Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

মরার সময় হরিনাম, নাকি বিলম্বিত বোধোদয়? নির্বাচন কমিশনের বিজয় মিছিলে নিষেধাজ্ঞা জারির পিছনে কোন যুক্তিটা কাজ করেছে, সেটা বোধোগম্য নয়। এই সিদ্ধান্তকে সমস্ত রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। তবে বঙ্গে করোনা বৃদ্ধির জন্য কমিশনের দিকেই সবচেয়ে বেশি আঙুল উঠছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও আট দফায় ভোটের জন্যই সুনামির শক্তি নিয়ে এরাজ্যে আছড়ে পড়েছে করোনা। এখন তাকে বালির বাঁধ দিয়ে আটকাতে চাইছে কমিশন। এসব দেখে কেউ কেউ বলছেন, কমিশন গাছের গোড়া কেটে ডগায় জল ঢালছে। সেসব করে কি আর গাছ বাঁচানো যায়? 
আট দফার নির্বাচন শেষ। ভোটের ফল কী হয়, তার অপেক্ষায় বাংলার সঙ্গে প্রহর গুনছে গোটা দেশ। ২মে সেই অপেক্ষারও অবসান ঘটবে। তবে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে চর্চা থেকেই যাবে। 
স্বশাসিত কমিশন আইনের চোখে ‘নিরপেক্ষ’ হলেও এবারের নির্বাচনে তারাই হয়ে উঠেছিল শাসক শিবিরের ‘প্রধান প্রতিপক্ষ’। কমিশনের একের পর এক জারি করা নির্দেশিকায় শুধু বিতর্কই তৈরি 
হয়নি, উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। তাই অনেক সময় বিজেপির চেয়েও নির্বাচন কমিশনকে বেশি আক্রমণ করেছে রাজ্যের শাসক দল। 
২৬ ফেব্রুয়ারিই তৃণমূল কংগ্রেস ‘রেফারি’র ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। তবে বিজেপি নেতাদের ফু-য়ে যে রেফারির বাঁশি বাজবে, সেটা তখনও ভাবতে পারেনি। একের পর এক অফিসার বদলি ও নানা নির্দেশিকা বুঝিয়ে দিয়েছে, ‘কর্তা’র ইচ্ছায় কর্ম হচ্ছে। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমিশনই হয়ে উঠেছে শাসক দলের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য। তৃণমূলের প্রায় কোনও দাবিই কমিশন মানতে চায়নি। উল্টে এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে বিজেপি সুবিধে পেয়েছে। তাই কমিশনের ‘নিরপেক্ষতা’র পাশে পড়ে গিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় শুধু তৃণমূল নয়, রাজ্যের অধিকাংশ মানুষই চাইছিলেন, ভোটের দফা কমানো হোক। তাতে কিছুটা হলেও করোনার থাবা সঙ্কুচিত হবে। শেষ তিন দফার ভোট একবারে করার দাবি জানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু, মানা হয়নি। কেন্দ্রীয় বাহিনী কম থাকলে বুথ লুটের ভয়। তাই ভোট আট দফায়। কমিশন বুঝিয়ে দিয়েছে, মানুষের জীবনের চেয়েও মূল্যবান বুথ আগলানো। 
করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন সমস্ত রাজনৈতিক দল মিছিল, মিটিং করেছে। হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছেন। তাতে নেতাদের উল্লাসের নীচে চাপা পড়েছে করোনার মৃত্যুভয়। শুরু হয়েছিল ভিড় জমানোর প্রতিযোগিতা। এমনকী, যে প্রধানমন্ত্রী করোনাকে ঠেকাতে দিনের পর দিন মানুষকে ঘরে থাকতে বলেছেন তিনিই ১৭ এপ্রিল আসানসোলের জনসভায় ভিড় দেখে বললেন, ‘এমন ভিড় কোনও সভায় দেখিনি।’ করতালিতে ফেটে পড়েছিল সভাস্থল। ওই দিন ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল প্রায় ২ লক্ষ।
শেষ পর্যন্ত বিচারপতির তিরস্কারে সম্বিত 
ফিরেছে কমিশনের। আদালতের হস্তক্ষেপে 
অধিকাংশ মানুষ স্বস্তি পেয়েছেন। ব্যতিক্রম কেবল বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র এই রায়ের পর বিচারপতির ‘প্রকৃতস্থ’ ছিলেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অনেকে আবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলছেন, ‘মুগুরের প্রয়োগ যথাযথ স্থানেই হয়েছে।’ 
আদালত ভোটগণনা বন্ধের হুমকি দিতেই কমিশন ‘বিজয় মিছিলে’র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা ‘মরার সময় হরিনাম’ বলে কটাক্ষ করলেও এর পিছনে পাকা মাথার অঙ্ক দেখছেন অনেকে। তাঁদের মতে, কমিশনের অধিকাংশ সিদ্ধান্তে বিজেপির সুবিধে হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পিছনেও নাকি বিজেপিকে রক্ষা করার একটা অঙ্ক রয়েছে। 
অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা যতই ২০০ আসনের দাবি করুন না কেন, কোনও সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপিকে তার ধারেকাছেও আসন দেয়নি। উল্টে তৃণমূলের ক্ষমতায় ফেরার আভাসই মিলেছে। ফল যদি সেটাই হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের এই 
নির্দেশ বিজেপি কর্মীদের জন্য ‘সুরক্ষা কবচ’ 
হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি বাংলার শান্তি 
রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা নেবে। 
এবার বঙ্গের নির্বাচনী প্রচারের সুর প্রথম থেকেই বেশ চড়া ছিল। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বদলা নেওয়ার হুঙ্কার যেমন বিজেপি দিয়েছিল, তেমনই ‘এবার আর রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজবে না’ বলে চমকে ছিল তৃণমূলও। নিচুতলায় তার প্রভাবও পড়েছে বেশ জব্বর। নির্বাচন মিটতেই বহু জায়গায় একপ্রস্থ মারামারি হয়ে গিয়েছে। ঘরছাড়া হওয়া ও জরিমানা আদায়ের ঘটনাও ঘটেছে। আপাতত সেই সব জায়গায় শান্তি বিরাজ করলেও উভয়পক্ষই ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে। ‘বদলা’ নেওয়ার অপেক্ষায়। সব মিলিয়ে নিচুতলায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। 
নির্বাচনের সময় দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীই নানা কথা বলেন। এটা নতুন কিছু নয়। কিন্তু দলবদলু নেতাদের হুঙ্কারে এবারে নির্বাচনী ময়দানের পারদ চড় চড় করে চড়েছে। নেতাদের ‘ভোকাল টনিকে’ কর্মীরা ঝামেলায় জড়িয়েছেন। অভিজ্ঞতা বলছে, লড়াইয়ে সব সময় গরিব মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হন। কারণ তাঁরাই লড়াইয়ের ‘বোড়ে’। এই অবস্থা থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। আর বের করে আনার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলিকেই নিতে হবে। যাদের জন্য পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ, জল ঢালার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে। 
এখনও আমরা বাঙালি বলে গর্ববোধ করি। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিবেকানন্দ আমাদের অহঙ্কার। তাঁদের শিক্ষাই আমাদের মধ্যে জাগিয়েছে ভ্রাতৃত্ববোধ, তৈরি করেছে বিপদের দিনে মানুষের পাশে থাকার মূল্যবোধ। সেই জন্যই ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেও বাংলাকে সেভাবে হিংসা 
ছুঁতে পারেনি। দেশ উত্তাল হলেও বাংলা ছিল 
অবিচল। একবার বা দু’বার নয়, এই দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে বহুবার। 
ফের একবার কঠিন পরীক্ষার মুখে আমরা দাঁড়িয়ে। একদিকে অগ্নিগর্ভ রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অন্যদিকে করোনার ছোবল। এমন সঙ্কটের মুখে বাংলা এর আগে কখনও পড়েনি। এই অবস্থায় যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, করোনাই হোক তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। রাজনৈতিক হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে সবাইকে নিয়ে করোনার মোকাবিলায় ঝাঁপাতে হবে। বাঙালিকে যারা ‘কাঁকড়ার জাত’ বলে কটাক্ষ করে মজা লোটে, তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে, ‘সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে’ নীতিতেই বাংলা বিশ্বাসী। তাহলে বাংলার মানুষও বুঝবেন, যোগ্য দলকেই তাঁরা জয়ী করেছেন। তাঁদের পছন্দ ভুল হয়নি। যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ সব সময় পাওয়া যায় না। সঙ্কটকালেই দিতে হয় দক্ষতার প্রমাণ।
করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান 
অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ।
নারায়ণ দাভলকর। বয়স ৮৫। প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে নাগপুরের ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই নারায়ণবাবু জানতে পারেন, তাঁর অর্ধেকেরও কম বয়সি এক মহিলা স্বামীকে ভর্তি করার জন্য দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু হাসপাতালে বেড খালি নেই। কথাটা শোনামাত্র নারায়ণবাবু ডাক্তারবাবুদের বলেন, ‘আমি তো অনেক দিন বাঁচলাম। ওই যুবকের সংসার রয়েছে। স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। সংসারে ওঁর বেঁচে থাকাটা খুব প্রয়োজন। তাই আমার বেডটি ওই যুবককে দিন।’ এই বলে তিনি মেয়েকে ফোন করে প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। বাড়িতে যাওয়ার পর নারায়ণবাবুর শ্বাসকষ্ট আরও তীব্র হয়েছিল। তিন দিনের মাথায় তিনি মারা যান।
না, ভুল বললাম। নারায়ণবাবু মারা যাননি। এই সমস্ত মহামানবের কখনও মৃত্যু হয় না। তাঁরা মরতে পারেন না। অবক্ষয় আর আস্ফালনের তাণ্ডবের মধ্যেও নারায়ণবাবুরা মাথা উঁচু করে যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন। সমাজের ‘জাগ্রত বিবেক’ হয়ে। 
নারায়ণবাবু রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের সদস্য ছিলেন। অন্যের প্রাণ বাঁচানোর জন্য নারায়ণবাবুর মহান আত্মত্যাগ বুঝিয়ে দিয়েছে, আরএসএস কোনও ব্যক্তির রাজনৈতিক উত্তরণের সোপান নয়, এ এক আদর্শ। তবে ব্যক্তি বিশেষে তার ফারাকও হয়ে যায় বিস্তর। একই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে কেউ দেন বদলার হুঙ্কার, ছুটে বেড়ান ক্ষমতার পিছনে। আবার কেউ অন্যকে বাঁচানোর জন্য নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে করেন। করোনার এই সঙ্কটময় মুহূর্তে নারায়ণবাবুর জীবনদর্শনই হোক আমাদের আদর্শ।
01st  May, 2021
বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? বিশদ

30th  April, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার 
গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়? বিশদ

25th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী। বিশদ

23rd  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি
হারাধন চৌধুরী

মোদির সাঙ্গোপাঙ্গরা কী করছে? দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে নয়, দেশে আগুন জ্বালাতে রামনাম ব্যবহার করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির, অপছন্দের মানুষকে টিজ করার কিংবা মস্তানি গুন্ডামির ভাষা হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’! রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি। বিশদ

21st  April, 2021
একনজরে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দূত’ হিসেবে ময়দান থেকে এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন বিদেশ বসু। সেখানেও তিনি সফল। রবিবার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তিনি ১৭ হাজারের বেশি ভোটে ...

মমতা-ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম-কংগ্রেস ঘাঁটি। জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় সেখানে বিজেপি মাথাচাড়া দিলেও এবার তারাও কুপোকাত। ...

লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের স্মৃতি ফিরে এল নরেন্দ্রপুরে। সময়ের ব্যবধান ১৫ বছর। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল সিআইডি’র বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের এক এএসআইয়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ নম্বর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। ...

সসম্মানে ‘চ্যালেঞ্জ’ জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। হাওড়া জেলায় ফলাফল ১৬-০। আক্ষরিক অর্থেই বিরোধীশূন্য হাওড়া। চারদিকে শুধুই জয় বাংলা স্লোগান, সবুজ আবীরের উচ্ছ্বাস। নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য জুড়েই শাসকদল তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার যে হিড়িক পড়েছিল, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল হাওড়ায়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM