মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
বিগত কয়েক বছর ধরেই ফ্ল্যাটের বিক্রি কমে যাওয়ায় নগদ টাকায় টান পড়ে রিয়েল এস্টেট প্রকল্পগুলির। নির্মিত ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়ায় নির্মীয়মাণ আবাসন প্রকল্পগুলির কাজ থমকে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। টাকার অভাবে যাতে প্রকল্পগুলি বন্ধ না হয়ে যায়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানায় সংস্থাগুলি। তাতে সাড়া দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রিয়েল এস্টেটের জন্য একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেন। ২৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গড়া হয়, যেখানে সরকার নিজে দেয় ১০ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ও একটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থাকে।
ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে ক্রেতারা যাতে না ঠকেন, তার জন্য আবাসন প্রকল্পগুলিকে নিয়মে বাঁধতে কেন্দ্রীয় সরকার আইন আনে। তার নাম রিয়েল এস্টেট (রেগুলেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) অ্যাক্ট বা ‘রেরা’। ওই আইন অনুযায়ী রাজ্যগুলিকেও বিধানসভায় আইন পাস করানোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। বলা হয়, প্রতিটি রাজ্যে গড়তে হবে একটি করে অথরিটি, যারা ওই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে। কেন্দ্র জানিয়ে দেয়, ওই অথরিটির আওতায় থাকা প্রকল্পগুলি ফান্ডের সুবিধা পাবে।
পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের ওই আইনকে সামনে রেখে গঠন করে হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেটরি অথরিটি বা ‘হিরা’। অভিযোগ, রাজ্য যেহেতু ‘রেরা’র বদলে ‘হিরা’ চালু করেছে, তাই কেন্দ্র ওই সুবিধা দিতে রাজি নয়। তাতে কতটা ক্ষতি নির্মাতা সংস্থাগুলির? আবাসন সংস্থাগুলির সর্বভারতীয় সংগঠন ক্রেডাইয়ের বেঙ্গল চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট নন্দু বিলানি বলেন, গোটা দেশ যে সুবিধা পাচ্ছে, আমরা তা পেলাম না। ওই ফান্ড নির্মাতাদের উপকারে আসতে পারত। আমি ক্রেডাইয়ের তরফে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছি। বাজেটের আগে শিল্পমহলের পরামর্শ নিতে কলকাতায় এসেছিলেন অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁকেও আমরা বিষয়টি জানাই। তিনি আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু বাজেট পেশ হয়ে গেলেও, আমাদের আর্জি শোনা হয়নি। কেন্দ্র ইচ্ছা করলেই নিমেষে এই সমস্যার সমাধান করতে পারত।