কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
জেলার অধিকাংশ মোড় বা বাসস্টপেজে তেলেভাজা দোকানের রমরমা। সকাল থেকে সেই সমস্ত দোকানে মুড়ি-ঘুগনির সঙ্গে তেলেভাজা হিসেবে চপ ও পেঁয়াজি নিতে ভিড় জমান অনেকে। কেউবা আবার সান্ধ্য আড্ডায় পেঁয়াজির সঙ্গে চা খেতে পচ্ছন্দ করেন। কিন্তু, পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হওয়ায় সেই সমস্ত পেঁয়াজি রসিক মানুষকে হতাশ হতে হচ্ছে।
রামপুরহাটের পুরসভার সামনে একটি তেলেভাজার দোকানে প্রতিদিন মুড়ি খান শ্যামল সুত্রধর। তিনি বলেন, মুড়ির সঙ্গে পেঁয়াজি খেতেই বেশি পচ্ছন্দ করি। কিন্তু, বেশ কয়েকদিন ধরে দোকানদার পেঁয়াজি করছেন না। এমনকী মুড়ির সঙ্গে পেঁয়াজের বদলে দেওয়া হচ্ছে মুলো। দোকানদার কৌশিক মণ্ডল বলেন, পেঁয়াজের ঝাঁঝে আর পেঁয়াজি দেওয়া যাচ্ছে না। কেউ তো আর ১০টাকা দিয়ে একপিস পেঁয়াজি কিনবেন না। অন্যদিকে, নলহাটির আউটডোর মোড়ে একটি দোকানে বিকেলে পেঁয়াজির সঙ্গে চা খেতে আড্ডা জমে। এখনও আড্ডা বসছে। তবে পেঁয়াজ নয়, বাঁধাকপি দিয়ে তৈরি কপিজি খেতে হচ্ছে তাঁদের। পেশায় চাকুরিজীবী সুবিমল হাজরা বলেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাই পারলেন আমাদের মতো অনেকের পেঁয়াজি খাওয়া বন্ধ করতে। দোকানদার বলছেন, পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আর পেঁয়াজি বিক্রি করব না।
পেঁয়াজ অগ্নিমূল্য হওয়ায় জাতীয় সড়কের ধারে লাইন হোটেলগুলিতে প্রায়ই খদ্দেরদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা লেগেই রয়েছে। রুটি-তরকার সঙ্গে বাড়তি এক টুকরো পেঁয়াজ চাওয়া সত্ত্বেও দেওয়া হচ্ছে না। মিলন শেখ নামে এক হোটেল মালিক জানান, পেঁয়াজ নিয়ে রোজ ঝামেলা হচ্ছে। তরকার সঙ্গে এক টুকরোর বেশি পেঁয়াজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কী করব বলুন, লোকসান করে তো আর পেঁয়াজ খাওয়াতে পারি না।
নলহাটির একটি লাইন হোটেলে তরকা-রুটির সঙ্গে পেঁয়াজ দেওয়া হলে ১০টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। হোটেল মালিক মনসা দাস বলেন, একজনকে পেঁয়াজ দিলে সবাইকেই দিতে হবে। কী করে সম্ভব বলতে পারেন? তাই পেঁয়াজ চাইলেই মুলো দিচ্ছি।
একইভাবে সিউড়ির অধিকাংশ খাবারের দোকান থেকেও পেঁয়াজি গায়েব। ঘুগনির সঙ্গে পেঁয়াজ দেওয়া হলেও তা নামমাত্র। দামের ছ্যাঁকায় গৃহস্থেরা বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কেনা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন। সেখানে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে বিকোচ্ছে পেঁয়াজ। একই অবস্থা বোলপুরেরও। কবে দাম স্বাভাবিক হয় সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।