সম্পত্তি সংক্রান্ত আইনি প্রচেষ্টায় সাফল্যের সম্ভাবনা। ন্যায্য অর্থ সঠিক সময়ে নাও পেতে পারেন। অর্থপ্রাপ্তির যোগ ... বিশদ
ঢাক কাঁধে নিয়ে যখন দু’কাঠি দিয়ে বাজানো শুরু হল, কটাক্ষই সঙ্গী ছিল মৌমিতা দাস, অনিতা দাসদের মতো উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর নিবাসী মহিলা ঢাকিদের। কিন্তু পরিবর্তনের দিনলিপিতে নতুন অধ্যায় লেখার জন্য তো সে সবে কান দিলে চলবে না। তাই আজ উৎসব-অনুষ্ঠানে আজ মহিলা ঢাকিদের ডাক পড়ছে দেশ-বিদেশ থেকে। গত বছর উৎসবের মরশুমে ঢাক কাঁধে প্রতিদিনই চলছিল তাঁদের অনুষ্ঠান। কিন্তু এবছরটা কেমন যেন অগোছাল! মৌমিতা-অনিতারা বলছেন, গত বছর খুঁটিপুজোর সময় থেকে প্রতিদিনই আমাদের অনুষ্ঠান ছিল। বাড়িতে থাকার সময় পেতাম না। আর এবছর উলটপুরাণ। অধিকাংশ সময় বাড়িতেই কাটছে। সম্প্রতি একটি ঘটনার কথাও শোনালেন অনিতা। বললেন, ক্লাবের একটি মনসা পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছি। কয়েকদিন পর সেখানেই দুর্গাপুজো হবে। কিন্তু পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মহিলা ঢাকি নয়, পুরুষ ঢাকিদেরই আনা হোক।
তাহলে আমরা কোথায় যাব? এই প্রশ্ন তুলেই সমাজের কাছে অনিতার আহ্বান, আর জি করের ঘটনায় আমাদের মনও ভারাক্রান্ত। আমরাও চাইছি বিচার। কিন্তু ঢাক বাজানোটা তো আমাদের পেশা। উৎসব বন্ধ হয়ে গেলে আমরা কোথায় যাব? তাই সকলের কাছে আহ্বান, আমাদের একটু সহযোগিতা করলে মন দিয়ে আনন্দের সঙ্গে আমরাও কাজটা করতে পারব। পুজোর সঙ্গেই আমাদের উপার্জন জড়িয়ে আছে।
মৌমিতা দাসের কথায়, ‘একজন মেয়ে হিসেবে আমিও চাই আর জি কর কাণ্ডে জড়িতরা কঠিন শাস্তি পাক। মা দুগ্গার কাছে প্রার্থনা করব অভয়ার জন্য। চাইব আশীর্বাদও। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে যে, পুজো-উৎসবের উপর আমাদের রুটি-রুজি নির্ভরশীল। আগামীতে সমাজে মেয়েরাই নতুন পথ রচনা করবে, সেই আশীর্বাদ চাইব দশভুজার কাছে।’