Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাষ্ট্রের কাছে কি
এটাই প্রাপ্য ছিল?
সমৃদ্ধ দত্ত

তাহলে আপনাদের সময়কালে একটা দেশভাগ হলে কী করতেন? ভারত স্বাধীন হয়েছে, একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। কীভাবে সামলাতেন? প্রায় ছশোর বেশি দেশীয় রাজ্য আছে। তাদের ভারতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নরমে অথবা গরমে। পারতেন সেই কুশলতা দেখাতে? লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু আসছে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। আবার এদেশে থেকে চলেও যাচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ পাকিস্তানে। এই দুই মানবস্রোতের আসা ও যাওয়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থা করতে পারতেন? আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে, ঠিক সেই সময় কাশ্মীরে চলছিল যুদ্ধ? আর বিভিন্ন প্রান্তে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা! আজকের মহান দিল্লিশ্বরেরা একবার চোখ বুজে চিন্তা করুন তো, সেই পরিস্থিতির কথা? মনে করুন এই সব সঙ্কটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে আপনাদের।  নিজেদের প্রশাসনিক অযোগ্যতা, নেতৃত্বপ্রদানের ক্ষুদ্রতা, দূরদৃষ্টির ব্যর্থতা কি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে না এসব ভেবে? যে অতীত রাষ্ট্রনেতাদের আপনারা সারাক্ষণ হেয় করেন, উপহাস করেন, ব্যঙ্গ করেন, তাহলে নিশ্চয়ই সেই স্টেটসম্যানদের দেশ চালানোর যোগ্যতা কতটা তুঙ্গস্পর্শী ছিল উপলব্ধি করছেন এখন? কারণ, মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে দেওয়ার পরিকাঠামো সুষ্ঠুভাবে দিতে পারেন না। চিকিৎসা দিতে পারেন না। কীভাবে এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে তার কোনও অভিমুখই জানেন না! সংক্রমণ আর মৃত্যু বাড়লে আপনারা রাজ্য সরকার আর জনগণের দোষ দেন। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমতে শুরু করলে তৎক্ষণাৎ নিজেরা কৃতিত্ব দাবি করেন। 
২০২০ সালে আপনাদের সরকার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করতে পারেনি। হাজার হাজার মানুষ হেঁটে গিয়েছে হাজার কিলোমিটার। ২০২১ সালে আপনারা গোটা দেশকে চিকিৎসাই দিতে পারছেন না। মানুষ শুধু রোগাক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে না, দুর্ভাগ্য হল বহু মৃত্যু হচ্ছে চিকিৎসা না পেয়েও। অথচ আপনারা গোটা এক বছর সময় হাতে পেলেন। এই এক বছরে আমরা দেখলাম লাইভ টেলিকাস্ট অযোধ্যা থেকে রামমন্দিরের শিলান্যাসের। কই একটিও হাসপাতাল উদ্বোধন, অক্সিজেন প্লান্ট চালু হওয়া, ওষুধের উৎপাদন কারখানার সূত্রপাত অনুষ্ঠানের লাইভ টেলিকাস্ট তো দেখা গেল না! বিদেশি মুদ্রা উপচে পড়ছে রাজকোষে। ভারত জগৎসভায় একটি সম্মানজনক স্থানে উপনীত। জিডিপি যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক একটি অবস্থানে। 
মানুষের কাছে জীবিকা আসছে। বাড়ছে আর্থিক লেনদেন। ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া শীর্ষ স্পর্শ করছে। ঠিক এরকম একটি উজ্জ্বল ভারতকে প্লেটে করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল আপনাদের জন্য। যারা দিয়েছিল আচ্ছে দিনের জয়ধ্বনি, তারা আশা করেছিল নয়া দিল্লিশ্বর ভারতকে এক স্বপ্নজগতে নিয়ে যাবেন। আমেরিকা আর চীনকে টপকে বিশ্বগুরু হওয়া বোধহয় কয়েকমাসের ব্যাপার। দিল্লিশ্বরই পারবেন। সেই আশায় কোটি কোটি ভারতবাসী অপেক্ষা করল ৭ বছর। 
আজ সেই ভারতবাসীকে কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছেন দিল্লিশ্বর? যারা আজীবন নিষ্ঠার সঙ্গে ইনকাম ট্যাক্স দিয়ে এল, আজ তারা সামান্য অক্সিজেন না পেয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। যারা আজীবন বাধ্য ছাত্রের মতো লা‌ই঩নে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়ে গেল, আজ তারা হাসপাতালের একটা বেডও পাচ্ছে না। যারা দিনের পর দিন বছরের পর বছর বিনা প্রশ্নে রাষ্ট্রের সব নির্দেশ মেনে চলল, আজ সেই সাধারণ নিরীহ মানুষের কাছে সেই দেশ অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৫০ হাজার টাকা চাইছে, অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ৪৫ হাজার টাকা চাইছে, রেমডিসিভির ইনজেকশনের জন্য ১ লক্ষ টাকা চাইছে, হাসপাতালের গেটে কথা বলতে গেলে লাঠিচার্জ করা হচ্ছে! 
দিল্লি আর অমৃতসরে দুটি হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩৩ জন রোগী অকস্মাৎ বুঝতে পারলো তাদের অক্সিজেন মাস্কের অক্সিজেন আস্তে আস্তে কমে আসছে, তারপর অক্সিজেন বন্ধই হয়ে গেল। তাদের সামনে অথবা আড়ালে হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তাররা কাঁদছেন। কারণ আর অক্সিজেন নেই একফোঁটাও। এই নার্স ও ডাক্তারদের চোখের সামনে শ্বাস নিতে না পেরে প্রতিটি রোগীর মৃত্যু হল। এই ৩৩ জন কোন দলের সমর্থক ছিল? কী আসে যায়। সোজা কথা হল, অক্সিজেন কেউ পেল না। অথচ তারা ছিল বৈধ নাগরিক। ট্যাক্স দিয়েছে, ভোট দিয়েছে। আধার কার্ড আছে। এনআরসি হলে তারা নিশ্চিতভাবে এদেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণিত হতো। এমনকী গত বছর আপনাদের ডাকে সাড়া দিয়ে তারাই হয়তো বারান্দায় থালাবাসন বাজিয়েছে, মোমবাতি জ্বালিয়েছে। কিন্তু রাষ্ট্র তাদের জন্য কী করল? বুকে অক্সিজেন পৌঁছে দিতে পারল না। 
এখন গোটা দেশে একমাত্র আতঙ্ক কি করোনা? না। আর করোনার ভয় তো স্বাভাবিক। মারণরোগ। কিন্তু তার থেকে বেশি আতঙ্ক এই রোগ হলে চিকিৎসার সুযোগ পাবো না। হাসপাতালে বেড পাবো না। অক্সিজেন পাবো না। জীবনদায়ী ওষুধ নেই। এবং দিল্লি থেকে গুজরাতে দেখা গেল অবর্ণনীয় দৃশ্য। শ্মশানেও জায়গা নেই। নেই যথেষ্ট চিতাকাঠ। ফুটপাতে জ্বলছে শব। স্বজনের মৃতদেহের পাশাপাশি চিতাকাঠ খুঁজে আনতে হচ্ছে। এটাই কি পাওনা ছিল সুনাগরিক হওয়া আমাদের? আমরা নিজেদের যোগ্যতায় যে যতটা পারছি জীবিকা অর্জন করছি, ছেলেমেয়েকে পড়াচ্ছি, নিজেদের জীবনকে কেন্দ্র করে আছি। কোনও অন্যায় করিনি রাষ্ট্রের সঙ্গে। 
আজ সেই রাষ্ট্রের চোখের সামনে আমরা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাচ্ছি।
রাষ্ট্র যখন বলেছে, লকডাউন, আমরা সঙ্গে সঙ্গে মেনে নিয়ে পালন করেছি লকডাউন। ঘরে বসে থেকেছি। তারপর একদিন ক্যালেন্ডার থেকে যে কোনও একটি তারিখকে লটারির মতো বেছে নিয়ে রাষ্ট্র বলেছে, এইদিন থেকে লকডাউন শেষ। এর নাম দিলাম আনলক। আমরা সেই নির্দেশও নতমস্তকে মেনে নিয়েছি। আপনারা বলেছেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ। বাস বন্ধ। আমরা কোনও প্রতিবাদ করিনি। আমাদের জীবিকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যবিত্ত থেকে গত এক বছরে নিম্নবিত্তের ক্যাটাগরিতে চলে এসেছি সকলের অলক্ষ্যে। তাও আমরা আপনাদের উপর বিশ্বাস রেখেছি। 
আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠেকাতে সামান্য মাস্ক নাক থেকে নীচে নামালেই ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা রাজ্যভেদে জরিমানা হয়েছে। পুলিস অপমান করেছে। আমরা বাইরে কেন বেরিয়েছি তা জানার প্রয়োজন মনে করেনি পুলিস ও প্রশাসন। তারা আমাদের পোকামাকড় মনে করে। তাই লাঠি তুলে মেরেছে। তাড়িয়েছে গোরুছাগলের মতো। আমরা কোনও আপত্তি করিনি। যদিও দেখেছি নেতারা মাস্ক ছাড়াই প্রচার করছেন, ফোটো সেশন করছেন। 
রাষ্ট্র আমাদের বলেছে, ৩৭০ ধারা খুব খারাপ। বন্ধ করে দিলাম। তোমরা জয়ধ্বনি দাও। আমরা জয়ধ্বনি দিয়েছি। রাষ্ট্র বলেছে এনআরসি খুব ভালো। তোমরা আমাদের সমর্থন করো। আমরা বলেছি জয়তু এনআরসি। রাষ্ট্র আমাদের বলেছে রামমন্দির হবে। আমরা বলেছি জয় শ্রীরাম। এসবের বিনিময়ে আমরা ভেবেছি আমরা আরও উন্নত এক জীবনে প্রবেশ করব। কিন্তু কই! এই একটিও ইস্যু আমাদের অক্সিজেন দিচ্ছে না, আমাদের হাসপাতালে জায়গা দিচ্ছে না, আমাদের ওষুধ দিচ্ছে না। 
স্বাধীন গণতান্ত্রিক উজ্জ্বল রাষ্ট্রে সবথেকে শক্তিশালী শব্দ হল সোর্স। যার সোর্স আছে সে সময়মতো গ্যাস পেয়ে যায়, হাসপাতালে বেড পায়, অক্সিজেন পায়, খেলার টিকিট পায়। আর আমরা যারা ভেবেছিলাম আমাদের ভোটটা মনে হয় বিরাট শক্তিশালী এক অস্ত্র তারা এখন হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছি এক তেপান্তরের মাঠে। আজ পর্যন্ত কখনও শোনা গেল না কোনও নেতা অথবা মন্ত্রী বেড পাচ্ছেন না। ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না, চিকিৎসা পাচ্ছেন না। 
পেনশন নিতে ব্যাঙ্কে আমরা লাইনে দাঁড়া‌ই। নোটবাতিলের পর আমরা এটিএমে লাইন দিয়েছি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করাতে গ্যাসের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এতকাল ধরে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। লাইনে দাঁড়ানো আমাদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আজ, হঠাৎ আমাদের মনে ভয় ঢুকেছে এই মহামারীতে। বেঁচে থাকার? আমরা ঠিক কোন লাইনে দাঁড়িয়ে আছি এখন? মৃত্যুর? এই কি স্বাধীনতা ৭৫! 
30th  April, 2021
বাংলার আবেগের
অপর নাম আজ মমতা
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদির আজকের এই পরাজয় তাই শুধু বাংলাতে পা রাখতে না পারার লজ্জা নয়, এক ৬৫ বছরের মহিলাকে ক্রমাগত ‘দিদি ও দিদি’ ও ‘জয় শ্রীরাম’ গালাগালি নিক্ষেপ করারও মধুর বদলা।  বাংলা ও বাঙালি আজ মমতাময়। বিশদ

সঙ্কট থেকে  চরম বিপর্যয়
পি চিদম্বরম

আপনি এই নিবন্ধ যখন পড়ছেন ততক্ষণে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো বিরাট কর্মসূচিটা দেশে চালু হয়ে গিয়েছে। কিছু রাজ্য আগ্রহের সঙ্গে এবং কিছু রাজ্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও এতে শামিল হয়েছে। অন্যদিকে, ততক্ষণে শেষ হয়ে গিয়েছে ভোটগণনার মতো আর একটা ইভেন্ট এবং ফলাফল বেরিয়ে গিয়েছে। বিশদ

সঙ্কটকালে করোনাই
হোক প্রধান প্রতিপক্ষ
তন্ময় মল্লিক

করোনা আবহে দ্রুত বদলে যাচ্ছে সব কিছুই। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। সোনাদানা, গাড়ি বাড়ির চেয়েও বহু মানুষের কাছে মূল্যবান অক্সিজেন সিলিন্ডার। এই পরিস্থিতিতে বদল দরকার রাজনৈতিক নেতাদেরও। তাঁদের ভাবনার। কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি নয়, সঙ্কটকালে করোনাই হোক প্রধান প্রতিপক্ষ। বিশদ

01st  May, 2021
কেন্দ্রীয় সরকারের
অপদার্থতায় কোভিড বেলাগাম
মৃন্ময় চন্দ

কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিনই কোভিডে অব্যর্থ নয়, তাই ট্র্যাক-টেস্ট-ভ্যাকসিন এবং মাস্ক ও দূরত্ববিধির ওপর জোর দিলেই কোভিডের পরাক্রম কমবে। সর্বোপরি সর্বশক্তিতে প্রতিরোধ করতে হবে ভোটের বিজয় মিছিল। বিশদ

29th  April, 2021
দেশকে তিনি করেছেন
ছন্নছাড়া শ্মশানভূমি
সন্দীপন বিশ্বাস

জীবনদাতা নিজেই যখন টিকা উৎসবের ঘোষণা করে মরণ উৎসবে মেতে ওঠেন, দেশটা তখন একটা ছন্নছাড়া, শ্মশান ছাড়া আর কিছুই হয়ে উঠতে পারে না। স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জয়ন্তীর প্রাক্কালে দেশকে আপনি কোন শ্মশান যাত্রায় পাঠাচ্ছেন মিঃ পিএম?  বিশদ

28th  April, 2021
মানুষের জন্য কী করলেন?
জবাব চায় দেশ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রায় ৫১ কোটি ৩০ লক্ষ দেশবাসীকে নিজের ভ্যাকসিন নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। এটাই প্রধানমন্ত্রীর নিদান। কেন? দেশের তরুণ প্রজন্ম কি ছাগলের তৃতীয় সন্তান? নাকি এই প্রজন্মের জন্য গোমূত্র স্টক করা হচ্ছে? বলা যায় না... কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি বলতে পারেন যে, গোমূত্র খেলে কোভিড হবে না, তাহলে সে দেশে সব সম্ভব। বিশদ

27th  April, 2021
সাত বছর বাদে প্রাপ্তি বঞ্চনা, রোগ আর মৃত্যু
পি চিদম্বরম 

দু’বছর আগে তাকে ক্ষমতায় বসাতে দেশ শুধু বিজেপিকেই ৩০৩ আসন দিয়েছিল। আর তার নেতৃত্বাধীন এনডিএ-কে দিয়েছিল ৩৫৩ আসন। এই বিপুল গরিষ্ঠতা যে সরকারের সেটা
তৃতীয় বর্ষে পদার্পণের প্রাক্কালে প্রাসঙ্গিক দু’টি প্রশ্ন রাখা দরকার: (এক) কোন ধরনের শাসনব্যবস্থা আমরা পেলাম? 
বিশদ

26th  April, 2021
‘সুনার’ ভারতে মৃত্যু মিছিল,
নষ্টামির দায় কার?

হিমাংশু সিংহ

প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি আক্রান্ত আর ২ হাজার মৃত্যু যে-দেশের নিয়তি, সেখানে সুনার দেশটাই যে অবিরাম কাঁদছে। ‘সুনার বাংলা’ আর হবে কী করে? মহামারীর মধ্যে রাজার 
গলায় একটা অঙ্গরাজ্য দখলের এই নষ্টামি মানায়? বিশদ

25th  April, 2021
অফিসার বদলে বাংলার
রায় বদলানো যাবে না
তন্ময় মল্লিক

কমিশন ‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচনের স্বার্থে যাঁদের দায়িত্ব দিচ্ছে, তাঁদের মধ্যে নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠিকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি চর্চা। শোনা যাচ্ছে, তাঁকে পছন্দ করার পিছনে রয়েছে নন্দীগ্রামের ব্যাকগ্রাউন্ড। বয়ালে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে উর্দি দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘এতে দাগ লাগতে দেব না।’ বিশদ

24th  April, 2021
মোদির হিন্দুত্ব বনাম মমতার
বাঙালিয়ানার লড়াই
মৃণালকান্তি দাস

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হিন্দু মহাসভার মিটিং ভেঙে দিয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ফরওয়ার্ড ব্লকের বাহিনী। শুধু শ্যামাপ্রসাদের মিটিং ভেঙে দেওয়াই নয়, সুভাষ বাহিনী আরও বেশি নির্মম ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতি। শ্যামাপ্রসাদের নিজের লেখা ‘লিভস ফ্রম আ ডায়েরি’ তার সাক্ষী। বিশদ

23rd  April, 2021
কমিশন যেন ‘ধৃতরাষ্ট্র’, রাজ্যে
গণতন্ত্র বিসর্জনের পথে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কমিশন যা করছে তাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছে তৃণমূল। শুধুমাত্র নাকি বিজেপিকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে। শুরু থেকেই বিজেপি চেয়েছিল, রাজ্যে আট দফায় নির্বাচন হোক। সেটাই হচ্ছে, যা ভারতবর্ষে আগে কোথাও কখনও হয়নি। বিশদ

22nd  April, 2021
রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি
হারাধন চৌধুরী

মোদির সাঙ্গোপাঙ্গরা কী করছে? দেহের ভিতর-বাহির আলো করতে নয়, দেশে আগুন জ্বালাতে রামনাম ব্যবহার করছে। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির, অপছন্দের মানুষকে টিজ করার কিংবা মস্তানি গুন্ডামির ভাষা হয়ে উঠেছে ‘জয় শ্রীরাম’! রামনামের এত বদনাম আগে হয়নি। বিশদ

21st  April, 2021
একনজরে
লালগড়ের ঝিটকার জঙ্গলের স্মৃতি ফিরে এল নরেন্দ্রপুরে। সময়ের ব্যবধান ১৫ বছর। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল সিআইডি’র বম্ব ডিজপোজাল স্কোয়াডের এক এএসআইয়ের। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। শনিবার নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ ২ নম্বর অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। ...

কৃষ্ণনগর ও রানাঘাট: পদ্ম ও জোড়াফুলে আড়াআড়ি বিভক্ত হল নদীয়া জেলা। রবিবার ভোটগণনায় জেলার উত্তরাংশে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র ছাড়া বাকি সব আসনেই জয়ী হল তৃণমূল। তবে রানাঘাটের আসনগুলিতে জয় পেল গেরুয়া শিবির। ...

মমতা-ঝড়ে বিধ্বস্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বাম-কংগ্রেস ঘাঁটি। জেলার ন’টি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গত লোকসভায় সেখানে বিজেপি মাথাচাড়া দিলেও এবার তারাও কুপোকাত। ...

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দূত’ হিসেবে ময়দান থেকে এবার রাজনীতির আঙিনায় পা রেখেছিলেন বিদেশ বসু। সেখানেও তিনি সফল। রবিবার উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে তিনি ১৭ হাজারের বেশি ভোটে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২ - শহর হিসেবে আত্মপ্রকাশ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির
১৮৩৯ - ভারতীয় শিল্পপতি ও টাটা গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার জন্ম
১৯১৩- ভারতের প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘রাজা হরিশচন্দ্র’ মুক্তি পেল
১৯৩৯ - সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন
১৯৬৯- তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর জাকির হুসেনের মৃত্যু
১৯৮১- অভিনেত্রী নার্গিসের মৃত্যু
১৯৮৮ - কল্লোল যুগের অন্যতম প্রধান সাহিত্য-ব্যক্তিত্ব প্রেমেন্দ্র মিত্রর মৃত্যু
২০০৬- রাজনীতিবিদ প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৪ টাকা ৭৫.০৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৭২ টাকা ১০৫.২২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩০ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
01st  May, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
01st  May, 2021

দিন পঞ্জিকা

১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী ২১/২২ দিবা ১/৪০। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৮/৮ দিবা ৮/২২। সূর্যোদয় ৫/৬/৪৯, সূর্যাস্ত ৬/০/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫০ মধ্যে পুনঃ ১০/১৭ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৫ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১১/১১ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২৫ গতে ৫/৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৩ গতে ৮/২০ মধ্যে পুনঃ ২/৪৭ গতে ৪/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১০ গতে ১১/৩৩ মধ্যে। 
১৯ বৈশাখ, ১৪২৮, সোমবার, ৩ মে ২০২১। সপ্তমী রাত্রি ৬/৫১। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র দিবা ১/৩০। সৃর্যোদয় ৫/৭, সূর্যাস্ত ৬/১। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৫ মধ্যে ও ১০/১৪ গতে ১২/৫১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৫০ গতে ৯/০ মধ্যে ও ১১/১১ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রেযোগ দিবা ৩/২৮ গতে ৫/১৩ মধ্যে। কালবেলা ৬/৪৪ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ২/৪৮ গতে ৪/২৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/১১ গতে ১১/৩৪ মধ্যে। 
২০ রমজান। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে ভোট অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

12:51:12 AM

আদর্শ আচরণ বিধি প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন 

08:30:02 PM

নেপালে বন্ধ অভ্যন্তরীন বিমান পরিষেবা, ৬মে থেকে বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ানও  

07:43:23 PM

অসমে ভূমিকম্প, মাত্রা ৩.৭ 

07:18:07 PM

ব্যাহত হবে পানীয় জলের পরিষেবা, জানুন কবে
 

দক্ষিণ কলকাতা এবং সংযুক্ত কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে জল ...বিশদ

06:48:53 PM

বদল হচ্ছে মেট্রোর সময়সূচি
 

আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কলকাতা মেট্রোর পরিষেবা এবং সময়সূচী ফের বদল ...বিশদ

06:34:35 PM