সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর প্রথম রাতদখল কর্মসূচি হয় ১৪ আগস্ট। স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি হয়। কিন্তু এরপর থেকে জাস্টিসের দাবি তুলে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও চলছে রাস্তা আটকে রাতদখল। আর রাতে এই কর্মসূচিতে কার্যত তিতিবিরক্ত সাধারণ মানুষ। শনিবার সকাল থেকে আর জি কর ইস্যু নিয়ে তোলপাড় চলে। এদিন রাতে তরুণী চিকিৎসক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের গ্রেপ্তারের পরেও কিন্তু রাতদখলের কর্মসূচিতে লাগাম পড়েনি। এদিন রাতে কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় শহর ও শহরতলির একাংশ। উত্তর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় লম্বা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে একাধিক যাত্রীবাহী বাস। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়ি, লরি দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ কেউ ঘুরপথে গন্তব্য পৌঁছতে চান। কিন্তু তাতেও বেগ পেতে হয় মানুষকে। বি টি রোড, টালা ব্রিজ, সিঁথির মোড় সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চূড়ান্ত হয়রানিতে পড়তে হয়। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে রাতদখল-এই দুই সাঁড়াশি চাপে অতিষ্ট অবস্থা। যানজটের জেরে অনেকে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন।
এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিশির দাস বলেন, ‘টালা ব্রিজে আমি ২ ঘণ্টার বেশি সময় যানজটে আটকে রয়েছি। প্রতিদিন রাত দখলের মানে কি, বুঝি না। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে রাতদখলে নাজেহাল অবস্থা হাজার হাজার মানুষের। তাহলে আমাদের এই যন্ত্রণার জাস্টিস হবে কীভাবে?’ এদিকে পিউ সামন্ত নামে এক আইটি কর্মী বলেন, ‘অফিস শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে। আমার কাছে থাকা পানীয় জল শেষ। খাবারও নেই। সপ্তাহান্তে গোটা কলকাতার মানুষ অতিষ্ট। কেউ যদি আচমকা অসুস্থ হন তাহলে তাঁকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া মুশকিল হবে। এর একটা বিহিত প্রয়োজন।’ নিজস্ব চিত্র