পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বেলা তিনটে নাগাদ ছবি রানির পরিবারকে গ্রামে নিয়ে যায় পুলিস। বাড়িতে পৌঁছে দেয়। তবে দীর্ঘদিন কেউ না থাকার কারণে গোটা বাড়ি জঙ্গলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। চোখের জল মুছতে মুছতে ছবি বলেন, আমার ছেলেরা কী করেছিল জানি না। ওদের নামে পুলিসে অভিযোগ হল। ছেলেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল। সেই সুযোগে আমাদের বাড়িতে লুটপাট চালানো হল। আমাকেও মারধর করা হয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে সপরিবারে গ্রাম থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
আজ আরও যাঁরা বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁদের কথায়, তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের শিকার আমরা। আমরাও শান্তিপূর্ণভাবে গ্রামে থাকতে চাই। প্রশাসনের আশ্বাসে বাড়ি ফিরলেও কতদিন থাকতে পারব জানি না। এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক নির্মল মাঝি জানান, আমিও প্রশাসনকে বলেছিলাম এঁরা যেন ঘরে ফিরে আসতে পারেন। আমরাও চাই এঁরা গ্রামে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করুক। যদিও স্থানীয় তিন চারজন দুষ্কৃতী এঁদের ঢাল করে গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করে। আমরা পুলিসকে সেই দিকটা দেখার জন্য আবেদন করেছি।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে আমতার চন্দ্রপুরের ৬৭টি পরিবার ঘরছাড়া। সম্প্রতি হাইকোর্ট প্রশাসনকে এইসব ঘরছাড়াদের ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। তারপরেও এঁরা ঘরে ফিরতে না পেরে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিস সুপার, উলুবেড়িয়ার মহকুমা শাসক, নির্বাচন কমিশন এবং হাওড়ার জেলাশাসকের কাছে এই ব্যাপারে ডেপুটেশান দেন। বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি পরিবার পুলিস-প্রশাসনের সহায়তায় ঘরে ফিরল।