সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
তবে পৌঁছনোর অনেক পরে সেসব প্রত্যক্ষ করেছেন ইডি আধিকারিকরা। কারণ, দীর্ঘসময় বাগানবাড়ির ‘সিংহদরজা’ কেউ খোলেনি। বহু ডাকাডাকির পরে বাগানবাড়ির কেয়ারটেকার এসে দরজা খুলে দেন। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইডির তদন্তকারীরা সেখানে ছিলেন। বাগানবাড়ির কেয়ারটেকারকেও তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুপুরের পরে ইডি আধিকারিকরা সদলবদলে এলাকা ছাড়েন। ততক্ষণ এলাকায় বহু মানুষ ভিড় করে ছিলেন। ইডি আধিকারিকরা এদিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে তদন্তের সূত্রেই তাঁরা মঙ্গলবার সুদীপ্তবাবুর বাগানবাড়িতে হানা দিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক। এদিন কিছু নথি ইডি অফিসাররা বাজেয়াপ্ত করলেও, তা তদন্তের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না, স্পষ্ট হয়নি। ইডির অভিযান প্রসঙ্গে সুদীপ্তবাবু বলেন, তদন্তে সহযোগিতা করব আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এদিন বাগানবাড়ির মালি তরুণ পাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। মালি বলেন, আমি প্রায় আড়াই বছর কাজ করছি। আমার কাজ সম্পর্কে, বাড়িতে কে কে আসতেন, সেসব বিষয়ে অফিসাররা জানতে চেয়েছিলেন। আমি যা জানি তা বলেছি।
তরুণবাবু থেকে স্থানীয় অনেকেরই কাছে জানা গিয়েছে, সুদীপ্তবাবু স্ত্রীকে নিয়ে প্রায়শই আসতেন। তাঁর চিকিৎসক ও রাজনৈতিক সহকর্মীদেরও ওই বাড়িতে দেখা গিয়েছে। ২০০৮ সালে সুদীপ্তবাবু বাড়িটি কিনেছিলেন। প্রথমে নার্সিংহোম করার কথা চাউর হলেও পরে তা বাগানবাড়ি হয়ে যায়।