পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
মঙ্গলবার সিইএসসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁদের সংস্থা ১৯৯৪ সাল থেকে ‘সুপারভাইসরি কন্ট্রোল অ্যান্ড ডেটা অ্যাকুইজিশন’ নামে একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে এলাকার কোথায় কোথায় বিদ্যুৎ সংযোগ সংক্রান্ত কী পরিস্থিতি ও সমস্যা হচ্ছে, তা জানা যায়। সেই প্রযুক্তিটিকেই ঢেলে সাজা হয়েছে। এর ফলে যদি কোনও জায়গায় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়, তাহলে সেই নির্দিষ্ট এলাকাটিকে অন্যদের থেকে দ্রুত আলাদা করা যাবে এবং সেখানকার গ্রাহককে অন্য জায়গা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। গোটা প্রক্রিয়াটি এতটাই দ্রুত হবে যে, গ্রাহক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বুঝতেই পারবেন না, তাঁর বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হয়েছিল। দেবাশিসবাবুর দাবি, তাঁরা এই প্রযুক্তিতে ডেটা অ্যানালিটিক্সের ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে কোন জায়গায় কতটা বিদ্যুতের চাহিদা হতে পারে, পুরনো তথ্যের বিশ্লেষণ করে তার পূর্বাভাস পাওয়া যেতে পারে। এতে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া সম্ভব, দাবি তাঁর।
গত বছর সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ২ হাজার ৬০৬ মেগাওয়াট। এদিকে, মঙ্গলবার সেই চাহিদা ছিল ২ হাজার ২৯৯ মেগাওয়াট। কিন্তু যেভাবে দাবদাহ বাড়ছে, তাতে চাহিদা আরও অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন সংস্থার কর্তারা। গত বছর শহর ও শহরতলির বিভিন্ন প্রান্তে বারবার বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যাওয়ায় নাজেহাল হতে হয়েছিল শহরবাসীকে। সেই প্রসঙ্গে এদিন সিইএসসির কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁদের না জানিয়ে যদি লাগামছাড়াভাবে এসি সংযোগ নেওয়া হয়, তাহলে চাহিদা সর্বোচ্চ কত হতে পারে, তার হিসেব পাওয়া সম্ভব নয়। চলতি বছরেও যদি গ্রাহকরা সিইএসসিকে অন্ধকারে রেখে এসি কেনেন এবং তার ব্যবহার শুরু করেন, তাহলে গতবারের মতোই পরিস্থিতি হতে পারে, আশঙ্কা তাঁদের। এক্ষেত্রে তাঁদের কাছে গ্রাহকরা যথাযথ তথ্য দিলে সুষ্ঠু পরিষেবা বজায় রাখা সম্ভব, দাবি করেছেন তাঁরা।