কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
বারুইপুর জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্কর মণ্ডলের কাজকর্ম এবং তার গতিবিধি দীর্ঘদিন ধরেই নজরে রাখছিলেন তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার রাতে জেলা পুলিসের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর কাছে খবর আসে, দীপঙ্কর নিজের বাড়ি ক্যানিং থানার অন্তর্গত এলাকার দক্ষিণ বুদোখালিতে এসেছে। এরপরই এসওজি’র আধিকারিকরা সেখানে অভিযান চালান। এসওজি’র ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাস বলেন, তারপরই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁরা। দীপঙ্করের ঘর থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র ও তার বাবার ঘর থেকে আরও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ঘরের বাইরে পাঁচটি তাজা বোমা গাছের পাতা দিয়ে চাপা রাখা ছিল। সেগুলিও উদ্ধার হয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি তাজা বোমা, ৩টি সিঙ্গল লং পাইপগান, ৩টি ওয়ানশটার এবং ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় দু’টি মোবাইল ফোনও।
জেলা পুলিসের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, দীপঙ্করের বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সে বুদোখালিতে একটি ঘটনায় গুলিও চালিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়েই তার দাপট দিন দিন বাড়ছিল বলে পুলিসের কাছে খবর এসেছিল। এছাড়াও দীপঙ্কর বাড়িতে এবং তার অন্য ডেরায় অস্ত্র মজুত করেছে বলেও গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল।
অন্যদিকে, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহ সেগুলি তৈরির কারখানার হদিশ পেল ঢোলাহাট থানার পুলিস। গ্রেপ্তারও করা হল দু’জন অস্ত্র কারবারিকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢোলাহাট থানা থেকে আট কিমি দূরে আমিরপুর গ্রামে ওই কারখানার হদিশ মিলেছে। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ধৃত দু’জনের নাম জাহির আলি ও ইরাদ আলি লস্কর। আমিরপুর গ্রামেই দু’জনের বাড়ি। গ্রামে একটি ঘরে এই অস্ত্র কারখানা চলত। তবে এই অস্ত্র তৈরির সঙ্গে দু’জনের পরিবারের লোকজনও যুক্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে। অর্থ লেনদেন নিয়েই এই ঘটনা ঘটেছিল। এরপরই পুলিস খতিয়ে দেখতে শুরু করে, এত বোমা ও অস্ত্র আসছে কোথা থেকে। তারপরই আমিরপুর গ্রামে অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় পুলিস। পুলিস সুপারের কথায়, গ্রামের ভিতরে অভিযান চালানোর ঝুঁকির কথা মাথায় রেখেই গভীর রাতে ঢোলাহাট থানার পুলিস এবং মন্দিরবাজারের পুলিসকর্তাদের নিয়ে তল্লাশি যাওয়া হয়েছিল। ওই কারখানার ভিতর থেকে অস্ত্র তৈরির যাবতীয় অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ছাড়াও তিনটি লং রেঞ্জ রাইফেল, দু’টি রকেট লঞ্চার, একটি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র, এক কেজি গান পাউডার, ৩৩টি তাজা বোমা, ১৮০০টি লোহার বল (বোমা তৈরিতে প্রয়োজন হয়), ২০০০টি স্প্লিন্টার উদ্ধার হয়েছে।