদের অধীনস্থ হয়ে, কোনও দাবি ছাড়া, কোনওরকম সুবিধা ছাড়া ও কোনওরকম পক্ষপাতমূলক ব্যবস্থা ছাড়া। এমনকি নাগরিক অধিকারও তাদের থাকবে না।’’ তাদের অন্যতম গুরু বিনায়ক দামোদর সাভারকরের কথায়, একমাত্র হিন্দুদেরই জন্মস্থান এবং আধ্যাত্মিক কেন্দ্র ভারতে অবস্থিত৷ তাই তারাই এ দেশের নাগরিক, ক্রিশ্চান, মুসলিম ইত্যাদি ধর্মাবলম্বীরা নন। এদেশে তাদের থাকতে হবে হিন্দুদের পদানত হয়েই।
এই যাঁদের ‘ভারতীয়ত্ব’ সম্বন্ধে ধারণা তাঁরা নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দকে কীভাবে আপন করতে পারবেন?
রবীন্দ্রনাথই তো বলেছিলেন, ‘‘বিধাতা কি তাহাকে এ কথা বলিয়া দিয়াছেন যে, ভারতবর্ষের ইতিহাস হিন্দুর ইতিহাস? হিন্দুর ভারতবর্ষে যখন রাজপুত রাজারা পরস্পর মারামারি কাটাকাটি বীরত্বের আত্মঘাতী অভিমান প্রচার করিতেছিলেন, সেই সময় ভারতবর্ষের সেই বিচ্ছিন্নতার ফাঁক দিয়া মুসলমান এদেশে প্রবেশ করিল, চারিদিকে ছড়াইয়া পড়িল এবং পুরুষানুক্রমে জন্মিয়া ও মরিয়া এ দেশের মাটিকে আপন করিয়া লইল’’ (সমাজ)। আর বিবেকানন্দের কথায়, ‘‘মুসলমানদের ভারতাধিকার দরিদ্র পদদলিতদের উদ্ধারের কারণ হইয়াছিল। দারিদ্র্য ও অবহেলার জন্যই আমাদের এক পঞ্চমাংশ লোক মুসলমান হইয়া গিয়াছে’’ (বাণী ও রচনা– পঞ্চম খণ্ড, পৃঃ ১৪৭)। ‘‘...একথা বলা মূর্খতা যে তরবারির সাহায্যে তাহাদিগকে ধর্মান্তর গ্রহণে বাধ্য করা হইয়াছিল। ...বস্তুত জমিদার ও পুরোহিতবর্গের হস্ত হইতে নিষ্কৃতি লাভের জন্যই উহারা ধর্মান্তর গ্রহণ করিয়াছিল’’ (বাণী ও রচনা, সপ্তম খণ্ড, পৃঃ ২২)।
আসলে সাভারকর কিংবা গোলওয়ালকরের মতো হিন্দুত্ববাদী নেতা আমাদের দেশে হিটলারের দর্শন ও কাজকর্মের প্রশস্তি রচনা করেছেন, এবং ত্রিশের দশকের জার্মানিতে ইহুদিদের প্রতি অবর্ণনীয় নিষ্পেষণ, ঘৃণা ও হিংসাকে সমর্থনযোগ্য মডেল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। গোলওয়ালকরের নির্দেশেই শ্যামাপ্রসাদ ১৯৫১ সালে মহাসভা ছেড়ে ভারতীয় জনসঙ্ঘ স্থাপন করেন। কেন জানেন? মহাত্মা গান্ধীর হত্যার পরবর্তী সময়ে তীব্র জনরোষকে সংসদে সামাল দেওয়ার জন্য। এই জনসঙ্ঘেরই পরবর্তী রূপ আজকের বিজেপি।
যে বিজেপি আজ স্বামী বিবেকানন্দকে হিন্দু সন্ন্যাসী প্রমাণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। মোদি-অমিত শাহরা না জানলেও, বাঙালিরা জানেন, বিজেপির একমাত্রিক হিন্দুত্বের সঙ্গে মাত্র উনচল্লিশ বছর বয়সে প্রয়াত এই সন্ন্যাসী যুবার আদর্শের বিরাট ফারাক। অত বড় ফারাক আছে বলেই মানবতাবাদীরা অনেক সময় বিবেকানন্দের শরণ নেন। শরণ নেন সেকুলাররাও। যাঁরা হিন্দু ধর্মের নামে ‘কারবার’ চালান সেই হিন্দুত্ববাদীদের ওপর বিবেকানন্দ খড়্গহস্ত। তিনি আসলে দুটি আলাদা মার্গের কথা বলেন। একটি মোক্ষ, অন্যটি ধর্ম। মোক্ষপরায়ণ যাঁরা, তাঁরা জাগতিক বিষয়ে উদাসীন, আত্মোপলব্ধির জন্য ত্যাগের পথে এগিয়ে যাবেন। সেই মোক্ষমুখী ত্যাগী তো সবাই হবেন না। যাঁরা মোক্ষপরায়ণ নন তাঁরা ধর্মপরায়ণ হবেন। এই ধর্ম বলতে বিবেকানন্দ জীবনযাপনের শৈলীর কথা বলছেন। এই শৈলী ঈশ্বর-বিমুক্ত নয়। তবে তার নানা রীতি, এ দেশে ও বিদেশে। বিবেকানন্দের মতে সেই রীতিটি এমন হওয়া চাই যাতে দেশ ও সমাজের উন্নতি হয়।
বিবেকানন্দ লিখেছিলেন, ‘অতীতে যত ধর্মসম্প্রদায় ছিল, আমি সবগুলিই সত্য বলিয়া মানি এবং তাহাদের সকলের সহিতই উপাসনায় যোগদান করি। প্রত্যেক সম্প্রদায় যেভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করে, আমি তাহাদের প্রত্যেকের সহিত ঠিক সেই ভাবে তাঁহার আরাধনা করি। আমি মুসলমানদিগের মসজিদে যাইব, খ্রিস্টানদিগের গির্জায় প্রবেশ করিয়া ক্রুশবিদ্ধ ঈশার সম্মুখে নতজানু হইব, বৌদ্ধদিগের বিহারে প্রবেশ করিয়া বুদ্ধের ও তাঁহার ধর্মের শরণ লইব, এবং অরণ্যে গমন করিয়া সেই–সব হিন্দুর পার্শ্বে ধ্যানে মগ্ন হইব, যাঁহারা সকলের হৃদয়–কন্দর–উদ্ভাষণকারী জ্যোতির দর্শনে সচেষ্ট।’
সমস্যা হল, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের বিকারগ্রস্ত একটা দিক আছে। যেখান থেকে হিন্দু মহাসভা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বিজেপির উৎপত্তি। এদের কাজ হল বিবেকানন্দের মতো এক সর্বাশ্লেষী ব্যক্তিত্বের উদার শব্দগুলি নিজের মতো করে ব্যবহার করা। যে হিন্দুত্বের মধ্যে বিবেকানন্দ ভারতের সংস্কৃতি এবং ধর্ম–দর্শনকে উদার মাহাত্ম্যে প্রোথিত করেছিলেন, সেটা ব্যবহৃত হতে থাকল বর্জনীয়তার রাজনীতির মধ্যে, যেখানে অহিন্দুরা আর ভারতীয় থাকেন না। ভুল ব্যাখ্যায় খণ্ডিত করে বিবেকানন্দকে আত্মসাৎ করা যেতে পারে, আত্মস্থ করা যায় না। এটা মোদি-অমিত শাহ না জানতে পারেন, বাংলার মানুষ জানেন। বিজেপি যে ঘৃণার রাজনীতিকে আমদানি করছে—সেই উগ্র–হিন্দুত্ববাদ, অন্ধ জাতীয়তাবাদের ভাবনার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, এমনকী হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রবক্তা বিবেকানন্দের চিন্তার আদৌ কোনও মিল নেই। বরং বিজেপির ‘ভারতীয়ত্ব’ ভারতীয় নবজাগরণের মনীষীদের চিন্তার ঠিক বিপরীত!
‘আসলে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে একটা মহাজনি সংস্কৃতি রয়েছে। সেই মহাজনি সত্তা কলকাতা দখলের মাধ্যমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কর্তৃত্ব করতে আগ্রহী। দ্বিতীয় কারণটি আদর্শগত। বিজেপির কাছে নেশন বা রাষ্ট্র, নেশন স্টেট, জাতীয়তা ও জাতীয়তাবাদে কোনও পার্থক্য নেই। অথচ, জাতীয়তাবাদ ও দেশপ্রেম কিন্তু এক নয়। দেশপ্রেম হলো ভৌগোলিক সেন্টিমেন্ট কিন্তু জাতীয়তাবাদ একটা আদর্শ। নেশন স্টেটের সঙ্গে তা সম্পর্কযুক্ত। বিজেপি এই দু’টি বিষয়কে একাকার করে দিয়েছে। এর ফলে নেশন স্টেট ঠিক করে দিচ্ছে কে দেশপ্রেমী, কে দেশদ্রোহী। বিজেপি সেটা চাপিয়ে দিচ্ছে। বাংলা দখলে এলে তা সর্বাত্মক হবে।’ প্রশ্নটা বাঙালির আত্মরক্ষার!
এহেন উত্তর ভারতীয় মতবাদের আগ্রাসনে এতকালের চেনা বাঙালিয়ানা ভেসে যাবে কি না, বাঙালিকেই তা ঠিক করতে হবে। স্বকীয়তা বজায় রেখে মাথা উঁচু করে বাঁচা, নাকি হিন্দুত্ববাদী প্রভুত্বের কাছে মাথা নোয়ানো? এই ভোট সেই চূড়ান্ত দিক নির্ণয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ।
23rd  April, 2021
বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ। বিশদ

01st  May, 2021
রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? বিশদ

30th  April, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার 
গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়? বিশদ

25th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি
হারাধন চৌধুরী

মোদির সাঙ্গোপাঙ্গরা কী করছে? দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে নয়, দেশে আগুন জ্বালাতে রামনাম ব্যবহার করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির, অপছন্দের মানুষকে টিজ করার কিংবা মস্তানি গুন্ডামির ভাষা হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’! রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি। বিশদ

21st  April, 2021
একনজরে
প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ওড়িশায়। সংক্রমণে রাশ টানতে এবার লকডাউনের পথে হাঁটল নবীন পট্টনায়েকের সরকার। আগামী ৫ মে বিকেল পাঁচটা থেকে ১৯ মে বুধবার ভোর ...

কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট: পদ্ম ও জোড়াফুলে আড়াআড়ি বিভক্ত হল নদীয়া জেলা। রবিবার ভোটগণনায় জেলার উত্তরাংশে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র ছাড়া বাকি সব আসনেই জয়ী হল তৃণমূল। তবে রানাঘাটের আসনগুলিতে জয় পেল গেরুয়া শিবির। ...

মমতা-ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম-কংগ্রেস ঘাঁটি। জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় সেখানে বিজেপি মাথাচাড়া দিলেও এবার তারাও কুপোকাত। ...

লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের স্মৃতি ফিরে এল নরেন্দ্রপুরে। সময়ের ব্যবধান ১৫ বছর। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল সিআইডি’র বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের এক এএসআইয়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ নম্বর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM