কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
ধর্মতলার সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে কো-অর্ডিনেশন কমিটি সহ বামপন্থী সংগঠনগুলির এক প্রতিনিধিদল নবান্নে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। আগেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। কো-অর্ডিনেশনের সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন, নবান্নে গিয়ে এক ঘণ্টা পুলিসের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁরা স্মারকলিপি জমা করতে পেরেছেন। ধর্মতলার সমাবেশে কো-অর্ডিনেশনের নেতাদের পাশাপাশি বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা না করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। সুজনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সময় দিতে না পারেন, কোনও একজন মন্ত্রী তো সরকারি কর্মী, শিক্ষক প্রতিনিধিদের কথা শুনতে পারতেন।
কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে কো-অর্ডিনেশন কমিটি ও অন্যান্য সংগঠনের সমর্থকরা মিছিল ও বাস ভাড়া করে ধর্মতলায় আসেন। বিধাননগরের সরকারি অফিসের কর্মীদের বাসে মধ্য কলকাতার তালতলায় কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে বলে কো-অর্ডিনেশন কমিটি অভিযোগ করেছে। বাসের মধ্যে উঠে বেশ কয়েকজন কর্মীকে মারধর করা হয়। তাঁদের মধ্যে মহিলাও ছিলেন। কয়েকজন হামলায় রক্তাক্ত হন। তালতলা থানায় এব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজয়শঙ্করবাবু জানিয়েছেন, এই হামলার পিছনে শাসকদলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হাত আছে। ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার রাজ্য জুড়ে সরকারি অফিসগুলিতে টিফিনের সময় বিক্ষোভ দেখানো হবে। পুলিস জানিয়েছেন, উৎপল রাজবংশীর দায়ের করা এফআইআর এর ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে। এই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের বিভিন্ন বিষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই মূলত এদিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন ও ধর্মঘট করার অধিকার প্রভৃতির দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।