পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
১৯৬০ সালে রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের সপ্তম অধ্যক্ষ স্বামী শংকরানন্দর কাছে সন্ন্যাসে দীক্ষিত হন স্বামী স্মরণানন্দ। কিন্তু তারও অনেক থেকে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্গে তাঁর যোগ। প্রায় সাত দশকের সম্পর্ক। ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই তিনি রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের ষোড়শতম অধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। সঙ্ঘাধ্যক্ষ হিসেবে প্রায় ৭০ হাজার মানুষকে দীক্ষা দান করেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার রাত থেকেই আক্ষরিক অর্থে ভক্তদের ঢল নামে বেলুড় মঠে। রাতভর মিশনের গেট ছিল খোলা। বুধবার সেই ভিড় আরও বড় চেহারা নেয়। সারিবদ্ধ ভক্তদের হাতে সাদা পদ্ম, মালা, ফুল। প্রত্যেকের চোখে জল, গুরুবিয়োগের অব্যক্ত যন্ত্রণা।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শতম অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী স্মরণানন্দ মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মঙ্গলবার রাতেই তাঁর দেহ নিয়ে আসা হয় বেলুড় মঠে। মঠ সংলগ্ন সাংস্কৃতিক ভবনে দেহ শায়িত রাখা হয়। রাত থেকেই ভক্তদের আনাগোনা শুরু হয় প্রয়াত অধ্যক্ষকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
স্বামী স্মরণানন্দের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিশিষ্টজন। সংস্কৃতি ভবনে প্রয়াত অধ্যক্ষকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় এবং বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। আসেন হাওড়া লোকসভায় সিপিএমের প্রার্থী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়ও। প্রেসিডেন্ট মহারাজদের জন্য নির্ধারিত বিশেষ ভূমিতে চিতা তৈরি করে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, ‘মহারাজ ছিলেন ত্যাগ ও তিতিক্ষার প্রতীক। তিনি তাঁর কার্যকাল শেষ করে ঠাকুরের কাছে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বিশেষ রীতি মেনে অছি পরিষদের বৈঠকে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেওয়া হবে। ততদিন সঙ্ঘের দায়িত্বে থাকবেন একজন অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট। ট্রাস্টির সবচেয়ে বরিষ্ঠ সদস্যকেই এই দ্বায়িত্ব দেওয়া হবে।’