অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কেবল রাহুল গান্ধীই নন, বোন প্রিয়াঙ্কাও প্রচারে গিয়েছেন অসমে। উত্তরপ্রদেশের বাইরে এবারই প্রথম অন্য কোনও রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন সোনিয়া-কন্যা। কিন্তু বিজেপিকে হারাতে পারলেন না গান্ধী পরিবারের দুই উত্তরসূরি। অসমে প্রথমবার পরপর দু’বার ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। রবিবার পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফল এও স্পষ্ট জানিয়ে দিল, একা কংগ্রেসের পক্ষে নরেন্দ্র মোদিকে মোকাবিলা কার্যত অধরা। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিনের সঙ্গে জোটে থেকে বিজেপি বিরোধী জোটে নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখেছে কংগ্রেস। গতবারের চেয়ে আসনও বেড়েছে। তবে এই জয়ে যে ডিএমকের কৃতিত্বই সিংহভাগ, তা জানেন সকলেই।
এহেন পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা। কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাহুল গান্ধী রাজি হলেও মানুষের সমর্থন আদৌ ফেরানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আগামী জুন মাসে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে তা পিছতে পারে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির অশ্বমেধের ঘোড়া রুখতে না পেরে সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল। তারপর থেকেই অস্থায়ীভাবে সেই দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। কিন্তু তিনিও এবার সরতে চান। তাই ফের রাহুল গান্ধীর হাতেই ব্যাটন তুলে দিতে চান অধিকাংশ কংগ্রেসী। কিন্তু কংগ্রেসের পালে হাওয়া কতটা লাগবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।