কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকে পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ভূমিরাজস্ব আধিকারিকদের একটি দল আরামবাগ শহরের লিঙ্ক রোডে ওভারলোডেড বালিবোঝাই লরি থামিয়ে জরিমানা করে। যে সমস্ত লরি চালক স্পট ফাইন দেন তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আর যাঁরা জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন, তাঁদের গাড়ি আটক করা হয়। ফলে আরামবাগের বাসুদেবপুর মোড় থেকে তারকেশ্বরগামী রাজ্য সড়কে এদিন একের পর এক বালিবোঝাই লরি দাঁড়িয়ে পড়ে। এতে দুপুরের দিকে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
এনিয়ে আরামবাগ মহকুমার স্পেশাল রেভিনিউ অফিসার সৌরভ রক্ষিত বলেন, নিয়ম মেনে এদিন অতিরিক্ত বালিবোঝাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে জরিমানা নেওয়া হয়। আমাদের এই অভিযান চলছে। এতে বিগত দিনের তুলনায় ওভারলোডেড গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। যে সকল গাড়ির চালক ও গাড়ির মালিকরা জরিমানা দিতে অস্বীকার করছেন, তাঁদের লরি আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, লরি চালকদের অভিযোগ, পুলিস তাঁদের বাধ্য করে ওভারলোডেড গাড়ি চালাতে। কারণ, বাঁকুড়া জেলার ওন্দা এলাকার বালি খাদান থেকে রাজস্ব দিয়ে একটি বালিবোঝাই লরিকে বিষ্ণুপুর, রামসাগর, জয়পুর, কোতুলপুর, গোঘাট, আরামবাগ ও পুরশুড়া থানা এলাকায় পৌঁছতে প্রতি ট্রিপে পাঁচ হাজার টাকা করে দিতে হয়। ওভারলোডেড না চালালেও পুলিস এই টাকা নেবে। না হলে বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। তাই পুলিসকে উপরি দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে ওভারলোড গাড়ি চালাতে হয়। এব্যাপারে মহম্মদ করাউদ্দিন নামে এক লরির চালক বলেন, সাতটি থানা পেরোতে আমাদের ২৫ থেকে ৩০ বার পুলিসকে গাড়ি থামিয়ে টাকা দিতে হয়। অনেক থানা আবার মাসিক চুক্তিও করে নেয় লরি চালকদের সঙ্গে। আমরা সব সময় আন্ডারলোডের পক্ষে। কিন্তু, আন্ডারলোড গাড়ি চালালে বিভিন্ন থানার বিভিন্ন পুলিস আধিকারিকদের টাকা দিয়ে বালি নিয়ে যেতে হলে গাড়ির মালিককে সমস্ত খরচ খরচা বাদে উল্টে ঘর থেকে তেলের খরচ দিতে হবে। আর তা না হলে এক লাফে বালির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। যে কারণে, পুলিসের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে আমরা ওভারলোডেড লরি নিয়ে যাতায়াত করি। কিন্তু, ভূমিরাজস্ব আধিকারিকরা আবার গাড়ি থামিয়ে জরিমানা করেছে।
প্রসঙ্গত, রাস্তায় পণ্যবোঝাই গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিসের টাকা তোলার বিষয়টি নতুন নয়। এনিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন ভাবে পুলিস আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরেও সেই চিত্রের কোনও বদল হয়নি। একথা মেনে নিচ্ছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রাজস্ব আধিকারিকদের একাংশও। আগামী দিনে পুলিসের টাকা নেওয়া ও রাজস্ব আধিকারিকদের জরিমানা একই সঙ্গে চলতে থাকলে লরি চালক ও ট্রাক মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার ডাক দেওয়া হয়েছে।