পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তাপস রায় ইডি-সিবিআইকে চিঠি দিয়ে রোজভ্যালি দুর্নীতির ফাইল খোলার আবেদন জানাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেন, সুদীপ ও শ্রেয়া, দু’জনের মধ্যে একটা মিল আছে। তাঁরা রোজভ্যালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। আমি সিবিআই ও ইডিকে চিঠি লিখব। কেন রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির তদন্তে তারা সক্রিয় হচ্ছে না? কেন এঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না? যা নিয়ে শ্রেয়া পান্ডে বলেন, উনি তো তৃণমূলে থাকাকালীন আমার মতো ছোটদের সমর্থন করতেন। এখন বিজেপিতে গিয়ে এই ধরনের কথাবার্তা বলছেন। এসব ওনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে খাপ খায় না। এটাই বিজেপির চরিত্র। উনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন বলে ওনাকে এ কথা বলতেই হবে।
তাপস রায়ের অভিযোগ, মানিকতলা এলাকায় প্রচারে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রেয়ার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী অশান্তি করেছে। এ নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাপসবাবুর কথায়, ‘আমায় প্রতিদিন কালো পতাকা দেখাক, তাতে আমারই লাভ, ব্যবধান বাড়বে।’ এদিন বিকেলে বেলেঘাটা, ফুলবাগান এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন তাপসবাবু।
এদিন টালিগঞ্জের করুণাময়ী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার পর্বের সূচনা করেন মালা রায়। টালিগঞ্জ, হরিদেবপুর, পূর্ব ও পশ্চিম পুঁটিয়ারির বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরে তাঁর হুড খোলা গাড়ি। সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়, ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রত্না শূর, ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সোমা চক্রবর্তী। রাস্তার ধারে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। জায়গায় জায়গায় দাঁড়িয়েছে মালা রায়ের প্রচার গাড়ি। গাড়ি তেকে নেমে জনসংযোগ করেন তিনি। এদিকে, এদিন সন্ধ্যায় ঢাকুরিয়ায় রোড শো করেন কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু। হুড খোলা জিপে চেপে তিনি ঢাকুরিয়া থেকে গোলপার্ক, গড়িয়াহাট হয়ে রাসবিহারী মোড়ে আসেন। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে মিছিল এগতে থাকে। তার জেরে অফিস ফেরত যাত্রীদের তীব্র যানজটের মুখে পড়তে হয়। ঢাকুরিয়া, গড়িয়াহাটে যানজটে নাজেহাল হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এক বাসযাত্রীর কথায়, এই শুরু হয়ে গেল। এসব মিটিং, মিছিল তো ছুটির দিনে করতে পারে। সেই কখন বাসে উঠেছি। গাড়ি এগচ্ছেই না। কলকাতা দক্ষিণের সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম বড় মিছিল নয়, তিনি পাড়ায় পাড়ায় নিবিড় জনসংযোগে মন দিয়েছেন। এদিন সকালে তিনি গোপালনগরে প্রচার করেন। সন্ধ্যায় ঘোরেন চারু মার্কেট এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়।