পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কাশীপুর এলাকার এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ করে বলেন, চলতি মাসে তাঁর কাছে এক অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। উল্টোদিকের ব্যক্তি বলে, তারা অনলাইন কাজের ব্যবস্থা করে দেয়। কাজ বলতে তেমন কিছু না, ইউটিউবের পোস্টে শুধু লাইক করলেই টাকা মিলবে। অভিযোগকারী বলেন, এটা যে প্রতারকদের পাতা ফাঁদ, তা তিনি বুঝতে পারেননি। তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান। এরপর তারা বেশ কিছু ছবি পাঠায়। তাতে তিনি লাইক দেন। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য তাঁকে কিছু টাকা পাঠায় জালিয়াতরা। তারা বলে, তাদের সংস্থায় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে আকর্ষণীয় রিটার্ন পাবেন। এরপর তাঁকে অনলাইনে ভার্চুয়াল ডিজিটাল ওয়ালেট পাঠানো হয়। ক্রিপ্টো কারেন্সিতে টাকা পরিবর্তন করে নথি পাঠিয়েছিল প্রতারকরা। আসলে এগুলি যে জাল, তা বুঝতে পারেননি তিনি। ওই ফাঁদে পা দিয়ে তিনি চার লক্ষেরও বেশি টাকা বিনিয়োগ করে বলেন। অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও তাঁকে কোনও টাকা দেওয়া হয়নি।
যে অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছিল, তার সূত্র ধরে পুলিস জানতে পেরেছে, ২ লক্ষ টাকা গিয়েছে রকিবউদ্দিন গাজি নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। তার অ্যাকাউন্টেই মিলেছে ৭৬ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ। এরপর রাজারহাট থেকে রকিবউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, সে এবং সুমিত দাস এই চক্রের মাথা। তারাই বিভিন্ন ব্যক্তিকে টোপ দিত। সুমিত সহ বাকিদের ঠিকানায় হানা দিয়ে পুলিস মোট ছ’জনকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গিয়েছে, এই কায়দায় তারা কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে। এই টাকা তারা কোথায় রেখেছে, তাদের জেরা করে তা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।