কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের জলশক্তি মন্ত্রক থেকে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাদের এলাকায় জলের উৎস কী কী তা জানাতে হবে। তা পুকুর, নদী বা কুয়ো হোক বা টিউবওয়েল। এর জন্য একটি সমীক্ষা করতে হবে। সেই সব জলের উৎসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। সেই জল পান করা হয়, না বাসন ধোয়া বা স্নান করা হয়, তা সমীক্ষায় উল্লেখ করতে হবে। এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে একটি ‘ইউজার গ্রুপ’ তৈরি করতে বলা হয়েছে। যাঁরা সেই পুকুর, কুয়ো বা টিউবওয়েল ব্যবহার করেন, তাঁদের ওই গ্রুপে রাখতে হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতকে পরিস্রুত পানীয় জল ব্যবহারের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির পর এবার পানীয় জলের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য জলশক্তি মন্ত্রক থেকে গঙ্গার জল পরিশোধন সহ জলের উৎস সংরক্ষণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। অবশ্য এই দপ্তরও কেন্দ্রীয় সরকারের জলশক্তি মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের সহযোগিতায় গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের কাজ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। ওই দপ্তরের অধীনে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, নন্দীগ্রাম, ভাঙড়-রাজারহাট, মুর্শিদাবাদ, দার্জিলিংয়ে বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় ছোট-মাঝারি জল প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর।
সেই সব কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি সেই অসন্তোষের কথা প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর কাছে খবর আছে, পাইপ কিনে রেখে ফেলে রাখা হচ্ছে। অথচ প্রকল্পের কাজ এগচ্ছে না। এরপর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সিদ্ধান্ত নেয়, আগে থেকে কোনও পাইপ কিনে রাখা হবে না। প্রকল্পের কাজ চলার সময় পাইপ কেনা হবে। সেই সঙ্গে দ্রুতগতিতে সব কাজ শেষ করতে হবে। আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সব ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে বৈঠক করবেন ওই দপ্তরের প্রধান সচিব মনোজ পন্থ। সেই বৈঠকে প্রতিটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাদে কোনও প্রকল্পের কাজের জন্য জমি নিয়ে অসুবিধা নেই বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। তাই নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে বলে নবান্ন থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।