কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনে থাকা কাউ ক্যাচারের একাংশ ভেঙে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। তবে চালক সময় মতো বিষয়টি লক্ষ্য করায় বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ মালদহ টাউন ও গৌড় মালদহ স্টেশনের মাঝমাঝি জায়গায় ঘটনাটি ঘটে। ওই ঘটনার জেরে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হয়। তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের পিছনে থাকা গৌড় এক্সপ্রেস সহ অন্যান্য ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। খবর পেয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত কাউ ক্যাচার মেরামত করেন।
এদিকে, দুর্ঘটনার সুযোগ নিয়ে এক যুবক দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠে লুটপাট শুরু করে দেয় বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ির বাসিন্দা এক যুবকের সর্বস্ব লুট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে শেষরক্ষা হয়নি। সামগ্রী নিয়ে চম্পট দেওয়ার সময় ওই যুবক যাত্রীদের হাতে ধরা পড়ে যায়। তাকে ধরে মারধর করেন ট্রেনের যাত্রীরাই। বেশ খানিক্ষণ চলে সেই গণধোলাই দেওয়ার পালা। তারপর তাকে রেল পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করলেও কোনও যুবককে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে মালদহ জিআরপির তরফে জানানো হয়েছে।
মালদহ জিআরপির আইসি ভাস্কর প্রধান বলেন, ছিনতাইয়ের বিষয়টি শুনেছি। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি। ঘটনার পর ট্রেনের যাত্রীরা শিয়ালদহ চলে যান। সেখানে পৌঁছে যাত্রীরা অভিযোগ করলে সেই অভিযোগ নিয়মমাফিক আমাদের কাছে চলে আসবে। তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ মালদহ টাউন স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের সামনের কাউ ক্যাচারের একাংশ ভেঙে যায়। চালক বিষয়টি লক্ষ্য করার পর ট্রেন থামিয়ে দেন। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় ওই ট্রেনের বেহাল অংশ মেরামত করতে সফল হন ইঞ্জিনিয়াররা। তারপর ট্রেনটিকে গৌড় মালদহ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ইঞ্জিন বদলে ট্রেনটি শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে যুবকের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে, সে ইংলিশবাজার শহরেরই বাসিন্দা। যদিও পুলিস সূত্রে এর কোনও সমর্থন মেলেনি।