কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভের ইঙ্গিত আছে। ব্যবসায় যুক্ত হলে লাভবান হবার সম্ভাবনা। কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বাড়বে। গৃহ ... বিশদ
সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে। এবার গণনাকেন্দ্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভিতরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, দ্বিতীয় স্তর অর্থাৎ প্রবেশপথে রাজ্য সশস্ত্র পুলিস এবং বাইরে রাজ্য পুলিস। এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এন-কোর সফটওয়্যারের মাধ্যমে সরাসরি ভোটের ফলাফল জানা যাবে।
তিনটি আসনের মধ্যে গুরুত্বের বিচারে অনেকটাই এগিয়ে খড়্গপুর। এটা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসন। খড়্গপুরের মিথ চাচা জ্ঞানসিং সোহনপালকে প্রায় ৬ হাজার ভোটে হারিয়ে দিলীপবাবু চমক দেন। লোকসভা ভোটে দিলীপবাবু মার্জিন ৪৫ হাজারে নিয়ে গিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন। সেই অর্থে খড়্গপুর আসনের উপনির্বাচন আক্ষরিক অর্থেই দিলীপবাবুর ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। এই আসনে হার-জিৎ, ব্যবধান কমবেশি যাই হোক, জড়িয়ে যাবে দিলীপবাবুর নাম। আসবে আরও একটি নাম, শুভেন্দু অধিকারী। গেরুয়া ঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ দলকে তিনি কতটা সোজা করে দাঁড় করাতে পারলেন, সেটা এবারের ভোটে প্রমাণ হবে। নেতারা মুখে যাই বলুন না কেন, উপনির্বাচনে ‘রিভার্স স্যুইং’ এর আশা সম্ভবত তৃণমূলের অতি বড় সমর্থকও করছেন না। মার্জিন যথা সম্ভব কমিয়ে ২০২১ সালের ফাইনাল ম্যাচের জন্য শক্তি সঞ্চয়ই তাদের লক্ষ্য। আর যদি এর অন্যথা কিছু হয়, তাহলে সত্যিই তা হবে অঘটন।
করিমপুর আসনটি ধরে রাখা তৃণমূলের কাছে খুবই জরুরি। কারণ লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ের মধ্যেও এখানে তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র প্রায় ১৪ হাজারে লিড নিয়েছিলেন। জেলা নেতৃত্বের একাংশের প্রবল অসহযোগিতার মধ্যেও তিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতে বিজেপিও সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। তারই মধ্যে নির্বাচনের দিন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের উপর আক্রমণ করিমপুর আসনকে নজরকাড়া করে তুলেছে। গেরুয়া শিবিরে জোর চর্চা, আক্রমণের ঘটনা ভাইরাল হয়েছে। তারপর ভোট হয়েছে মেরুকরণের ভিত্তিতে। জয়প্রকাশবাবু নাকি পেয়েছেন সহানুভূতিও।
কালিয়াগঞ্জ। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির কালিয়াগঞ্জ। এখানে তৃণমূল কখনও জেতেনি। ২০১৬ সালে কংগ্রেস জিতেছিল ৪৬ হাজারেরও বেশি ভোটে। এবারও সিপিএমের সঙ্গে জোট হয়েছে। কিন্তু, দু’টি ক্ষয়িষ্ণু শক্তির জোট রক্তক্ষরণ আটকাতে পারল কি না সেটাই দেখার। তবে এবার এখানে লড়াই বিজেপি-তৃণমূলের। লোকসভা ভোটে এখান থেকে বিজেপি লিড নিয়েছিল ৫৬ হাজারেরও বেশি ভোটে। মাস ছয়েকের ব্যবধানে এই বিপুল ব্যবধান মোছার শক্তি অর্জনের প্রমাণ তৃণমূল রাখতে পারেনি। বিজেপির বিরুদ্ধে তাই তৃণমূলের ভরসা, এনআরসি আতঙ্ক। আর ছিন্নমূল মানুষ অধ্যুষিত কালিয়াগঞ্জে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বীও এনআরসি।