কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, ২০১৬ সালে বিধায়ক হওয়ার পর থেকে খড়্গপুরে দু’কামরার ভাড়া বাড়িতেই দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন তিনি। কলকাতায় এক দলীয় কর্মীর দেওয়া ফ্ল্যাটেই এখন থাকেন আরএসএস’র এই প্রাক্তন প্রচারক। তাঁর উপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে, দিল্লির এহেন বার্তা পেলেও তাকে বিশেষ পাত্তা দেননি দিলীপবাবু। এমপি হওয়ার পরও দিল্লিতে তিনি পরিচিত কিংবা পার্টিকর্মীদের আশ্রয়ে কাটিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নজরে আসে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তারপরই তাঁর বাংলোর জন্য তৎপরতা শুরু হয়। অবশেষে এদিন নতুন বাড়িতে উঠে এলেন তিনি। একইভাবে পুরনো গাড়ি ছেড়ে নয়া ব্র্যান্ডের দামি ও বুলেটপ্রুফ গাড়ি নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছিল বিভিন্ন মহলের তরফে। কিন্তু তা পত্রপাঠ বাতিল করে দেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর যুক্তি, আমি সাধারণ মানুষ। কর্মীদের মাঝে থেকে কাজ করতে চাই। তাই নামী-দামি গাড়ির দরকার নেই।
এ নিয়ে বুধবার দিল্লিতে দিলীপবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রায় প্রত্যেক এমপি’র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাকেও তাই ফ্ল্যাট দেওয়া হয়েছে। আজ গৃহপ্রবেশ করে থাকতে শুরু করলাম। তিনি বলেন, পার্টির নেতা-কর্মীরাই আমার পরিবার। তাই কলকাতা-মেদিনীপুর-দিল্লি যেখানেই থাকি, দলের লোকও সঙ্গে থাকে। অন্যদিকে, গাড়ি পরিবর্তনের বিষয়ে বঙ্গ বিজেপি’র প্রধানের ব্যাখ্যা, রাজ্যের শাসকদলের বদান্যতায় গত চার বছরে আমার গাড়ি একাধিকবার ভাঙচুর করা হয়েছে। তার উপর কাঁথি থেকে কাকদ্বীপ কিংবা বহরমপুর থেকে বারুইপুর—সব জায়গাতেই এই গাড়িতে যাতায়াত করি। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অফিসাররা বহুদিন ধরেই গাড়ি বদলানোর পরামর্শ দিচ্ছিলেন। পার্টি মনে করেছে, তাই আমায় নতুন গাড়ি দিয়েছে। উপনির্বাচনের সম্ভাব্য ফল প্রসঙ্গে তাঁর আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য, তিনজন বিজেপি প্রার্থীই এই উপ-নির্বাচনে জয়ী হবেন।