কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল থেকে মালদহ টাউন যাওয়ার জন্য দ্বিসাপ্তাহিক ট্রেনটি চালু হচ্ছে। প্রত্যেক সপ্তাহের মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটিকে চালানো হবে। ট্রেনটি আদতে এক্সপ্রেস। প্রতিদিন সকাল ৭টা ৫০মিনিটে ট্রেনটি আসানসোল থেকে ছাড়বে। রানিগঞ্জ, অণ্ডাল, উখরা, পাণ্ডবেশ্বর, দুবরাজপুর, চিনপাই, সিউড়ি, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, নলহাটি, মুরারই, রাজগ্রাম হয়ে ট্রেনটি মালদহ টাউনে পৌঁছবে। মালদহে ট্রেনটি পৌঁছনোর সময় রয়েছে দুপুর ২টোয়। অন্যদিকে, মালদহ টাউন থেকে ট্রেনটি দুপুর ২টো ৪৫মিনিট নাগাদ ছাড়বে। একই রুটে ট্রেনটি সন্ধ্যা ৬টা ২৩মিনিট নাগাদ সিউড়ি স্টেশনে ঢুকবে। পরে ট্রেনটি রাত ৯টা ২৫মিনিট নাগাদ আসানসোলে পৌঁছবে।
প্রসঙ্গত, রামপুরহাট থেকে সাঁইথিয়া, বোলপুর হয়ে বর্ধমান ও হাওড়া যাওয়ার জন্য একাধিক ট্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও সিউড়ি হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। তারফলে যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীরা অতিরিক্ত ট্রেন বাড়ানোর দাবিতে সরব হলেও রেল কর্তৃপক্ষ সেব্যাপারে কোনও নজর দেয়নি। এরজন্য রেলের একাধিক কার্যালয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও ট্রেন বাড়ানো নিয়ে রেলের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিউড়ি থেকে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারের আগে বা পরে কোনও ট্রেন নেই। দীর্ঘ সময় সিউড়ি থেকে অণ্ডালগামী প্যাসেঞ্জার ট্রেন রয়েছে। তারফলে যাত্রীদের বর্ধমান বা কলকাতায় যেতে ভরসা করতে হয় বাসের উপরেই। এমনকী, সিউড়ি-হাওড়া হুল এক্সপ্রেস ও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস থাকলেও উপযুক্ত সময়ে তা না থাকায় যাত্রীদের সেভাবে কোনও কাজেই লাগে না বলে অভিযোগ। তাছাড়া বিকেলে হাওড়া থেকে ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ছাড়া বিকল্প কোনও ট্রেন নেই।
যাত্রীদের দাবি, সিউড়ি শহরটি বীরভূম জেলার সদর হওয়া সত্ত্বেও ট্রেন যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত বেহাল। তারফলে ব্যবসায়িক বা অন্য কাজে কলকাতাগামী যাত্রীদের অনেক সময় আহমদপুর বা সাঁইথিয়ায় গিয়ে ট্রেন ধরতে হয়। নইলে সিউড়ি থেকে সরকারি বাসে দীর্ঘ সময় নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়।
আসানসোলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, আপাতত ময়ূরাক্ষীর আগে বা পরে কোনও ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে তিনি বলেন, আসানসোল থেকে মালদহ যাওয়ার জন্য বহু যাত্রী রয়েছেন। তাছাড়া সিউড়ির বাসিন্দাদের রাতে আসানসোল আসার সমস্যা ছিল। সেই সমস্যা দূর করতেই এই ট্রেনটি চালানো হচ্ছে। যাত্রীর প্রভাব দেখে তারপর ট্রেনটির স্থায়িত্ব বিবেচনা করা হবে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ট্রেনটির যাত্রাপথ শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক সপ্তাহের মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চলাচল করবে। ১০টি কোচ নিয়ে ট্রেনটি আসানসোল থেকে মালদহ টাউনে যাবে।
সিউড়ির যাত্রীরা বলেন, প্রতিদিন ময়ূরাক্ষী ট্রেনটি রামপুরহাট থেকেই ভিড় হয়ে আসে। সিউড়িতে এসে ভিড় আরও বাড়ে। অথচ যাত্রীদের সুবিধায় আরও ট্রেন বাড়ানোর প্রয়োজন। এব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলে ভালো হয়।