Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহারাষ্ট্রে টানটান সিরিয়ালের নায়ক কে
সন্দীপন বিশ্বাস

কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অবসান হয়েছে। যুধিষ্টিরের অভিষেক পর্বও হয়ে গিয়েছে। রাজনীতি, রাজধর্ম নিয়ে শিক্ষা নিতে তিনি গেলেন শরশয্যায় শায়িত ভীষ্মের কাছে। ভীষ্ম তাঁকে সেদিন যে উপদেশ দিয়েছিলেন তা আদর্শ রাজধর্ম এবং রাজনীতি বলেই বিবেচিত হয়। কিন্তু আজকের যুগের স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতি দেখলে মনে হয় এই রাজনীতি যেমন নীতির রাজা নয়, তেমনই রাজার নীতিও নয়। রামায়ণে মেঘনাদ বধের সময় লক্ষ্মণ যেমন সমস্ত রণনীতি বিসর্জন দিয়ে বলেছিলেন, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’। রামায়ণের সেই অপনীতিকেই শিরোধার্য করে আজকের রাজনীতিকরা যেন বলেন, ‘কর ক্ষমতা দখল, হোক সে যতই হীন কৌশল’।
এসব কথার পরিপ্রেক্ষিত যে অবশ্যই মহারাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনা, তা নিশ্চয় বুদ্ধিমান পাঠককে বুঝিয়ে বলতে হবে না। মধ্যরাতে সেখানে চমক। একমাস ধরে চলা টানটান সিরিয়ালের ক্লাইম্যাক্স এবং কুর্সিদখল আমরা দেখলাম। এই ঘটনা মহারাষ্ট্র সহ দেশের মানুষকে আরও একবার বুঝিয়ে দিল রাজনীতিকদের কাছে ক্ষমতা দখলই আসল মধু। নীতির কথা বলে যখন দলনেতারা ভোটভিক্ষা করেন, সেটা তাঁদের মুখোশ আর মাঝরাতের কুনাট্যটাই আসল সত্যি। ভোর হওয়ার আগেই সাঙ্গ কর খেলা। দখল কর কুর্সি। রাতের অন্ধকারেই হোক ক্ষমতা দখলের গেরিলাযুদ্ধ। হাঃ হাঃ হাঃ। যাত্রাপালা হলে শহপগ্রহণের পর এমনই হতে পারত দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সংলাপ।
একমাসের টানটান সিরিয়াল বৈকি! অথচ একমাস আগে যখন হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্রের ফল প্রকাশিত হল, দেখা গেল বিজেপি এককভাবে কোথাও ক্ষমতাদখলের মতো জায়গায় নেই। অনেকেই মনে করেছিলেন, মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনার সরকার হবে। কেননা সেখানে ঘোষিত জোট। সঙ্কটের কোনও প্রশ্নই নেই। বরং মাথাব্যথার কারণ হতে পারে হরিয়ানা। কিন্তু সেখানে সঙ্কট তৈরি হল না। অমিত শাহের সুপার ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেলেন জননায়ক জনতা পার্টির নেতা দুষ্যন্ত চৌতালা। দশটি আসনে জয়ী হয়ে তিনি বিজেপিকে সরকার গড়তে সাহায্য করলেন এবং নিজে উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেলেন। উল্টোদিকে মহারাষ্ট্রে খুব সহজেই সরকার গড়া হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু ফল ঘোষণার পর রাত পোহাতেই বেঁকে বসল শিবসেনা। তারা দাবি করল। আমরা আধাআধি ভাগ চাই। আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী হবেন বিজেপির কেউ। আর বাকি আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থাকবে শিবসেনার হাতে। নরমসরম রাজনীতিক উদ্ধব হঠাৎই ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য নাছোড় হয়ে উঠলেন। শিবসেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারেকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন তিনি এতটা আগ্রাসী নন। হঠাৎ কী এমন হল যে তিনি এমন মরিয়া হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখলের জন্য। শিবসেনার অন্দরের খবর যাঁরা রাখেন, তাঁদের ঝুলিতে আছে অনেক গোপন কথা। সেসব ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের অলিতে গলিতে। ফলপ্রকাশের পরই হঠাৎ সক্রিয় হয়ে ওঠেন উদ্ধব থ্যাকারের স্ত্রী রশ্মি থ্যাকারে। তিনিও দীর্ঘদিন রাজনীতিকে অনেক কাছ থেকে দেখেছেন। একটা সময় শিবসেনায় সঙ্কট তৈরি হয়েছিল। বালাসাহেব-পরবর্তী সময়ে দলের নিয়ন্ত্রণ কার দিকে যাবে? ছেলে উদ্ধব, নাকি ভাইপো রাজ? রাজ অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। দলের কর্মীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। আর উদ্ধবের রাজনীতিতে তেমন মন নেই জাঙ্গল ফোটোগ্রাফি করে বেড়ান। বিভিন্ন দুর্গে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলেন। সেটাই তাঁর ভালোলাগার জগৎ। কিন্তু রশ্মি সেদিন প্রভাব খাটিয়ে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এলেন উদ্ধবের দিকে। শিবসেনা ভাঙল। রাজ থ্যাকারে নতুন দল গড়লেন। রশ্মি একজন রাজনীতিক হিসেবে গড়ে তুলতে লাগলেন উদ্ধবকে। বালাসাহেবের অনুগতদের বেরতে দিলেন না রাজের দিকে। নিজে আড়ালেই থেকে গেলেন। কিন্তু শিবসেনার সকলেই জানেন আড়ালে থাকলেও তিনি দলের একজন বড় নীতিনির্ধারক। রাজনীতির অনেক ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করা গিয়েছে তাঁর অনায়াস পদক্ষেপ। দলের সবাই তাঁকে ডাকেন ‘বহিনি-সাহিব’ বলে। কিন্তু আসলে তিনি দ্বিতীয় ‘মা-সাহিব’। প্রথম মা ছিলেন বাল থ্যাকারের স্ত্রী মীনা থ্যাকারে। আর এখন তিনিই দ্বিতীয় মা। বহুক্ষেত্রেই দল তাঁর নীতি অনুসরণ করে চলে। ফলপ্রকাশের পর থেকেই দলের সমস্ত রাশ তাঁর হাতেই। তিনিই ঠিক করছেন কী হবে, কার সঙ্গে দল কথা বলতে হবে ইত্যাদি। তিনিই প্রথম আড়াই বছর করে ক্ষমতা দখলের কথা বলেন। বিজেপি তা অস্বীকার করলে রশ্মিই ঠিক করেন, পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় বসবেন তাঁর স্বামী উদ্ধব থ্যাকারে। এর জন্য যে সংখ্যার দরকার, তা নেওয়া হবে কংগ্রেস ও এনসিপির কাছ থেকে। দলের সকলকে বলে দেওয়া হল, প্রেসের কাছে কেউ মুখ খুলবেন না। যা বলার একা সঞ্জয় রাউতই বলবেন। সঞ্জয় দলের খুবই বিশ্বস্ত, অনুগত। ঘটনার দু’দিন আগে মাত্র তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্ল্যস্টি হয়েছিল। সেই অবস্থায় দলের নির্দেশে নেমে পড়লেন তিনি। কেন্দ্রে বিজেপি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন শিবসেনার অরবিন্দ সাওয়ান্ত। রশ্মির কাছে এটা ছিল ‘নাউ অর নেভার’। তিনি বুঝেছিলেন মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে শিবসেনার এক নম্বর হয়ে ওঠার এটাই মোক্ষম সময়।
শুরু হয়ে গেল সরকার গড়ার নানা নাটক। দু’পক্ষই তৎপর হল। কিছু খেলা চলল প্রকাশ্যে, আবার কিছু খেলা চলল গোপনে। সাধারণ মানুষ তার কিছুটা জানতে পারল আর কিছুটা জানতে পারল না। কিন্তু যেভাবে কুর্সি দখল নিয়ে গেম চলতে লাগল, তাতে ভোটাররা কার্যতই অসন্তুষ্ট। বিভিন্ন দলের মধ্যে আলোচনা যেটুকু চলতে লাগল, সবটাই দলীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে। মানুষ যে সমীকরণ দেখে ভোট দিয়েছিলেন। ভোটের পর সেই সমীকরণ বজায় রাখার ইচ্ছে বা মানসিকতা কারও দেখা গেল না। পক্ষের ভোট এবং বিরোধী ভোট জট পাকিয়ে ফায়দা তুলে ক্ষমতা দখলের সেই পুরনো খেলা চলতেই লাগল। যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরা অপমানিত হলেন। যাঁরা বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাও অপমানিত হলেন। অথচ কী আশ্চর্যের কথা, এসব মান-অপমান, অভিমানের হিসেব কষার সময় রাজনীতিকদের নেই।
আমরা দেখছি ঘটা করে শিবসেনা, কংগ্রেস, এনসিপি আলোচনার পর আলোচনা করেই চলেছে। যাঁরা মাছ ধরেন তাঁরা বলেন, বড়সড় মাছকে বেশি ছিপে খেলাতে যেও না। কখন যে ছিপ ছিঁড়ে পালিয়ে যাবে, কেউ জানতেও পারবে না। মহারাষ্ট্রেও সেটাই হল। শারদ পাওয়ারকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা অনেক আগেই শিবসেনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপির দিকে হাতের তির ছুঁড়ে দেওয়ার পর শিবসেনার আর কিছুই করার ছিল না। সে নিজেই ক্রীড়নক হয়ে গিয়েছিল। অনেকেরই মনে আছে দিন কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শারদ পাওয়ারের বৈঠকের কথা। মুখোমুখি শুধু দু’জন। পাওয়ারের দলের মাস্টার স্ট্রোক মারার কথাটা রটেছিল সেদিন থেকেই। কেননা সেদিন সেই মিটিং থেকে বেরিয়ে পাওয়ার বলেছিলেন, ‘আমাদের আলোচনা হয়েছে কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে।’ আশ্চর্য, এমন একটা মিটিং হল, অথচ সেখানে পাওয়ারের দলের কেউ নেই। মোদির সঙ্গেও কেউ ছিলেন না। এমনকী কৃষি নিয়ে আলোচনায় ডাকা হয়নি দেশের কৃষিমন্ত্রীকেও। অনেকেরই ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল। কেননা পাওয়ার রাজনীতিতে এমন এক ব্যক্তিত্ব যিনি কখন যে কী বল করবেন, কেউই জানেন না। তার আগে সংসদের অধিবেশনের শুরুতে মোদি উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন দুটি দলের। নবীনের বিজেডির এবং শারদের এনসিপি’র। এমনও হতে পারে যে তখন গোপনে বিজেপি শিবিরের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং অন্যদিকে মিটিংয়ের পর মিটিং চলছে শিবসেনার সঙ্গে। এসব কি তবে সময় নষ্টের খেলা ছিল?
এর মধ্যে উঠে আসছে অনেক অজানা তথ্য। রামদাস আটওয়ালে ইতিমধ্যেই শারদ পাওয়ারের দিকে একটা টোপ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ‘এনডিএতে আসুন। অনেক উপহার আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।’ অনেকে কানাঘুষো করে বলছেন, আগামীদিনে পাওয়ার-কন্যা সুপ্রিয়া সুলে যদি কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়ে যান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ভিতরে ভিতরে নাকি খেলা সেদিকেই এগচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, এই খেলায় অজিত পাওয়ার নাকি বোড়ে। আসল খেলা পাওয়ারেরই হতে পারে। বহুযুদ্ধের, বহু ওলোটপালোটের ঘোড়া হলেন পাওয়ার। অজিত রাতারাতি ডিগবাজি খেলেন আর পাওয়ার তার কিছু জানতে পারলেন না, এটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। মহারাষ্ট্রে কোন গাছের পাতা কখন পড়ল, তার খবরও চলে আসে পাওয়ারের কাছে। আর এমন অতর্কিত চালে পাশা উলটে দেওয়ার ইতিহাস পাওয়ারের আছেই। সেটা ১৯৭৮ সাল। তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসন্তদাদা পাতিল। উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নাসিকরাও তিরপুরে। আর এই সরকারের মন্ত্রিসভায় শ্রমমন্ত্রী ছিলেন শারদ পাওয়ার। কাকপক্ষী টেরও পেল না, একদিন হঠাৎ করে দান পালটে সরকার ফেলে পাওয়ার হয়ে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অনেকেই বলছেন, এখন সেই খেলাই পাওয়ার ভাইপোকে দিয়ে খেললেন নাতো!
এই পুরো সিরিয়ালের নায়ক কে তা অবশ্য জানা গেল না! তবে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে হেরে গেলেও আশা ছাড়ছেন না রশ্মি থ্যাকারে। তিনি অপেক্ষায় থাকছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, পাঁচ বছর অনেকটাই সময়। এর মধ্যে ফের পাশার দান উল্টে যেতে পারে। উদ্ধবকে মহারাষ্ট্রের কুর্সিতে বসানোর পণ করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত যাব’।
অনেকেই বলেন, অমিত শাহের বিরুদ্ধে খেলতে যেও না। কূটনীতি এবং পাওয়ার পলিটিক্সে তাঁকে হারানো খুব শক্ত। মহারাষ্ট্র জয় করে তিনি সেটা আবার সবাইকে বুঝিয়ে দিলেন। তবে মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে এবার অনেক বেশি সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। কেননা খেলাটা এখন সেয়ানে সেয়ানে। বিজেপির একটা ভুল পদক্ষেপ ফের বাজি উল্টে দিতে পারে। অজিত পাওয়ারের জেলে ঢোকানোর হুঙ্কার বাস্তবে ঘটবে কি না, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আমাদের। আর পাওয়ার সবকিছুর আড়ালে থেকে হয়তো বলবেন, খেলো খেলো আই অ্যাম ওয়াচিং। 
25th  November, 2019
উপনির্বাচনী ফল: বঙ্গজুড়ে পারদ চড়ছে কৌতূহলের
মেরুনীল দাশগুপ্ত

আজ রাজ্যের তিন বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনী ফল বেরচ্ছে। কথায় বলে, ফলেই পরিচয়। ফলেন পরিচীয়তে। আজ সেই ফলের জন্য উদ্‌গ্রীব বাংলা, বাংলার রাজনৈতিকমহল। নানান জনের নানা প্রত্যাশা চতুর্দিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবশ্য সেজন্য আসমুদ্রহিমাচল বাংলা টানটান উত্তেজনায় কাঁপছে বললে হয়তো অত্যুক্তি হবে। বিশদ

পাওয়ারের শক্তিপরীক্ষা
শান্তনু দত্তগুপ্ত

এখন সত্যিই জানতে ইচ্ছে হচ্ছে, বালাসাহেব থ্যাকারে বেঁচে থাকলে কী করতেন! আগের রাতে শুনে ঘুমাতে গেলেন, শিবসেনার জোট সরকার হচ্ছে এবং ছেলে উদ্ধব সেখানে মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরদিন সাতসকালে ঘুম ভেঙে দেখলেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন।
বিশদ

26th  November, 2019
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া কি রাজভবনের দায়বদ্ধতা?
হিমাংশু সিংহ

 ভেবেছিলাম লিখব শুধু পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার ও রাজভবনের বিগত দু’মাসের অবাক করা ভূমিকা নিয়ে। কিন্তু শনিবার ভোর হতে না হতেই সুদূর মহারাষ্ট্রের রাজভবনের ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ স্পষ্ট করে প্রমাণ করল, আজকের রাজ্যপালরা কেন্দ্রের শাসক দলের হাতের পুতুল ছাড়া আর কিছুই নন। বিশদ

24th  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। 
বিশদ

23rd  November, 2019
ব্যাঙ্কের রাহুমুক্তি কবে? তাকিয়ে দেশের মানুষ
মৃণালকান্তি দাস

 সাম্প্রতিক কালে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পরে অস্বস্তি বেড়েছে মোদি সরকারের। সেই অস্বস্তি আরও কয়েক দফা বাড়িয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্ট জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে প্রতারণা-জালিয়াতির ঘটনা বেড়েছে আরও অনেকখানি। প্রায় ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, প্রতারণা সবচেয়ে বেশি হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতেই। জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ছ’মাসে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে ৯৫,৭০০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা হয়েছে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতারণার ঘটনা ছুঁয়েছে ৫,৭৪৩টি। সম্প্রতি এই কথা জানিয়েছেন খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। যেখানে তার আগের বছর ২,৮৮৫টি ঘটনায় নয়ছয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮,২৬০ কোটি। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কেন্দ্র বার বার নজরদারিতে জোর দেওয়ার কথা বললেও, প্রতারণা এতখানি বাড়ছে কী করে? কে বা কারা করছে এই প্রতারণা?
বিশদ

22nd  November, 2019
তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন: মিলবে লোকসভা-উত্তর রাজ্য-রাজনীতির মতিগতি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যে প্রথম তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ আগামী ২৫ নভেম্বর,ফলাফল ২৮ নভেম্বর। খড়্গপুর সদর করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল থেকে বিবাদমান রাজ্য-রাজনীতির একাধিক প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে। বিশদ

21st  November, 2019
ভারত-মার্কিন সহযোগিতাই ঠেকাতে পারবে
অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের বিপদ 
কেনেথ আই জাস্টার

কেউ কি ভাবতে পেরেছিল, সামান্য একটি ছাতাপড়া ‘মেলন’ জাতীয় ফলের ভিতর লুকিয়ে রয়েছে অগণিত মানুষের জিয়নকাঠি? হ্যাঁ, পেনিসিলিন—এটাই হল সর্বপ্রথম অ্যান্টিবায়োটিক।   বিশদ

20th  November, 2019
শিবসেনা ও একটি পরম্পরার অপমৃত্যু
শান্তনু দত্তগুপ্ত

শিবাজি পার্কের জনসভায় তির-ধনুকটা নামিয়ে বক্তৃতা শুরু করতে গিয়েও থমকে গেলেন বাল থ্যাকারে। শব্দবাজির দাপট কানের যাবতীয় সহ্যক্ষমতা অতিক্রম করছে। সঙ্গে চিৎকার... উল্লাস। অপেক্ষা করছেন শিবসেনা ‘প্রমুখ’। তির-ধনুক তাঁর দলের প্রতীক। পৌরুষের প্রতীক। তিনি নিজেও তাই। ১৯৯৫ সালের বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বের প্রচার।  
বিশদ

19th  November, 2019
প্রচলিত ছকে মৌসুমি বায়ু চরিত্র বোঝা যাচ্ছে না
শান্তনু বসু

২০১৯-এর এই উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত আবহাওয়াবিদদের হিসেবেই ছিল না। উদ্বৃত্ত বৃষ্টিপাত ভূগর্ভস্থ জলস্তরকে পুনরুজ্জীবিত করবে সন্দেহ নেই, কিন্তু আগামী বছর যদি আরও দেরিতে কেরলে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে, ভারতের কৃষি আবার অনিশ্চয়তায় চলে যাবে। চলতি বছরের উদ্বৃত্ত জলকে ধরে রাখা হয়েছে—এমন সুখবর কিন্তু নেই।
বিশদ

18th  November, 2019
একটি কাল্পনিক স্মরণসভা
সন্দীপন বিশ্বাস

সাদা কাপড়ে মোড়া মঞ্চজুড়ে সারি সারি চেয়ার-টেবিল। টেবিলের উপরে ফুলদানিতে সাদা ফুল। মঞ্চের একপাশে বড় একটি ছবি। তাতে সাদা মালা দেওয়া। শোকস্তব্ধ পরিবেশ। আজ এখানে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশনের স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে সমাজের গণ্যমান্য সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকেই এসেছেন।  
বিশদ

18th  November, 2019
মূল্যবোধের রাজনীতি ও
মহারাষ্ট্রের কুর্সির লড়াই
হিমাংশু সিংহ

আজকের নির্বাচনী রাজনীতি যে কতটা পঙ্কিল ও নোংরা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ আজকের মহারাষ্ট্র। সঙ্কীর্ণ স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতিতে ক্ষমতা দখলের নেশায় ছোটবড় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই আজ মরিয়া। মহারাষ্ট্রের ফল বেরনোর পর গত তিন সপ্তাহের রাজনীতির নাটকীয় ওঠাপড়া সেই অন্ধকার দিকটাকেই বড় প্রকট করে তুলেছে। ভোটের ফল ও কে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন তা নিয়ে দুই পুরনো জোট শরিকের দ্বন্দ্ব যে দেশের বাণিজ্য পীঠস্থান মুম্বই তথা মহারাষ্ট্রকে এমন নজিরবিহীন সঙ্কটে ফেলবে, তা কে জানত? যে জোট পাঁচ বছর ধরে রাজ্য শাসন করল এবং এবারও গরিষ্ঠতা পেল, সেই জোটই ভেঙে খান খান!
বিশদ

17th  November, 2019
ঘর ওয়াপসি ও কিছু প্রশ্ন
তন্ময় মল্লিক

 ঘর ওয়াপসি। ঘরে ফেরা। ‘ভাইজান’ সিনেমার ছোট্ট মুন্নির ঘরে ফেরার কাহিনীর দৌলতে ‘ঘর ওয়াপসি’ এখন আমবাঙালির অতি পরিচিত শব্দ। সেই পরিচিত শব্দটি অতি পরিচিতির মর্যাদা পেয়েছে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক নেতাদের একাংশের ঘন ঘন জার্সি বদলের দৌলতে।
বিশদ

16th  November, 2019
একনজরে
 নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৭ নভেম্বর: খাদ্যশস্য এবং চিনি বাধ্যতামূলকভাবে প্যাকেজিং করতে হবে পাটের ব্যাগেই। ২০১৯-২০ সালের জন্য এই সংক্রান্ত নিয়মের নবীকরণে আজ অনুমোদন দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আর্থিক উপদেষ্টা কমিটি। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কাজ কতটা হয়েছে, তা সরজমিনে খতিয়ে দেখে বিডিওদের রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিলেন হাওড়ার জেলাশাসক। এতদিন পঞ্চায়েত থেকে যে রিপোর্ট পাঠানো হত, তাই জেলাশাসকের অফিসে পাঠানো হত। ...

 লখনউ, ২৭ নভেম্বর (পিটিআই): অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। বুধবার এআইএমপিএলবির সচিব জাফরাব জিলানি জানিয়েছেন, ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর সিদ্ধান্ত ...

সংবাদদাতা, দিনহাটা: মঙ্গলবার দুপুরে দলের মণ্ডল সভাপতির নাম কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব ঘোষণা করার পর রাতেই দিনহাটায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। গেরুয়া শিবিরের ক্ষুব্ধ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮১৪: প্রথম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে (বাষ্পচালিত মেশিনে) ‘দি টাইমস’ পত্রিকা ছাপানো হয়
১৯৬২: গায়ক-অভিনেতা কৃষ্ণচন্দ্র দে’র মৃত্যু
১৯৯০: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মার্গারেট থ্যাচার
২০০৮: ২৬/১১’র মুম্বই হামলায় জখম দুই জওয়ান মেজর সন্দীপ উন্নিকৃষ্ণণ এবং এন এস জি কম্যান্ডা হাবিলদার গজেন্দ্র সিংয়ের মৃত্যু 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৬৪ টাকা ৭২.৩৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.২৮ টাকা ৯৩.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৭.২৮ টাকা ৮০.২৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮, ৪১০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬, ৪৪০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬, ৯৮৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪, ৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪, ৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ২৯/৫৪ সন্ধ্যা ৫/৫৯। জ্যেষ্ঠা ৩/৫১ দিবা ৭/৩৪। সূ উ ৬/১/২৯, অ ৪/৪৭/১৫, অমৃতযোগ দিবা ৭/২৮ মধ্যে পুনঃ ১/১২ গতে ২/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৯/১২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/২৪ মধ্যে পুনঃ ৪/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ২/৫ গতে অস্তাবধি, কালরাত্রি ১১/২৪ গতে ১/৩ মধ্যে।
১১ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ২৮ নভেম্বর ২০১৯, বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয়া ৩২/৪৪/৮ রাত্রি ৭/৯/৫। জ্যেষ্ঠা ৮/৪/০ দিবা ৯/১৭/২, সূ উ ৬/৩/২৬, অ ৪/৪৭/১২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৯ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৫ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৫৮ গতে ৩/৩৩ মধ্যে ও ৪/২৭ গতে ৬/৪ মধ্যে, বারবেলা ৩/২৬/৪৩ গতে ৪/৪৭/১২ মধ্যে, কালবেলা ২/৬/১৫ গতে ৩/২৬/৪৩ মধ্যে, কালরাত্রি ১১/২৫/১৯ গতে ১/৪/৫১ মধ্যে।
৩০ রবিয়ল আউয়ল

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল 
মেষ: কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। বৃষ: নতুন গৃহ ক্রয়বিক্রয়ের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮১৪: প্রথম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে (বাষ্পচালিত মেশিনে) ‘দি টাইমস’ পত্রিকা ছাপানো ...বিশদ

07:03:20 PM

অসমের জঙ্গি সংগঠন উলফাকে আরও ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার 

07:43:37 PM

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন উদ্ধব থ্যাকারে 

06:48:12 PM

খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫ রাউন্ড শেষে ১৯৬১৮ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল
 

খড়্গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১৫ রাউন্ড শেষে তৃণমূল পেয়েছে ৬৮৫৩৩ ভোট, ...বিশদ

06:48:00 PM

হাসপাতালে ভর্তি তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে দেখতে এসএসকেএমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

06:33:01 PM