কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইমলিদেবী ফুলবাগানের এক বেসরকারি সংস্থার কর্মী। তিনি নিমতা বাজার এলাকার ভাড়াবাড়িতে সপরিবারে থাকেন। মঙ্গলবার অফিস থেকে বেরিয়ে রাত ৮টা ৫৫ মিনিট নাগাদ তিনি উল্টোডাঙা স্টেশন থেকে আপ নৈহাটি লোকাল ট্রেন ধরেন। ট্রেনের একেবারে পিছনের দিকের মহিলা কামরায় তিনি ছিলেন। কামরায় ভিড় থাকায় গেটের সামনে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। উল্টোডাঙা স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে বের হওয়ার পর আচমকাই বাইরের থেকে একটি পাথর এসে তাঁর মুখে লাগে। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে তিনি ট্রেনের ভিতরে পড়ে যান। সহযাত্রীরা আচমকা এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান। ট্রেন দমদম স্টেশনে ঢুকলে সহযাত্রীরা তাঁকে জিআরপি থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। কিন্তু তিনি যেহেতু নিমতা যাবেন তাই বেলঘরিয়া স্টেশনে নেমে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো বেলঘরিয়া স্টেশনে নেমে তিনি জিআরপিতে অভিযোগ জানান। এরপর পরিবারের লোকেরা তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যারা ভিড়ের কারণে দরজার সামনে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা প্রতিমুহূর্তে হামলার আতঙ্কে কাঁটা হয়ে থাকছেন। এর আগেও শিয়ালদহ বনগাঁ রেল লাইনে ট্রেন লক্ষ্য করে একাধিকবার পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ২২ অক্টোবর মধ্যমগ্রাম হৃদয়পুর স্টেশনের মাঝে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ইটে মিহির ঘোষ নামের অশোকনগরের এক বাসিন্দা গুরুতর জখম হন। তাঁরও মুখ ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি একাধিক দাঁতও ভেঙে যায়। তার আগে ১৩ অক্টোবর দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝে ট্রেন লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া পাথরে সাত বছরের এক শিশুকন্যা জখম হয়। পরপর এই ঘটনা ঘটলেও রেল পুলিস এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মঙ্গলবারের ঘটনার পর বিশেষত মহিলা ট্রেন যাত্রীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
বারাসতের বাসিন্দা মধুমিতা ভদ্র বলেন, প্রতিদিন অফিস ছুটির পর রাতের ট্রেনে বাড়ি ফিরতে হয়। প্রত্যেক দিন সিট পাওয়া যায় না। ভিড় থাকলে অনেক সময় ট্রেনের দরজার মুখে দাঁড়াতে হয়। কিন্তু, যেভাবে পাথর ছোঁড়া হচ্ছে তাতে রীতিমতো আমরা আতঙ্কিত। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা জানার পর এখন ট্রেনে চাপতেই রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যাত্রীদের অনেকেরই অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে এই ঘটনা ঘটলেও রেল পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসন কার্যত নীরব হয়ে বসে রয়েছে। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলে, তারা বার বার এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পেত না।