কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
ইএসআই হাসপাতাল থেকে এনে ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাসের পাশে অবস্থিত এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল চার মাসের কুহেলিকে। পেটের সমস্যাজনিত কারণে তার কোলনোস্কোপি করার সিদ্ধান্ত হলেও পরে তা বাতিল হয়। পরবর্তীতে শিশুটি মারা যায়। প্রাথমিকভাবে ‘ডিহাইড্রেশন’-এ তার মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু, পরে মেডিক্যাল কাউন্সিলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে যে তদন্ত হয়, সেখানেই ওই ডাক্তারের নাম উঠে আসে। সঙ্গে আরও দু’জনের বিরুদ্ধে কাউন্সিল চার্জশিট দেয়। অভিযুক্তদের বক্তব্য নথিবদ্ধ করা হয়। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ ছিল, এমন একটি ওষুধ তিনি শিশুটিকে দিতে বলেছিলেন, যা অত কম বয়সের শিশুকে দেওয়া যায় না। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। অন্যদিকে, হাসপাতালের তরফে যাঁরা সাক্ষ্য দেন, তাঁরা কাউন্সিলকে জানিয়েছিলেন, ডাক্তারবাবু মৌখিকভাবে যে ওষুধ দিতে বলেছিলেন, সেটাই দেওয়া হয়েছিল।
এই প্রেক্ষাপটে ওই নির্দেশ জারির পর কাউন্সিলের আইনজীবী শৈবালেন্দু ভৌমিক জানান, হাইকোর্টে তিনদিন ধরে মামলাটির শুনানি হলেও কাউন্সিলের কাছ থেকে হলফনামা মারফত বক্তব্য চাওয়া হয়নি। যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কাউন্সিল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তাও পেশ করতে বলা হয়নি। তা সত্ত্বেও তিনি আদালতকে জানিয়েছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী, কাউন্সিলের এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সচিবের কাছে চ্যালেঞ্জ করা যায়। সেই সিদ্ধান্ত অপছন্দ হলে যাওয়া যায় কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রকে। সেক্ষেত্রে মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে পরামর্শ করে মন্ত্রক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।