অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ জুড়ে অক্সিজেনের আকাল পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন ভিকি। জৌনপুর জেলা হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষারত রোগীদের জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। একদিনে ২৫-৩০ জন রোগীর জন্য অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন তিনি। তবে হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারেনটেনডেন্টের অভিযোগ, করোনা পরীক্ষা না করিয়েই সকলকে অক্সিজেন দিচ্ছিলেন ভিকি। শুধু তাই নয়, স্যানিটাইজ না করে সম্পূর্ণ অসুরক্ষিতভাবে গোটা প্রক্রিয়া চালাচ্ছিলেন তিনি। এই নিয়ে থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেন ওই স্বাস্থ্যকর্তা। তার ভিত্তিতেই ভিকির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করা হয়।
গোটা বিষয়টি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তারপর উত্তরপ্রদেশ সরকার ও প্রশাসনের কড়া সমালোচনায় সরব হয়েছেন নেট নাগরিকরা। তাঁদের বক্তব্য, এই অসময়ে ভিকির মতো অনেকেই সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন, কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষই সমস্যায় পড়বেন।
একইভাবে, কোভিড রোগীদের সাহায্য করতে অটোকেই অ্যাম্বুলেন্সে পরিণত করেছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক অটোচালক। নাম জাভেদ। অটোর মধ্যেই অক্সিজেন সহ একগুচ্ছ পরিষেবার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কিন্তু, গত শনিবার কার্ফুর মধ্যে রাস্তায় বেরনোয় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল পুলিস। জাভেদ বারবার বলেছিলেন, অটোতে করোনা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু, তাতে কর্ণপাত করা হয়নি। এই নিয়ে খবর প্রকাশিত হতেই জনমানসে প্রবল ক্ষোভ তৈরি হয়। এর ফলে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল প্রশাসন। প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণে রাশ টানায় মধ্যপ্রদেশে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। তাঁর মধ্যেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন জাভেদ। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও ইমার্জেন্সি পাস ছিল না।